আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-১০

কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস

রুজার দিনে লুকজনের ইবাদত বন্দেগিতে ভক্তি একটু বেশি । শুধু বুড়ারা না কিছু ছুড পুলাপাইনরেও দেখি এত আগেই পাইন্জাবি-টুপি পইড়া মসজিদের দিকে যাইতাছে । ভালাই লাগে দেখতে । যদিও আমি নিজে যাইতাছে বাকীর খাতা হাতে নিয়া ট্যাকা উসুলে । উসুল করার জিনিস আরো থাকে ।

তয় সেইডা নিয়া বেশী আশা করি না আইজকাল । আশা কইরা লাত্থি খাওনের চাইতে কাঠের পুতুলের মত নিজের কাম কৈরা যাওন ভালো । মন বৈলা কিছু থাইকলেই যত যন্ত্রণা । আর তাছাড়া খালেদা এখন হুজুরের বউ । তার পর্দার ডর আছে, দুযখের ডর আছে ।

সেদিনের সেই খালেদা হয়ত এখন নাই । অবশ্য ফরিদ ভাই চৈলা যাওনের পর যে কয়বার গেছি স্বাভাবিক ভাবেই তো কথা কৈল । হালকা রঙ তামাশাও করলো । পর্দার কাঠিন্য বারেবারে কমতাছে । তাই আশা ।

খালেদার বুড়া শ্বাশুড়ি লোকজনের আসা যাওয়া আন্দাজ করতে পারেন মনে হয় দরজা থেকে আসা আলোর বাড়া কমা দিয়া । আইজ শুইয়া ছিলেন চৌকিতে , সামনের ঘরে । রুজা রাইখা মনে হয় কাহিল । আমি ঢুকলাম বুঝেন নাই মনে হয় । কথা বলার পর বুঝলেন ।

হুজুরের ঘর । বাইরের ঘরই আন্ধার পর্দার লাইগা । ভিতরের ঘরে দিনেও রাইত । ফরিদ ভাই থাকার সময় একবার খালি ঢুকছিলাম । বাইরের ঘর থাইকাই চিক্কুর মারলাম ।

ভাবী ট্যাকাটুকা দিবেন নি কিছু । খালেদারেও ভাবী কৈতে হয় । দুইন্যার কি রঙ । ভিতরের ঘর থাইকা খালেদা হাতে দুই তিনখান একশ ট্যাকার নুট লৈয়া বাইর হয় । এই এক যন্ত্রণা দোকান করতে ।

বাকী পইড়া আছে দশ বার হাজার । বাইর হৈছে দুই তিনশ লৈয়া । খালেদার হিসাব বুঝাই জুরে জুরে । শ্বাশুড়ি পাশ ফিরা শুইছেন ঠিকাছে । ধ্যান্ধাতো আর হয়া যান নাই ।

তাছাড়া বুড়ির চোখ না থাকনে কান অনেক কড়া মনে হয় । হিসাব বুঝাইতে বুঝাইতে কোমরে একটু হাত রাখি । দেখি কিছু কয় না । আমার সাহস বাড়ে । ইচ্ছা কৈরা একটু রানের লগে শইল লাগাই ।

কিছু কয় না । আমার সাহস আরো বাড়ে । কথা কৈতে কৈতেই এইবার এক্কেরে দুধে হাত দিই । একটু ভ্রু কুচকায় খালেদা কিন্তু নড়েচড়ে না । হিসাবে গোলমাল লাগাইয়া ফালাই আমি ।

সময় লম্বা করার লাইগা না । মাথার ভিতরে এমনেই জট ধৈরা যায় । ব্লাউজের ভিতর দিয়া হাত ঢুকাইতে গেলে আবার সরাইয়া দেয় । দোটানায় পইড়া যাই । আবার উপরে দিয়া ধরলে দেখি কিছু কয় না ।

হিসাব বুঝানি শেষে জোরেই কই চাচিই গেলাম । খালেদা চৈলা যায় ভিতরের ঘরে । আইজ মনে হয় আমার কইলজা হাতির মত বড় হৈয়া গ্যাছে , জিহ্বা দশহাত লম্বা । চাচি পাশ ফিরাই শুইয়া আছে দেইখা আস্তে কৈরা ভিতরের ঘরে ঢুইকা যাই । খালেদা দেখি তেমন অবাক হয় নাই ।

ঠোঁটে চুমা দিই । বুলুতে দেখছিলাম । কিন্তু আওয়াজ করন যাইব না । বুড়ির কান খাড়া । বেলাউজের ভিতরে দিয়া হাত দিলেও খালেদা কিছু কয় না ।

আস্তে কৈরা খালেদারে নিয়া খাটে শুইয়া পড়ি । আস্তে করতে হয় বুড়ির মরার কানের জৈন্য । সারা শইল্যে আমার যে আগুন ইচ্ছা হয় ঝাপাইয়া পড়ি । খালেদা আমার ধনে হাত দেয় । সারা দুইন্যা মনে হয় ভাইঙা পড়তাছে আমার ।

মাথা ঝিমঝিম কৈরা উঠে । জীবনে এই পরথম কুনো মাইয়ামানুষের হাত পড়ল । মানে ল্যাংটাকালেরডা বাদ দিলে । মিনিটখানেক ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়া থাকি । জ্ঞান ফিরা আইলে লুঙিডা খুইলা খালেদার শাড়ি উপরে তুলি ।

আন্ধার ঘরে কিচ্ছু দেখা যাইতাছে না । জায়গাই খুইজা পাইনা আমি । এদিক সেদিক কতক্ষণ গুতাইয়া জায়গা খুইজা পাইলাম । ঢুকানির সাথে সাথে পুরা শইল ভাইঙা আইল যেন । চোক্ষে সইরষাফুলের মত দেখতে লাগলাম ।

সাথে সাথেই গেল পইড়া । একটু জোরেই বৈলা ফেল্ল খালেদা , ধুর । শ্বাশুড়ি বাইরের ঘর থাইকা ডাকলেন । কিরে বউ কি হৈছে । খালেদা জবাব দিল একটা পইসা পইড়া গেছে খাটের তলে ।

ও বৈলা শ্বাশুড়ি চুপ কৈরা গেলেন । চুরের মত লুঙি পরি আমি । খালেদা ঠোঁটের কোনায় একটা বেঁকা হাসি দিল । আমার মর্দামির অহংকার গৌরব সব কাঁচের মত ভাইঙা আকাশ থাইকা শইল্যে পড়ল যেন । বুড়া লোমপড়া কুত্তার মত নিচের দিকে চাইয়া আমি ঘর থাইকা বাইর হৈয়া গেলাম ।

চৌকাঠে খাইলাম বাড়ি । খালেদার শ্বাশুড়ি আবার ডাক দিয়া উঠলেন কেডারে বউ । পিছন থাইকা খালেদার জবাব শুনি । ঐ আশফাকগো কুত্তাডা । হেহ, ছু, ছু ।

আকাশ ভাইঙা মাথায় পড়লেও মনে অয় এত খারাপ লাগত না । আর কুনো বাড়িতে যাওনের মত মনের অবস্থা নাই । আল্লাহপাক কি শাস্তি দিল আমারে এইডা । আমি কি মাউরা , হিজড়া । জীবনে ভাগ্যের পুন্দানিতো কম খাইলাম না ।

এই কি বাকি আছিল খালি । লুকজনের বাড়ী বাড়ী গিয়া বাকীর ট্যাকা উসুল করি আমি । আল্লাহ কি আমার উপর বাকি থাকা পুন্দানি উসুল করেন ? জীবনের পাপের কথা ভাবি । মোন্তাজির আর আমি যেই কাম করছি, আল্লার আরশ কাইপা উঠে শুনছি সেই কামে । সেই পাপের ফল কি এইডা ।

সোজা দোকানে গিয়া বাকীর খাতাডা রাইখা রেললাইনে গিয়া বসি । জন্মের পর থাইকা দেইখা আইতাছি এই রেললাইন । এখনো বিরক্তি আসে নাই । এখনো মন খারাপ হৈলে সোজা অইন্য দুনিয়াত চৈলা যাওয়া রেললাইনডার দিকে তাকাইয়া থাকি । ইচ্ছা করতাছিল একডা টেরেন আসুক , উঠমু না ।

এই জীবন টাইন্যা রাইখা আর কিছু পাওনের আশা নাই । মনের মইধ্যে খালি খুঁজতে থাকি কি হৈল কি হৈল । জীবনের হিসটরি ঘাটি । কখনো কি বুঝছিলাম , কুনো ঘটনাই কি নাই যেইডা দেইখা বুঝা যাইত আমি মাউরা , আমি হিজরা । আয়েশার কথা মনে হয় ।

ঐ ঘটনাতে কি আমার বুঝন দরকার আছিল ? জবাব পাইনা । জীবনে বুলু দেখছি কত । কিন্তু শিখিতো নাই কিচ্ছু । হাত মারা শিখাইছিল খুরশিদ । খুরশিদ শিখছিল অর এক খালাত ভাইয়ের কাছ থাইকা ।

রেলরাস্তার পাশ দিয়া কত মানুষ হাইটা যায় । কত বেদ্বীন লুকজন । চ্যাংরা পুলাপাইন । জিন্সের প্যান্ট পইড়া বাসস্ট্যান্ডের দিকে হাইটা যাইতাছে । আজ শুক্কুরবার দিন ।

হেইদিকে কুনো খেয়াল নাই । দেইখাই বুঝা যায় ফেনী যাইতাছে সিনেমা দেখনের লাইগা । রুজার দিন । অগো জীবনে ঘটাইতে পারে না আল্লাহ এই জিনিস ? আমার জীবনে কেন । ভাবি আর খালেদার বেঁকা হাসিডার কতা মনে হয় ।

দুইন্যাডা খালি খালি লাগা শুরু করে । নিজের জীবনরে একটা বালছাল মনে হওন শুরু করে । জুয়ান পুলা রুজার দিনে সিরকেট টানতে টানতে যাইতাছে । অর জীবনে হয়না ক্যান এইরকম কিছু । খালি আমার জীবনে ক্যান ? দুইডা দশবার বছরের মাইয়া হাইটা যায় রেলের পাশ দিয়া ।

হাসাহাসি করতে করতে । ওগো হাসিও আমার খালেদার হাসির মত লাগে । নাকি ওরা আমারে দেইখা হাসে । এক বুড়া ছালাম দেয় । সালামালাইকুম হুজুর ।

মসজিদে যাইবেন না ? আইজকা জুম্মাবার , খোতবা দেওল লাগবো না ? ভুইলাই গেছিলাম আমি হেই কথা । গোছল এখন করন যাইবো না । সকালে একবার করছি । আমি নতুন বিয়া করা লুক না । আমারে দিনে দুইবার গোসল করতে দেখলে পাব্লিক উল্টাপাল্টা মনে করব ।

পাব্লিকের মনের মইধ্যে খালি বিষ । খালি কুচিন্তা । উপরের দিকে তাকাইয়া একটা মেঘ দেইখা মনে হয় ঐটা খালেদার বেঁকা হাসি দেয়া মুখের মত । আবার খুতবার কথা ভুইলা যাই । আবার দুইন্যা খালি খালি লাগে ।

রেলরাস্তা কাঁপা শুরু করে তিরতির কইরা । টেরেন আইতাছে । মনে হয় বইসাই থাকি । অত সাহস হয় না । উইঠা মসজিদের দিকে হাঁটতে থাকি ।

মনে মনে আইজকার খোতবার বিষয় নিয়া ভাবতে থাকি । কি কওন যায় । আরবীডাতো ঠিক করাই আছে সারাবচ্ছরেরডা । তার আগে বাংলা খোতবাতো দেওন লাগবো । কি কওন যায় আইজ ? -------------------------------------------------- কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-৯ Click This Link


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.