কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস
প্রিয়তম আমার জানের জান,
কাল রাতের ঘটনার জন্য আমি খুবি দুঃখিত । নিজেরে বেঁধে রাখতে পারিনি । প্রিয়তম তুমি জাননা কত দুঃখ আমার মনে জমা হয়ে আছে । প্রেমে এত কষ্ট এতদিন শুধু শুনেছি এখন বুঝেছি । তোমাকে লজ্জায় ফেলার জন্য আমাকে ক্ষমা করো ।
আমি বুঝেছি তোমার মাল পড়ে গিয়েছিল । তাই তোমাকে আর জোর করে ধরে রাখিনি । লজ্জা পেয়োনা । আমি কিছু মনে করিনি ।
তুমি প্রথম যেদিন এলে সেদিন থেকে তোমাকে দেখি ।
আড়াল থেকে তোমার কথা শুনি। তোমার কথা, তোমার চলা সবকিছু আমাকে দিনদিন শুধু আরো পাগল করে দিয়েছে । পুকুরপাড়ে তুমি যখন বসে থাকতে শুধু তোমাকে দেখার জন্য অনেকদিন মাদরাছায় যাইনি । তোমার মনে কি যেন গোপন ব্যাথা । আমি সব শুনতে ছাই আমার জান ।
তোমার সব কষ্ট আমি দূর করে দিতে ছাই । তুমি শুধু পায়ের তলে ঠাঁই দিয়ো ।
আম্মা আব্বার কথা শুনলাম কয়েকদিন আগে । আব্বা আমার বিয়া দিয়ে দিতে ছান । কিন্তু আম্মা এখনো ভাইয়ার চলে যাবার শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন নাই ।
তুমি চিন্তা করোনা । এখনো কমসে কম ছয় মাস সময় আছে । আমি সব করতে পারবো তোমার সাথে চিরদিন থাকার জন্য । বাড়ি-ঘর সব ছাড়তে পারব । তুমি শুধু ইশারা দিলেই হবে ।
তোমার সাথে হলে আমি ভাঙা ঘরেও থাকতে পারব । দিনে একবেলা খেলেও কোনো দুঃখ থাকবে না ।
প্রিয়তম আমি তোমাকে অপমান করাতে ছাই না । আব্বা তোমার সাথে আমাকে কিছুতেই বিয়ে দিবেন না । আব্বা আমাকে দূরে কোথাও বিয়ে দিতেই চান না ।
কিন্তু আমি তোমার সাথে সাতসমুদ্রের ওপারে হলেও যাতে রাজি ।
তুমি বাড়ী যাবে এক সপ্তাহের জন্য শোনার পর থেকেই আমার চোখের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছে । আমি তোমাকে না দেখে এক সপ্তাহ কেন একটি দিনও যে থাকতে পারি না । আমার মাথার কসম, যত তাড়াতাড়ি পার চলে এস । যদি না আস আমি কিন্তু এন্ড্রিন খেয়ে ফেলব ।
আমাকে বাঁচাতে হৈলেও তাড়াতাড়ি চলে এসো ।
শরীরের যত্ন নিও । নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করো । আর এই অভাগিনীকে মনে করো । তোমার পথ চেয়ে বসে আছি ।
ইতি তোমার প্রেমের কাঙাল
মোসাম্মাৎ আয়েশা বানু ।
শনির আখড়ায় খালার বাসায় এসে লুঙির জন্য পলিঠনের থৈলাটা খুইলা দেখি ভিতরে এই চিঠি । কোন ফাঁকে ঢুকাইয়া দিল কে জানে । লইজ্জায় মনে হৈল মাটি ফাইটা যাক আমি ভিতরে ঢুকি । ভাবছিলাম মাল পইড়া যাবার ব্যাপারটা আয়েশা খেয়াল করে নাই ।
অথবা ব্যাপারটা সে বুঝেও না । কি শরমের কথা ।
এই টাইফের প্রেমের চিঠি জীবনে একটাই মাত্র পাইছিলাম । কুলসুমা যখন তার মনের মায়ার কথা খুইলা বলছিল । তারপর থাইকা কখনও চিঠির দরকার হয় নাই ।
সেই চিঠি পইড়া সাথে সাথে ছিঁড়া পানিতে ফালাইয়া দিছিলাম । ঘরে আট ভাই । নিজের বৈলা কিছু নাই । পান্জাবি লুঙি বিছনা সবই সবাই মিলা ব্যবহার করতে হৈত । বড় ভাইর হাতে পড়লে আমারতো খবর হৈতই কুলসুমার গায়েও কলঙ্কের কালি লাগত ।
জিনা নিয়া বড় ভাইর মিজাজ খুবই কড়া । অবশ্য কুনডা নিয়া যে না সেইটাও ভাইববার কথা ।
এখনতো নিজের একখান ঘর একখান বিছনা একখান টেবিল আছে । তাই ভাইবলাম চিটিটা রাইখা দিই । কিন্তু আইতে তো চাইছি পলাইয়া ।
আবার ঐখানে ফিরা যাবার মত সাহস পাইতাছি না । খালত ভাইডারে জিগাইতে হৈব । ঐডা ভালো পরামর্শ দিতে ফারে । বয়সে আমার ছুড হৈলেও পুলা বাল পাকনা । বুঝে বহুত ।
খালত ভাইর কাছে আমি খুইলা বলি সব কতা । কুলসুমা মোন্তাজির আয়েশা খালেদা বেবাকতের বেবাককিছু । মোন্তাজির এখন কৈ জানতে চাইলে মুখ ফসকাইয়া বৈলা ফেলি ফিলিস্তিনে মরতে গ্যাছে । বৈলাই মনে হয় কোরান ছুঁয়াইয়া শপথ নিছিলেন মোহতারাম ছাব । শেষে ওরে কিরা কসম কাইটা স্বীকার করাই কারো কাছে কুনোদিনও এই কতা কারুরে যেন না কয়।
ভাই কয় ফিরা যাইতে মাধাইয়া । গিয়া আরো তিন চাইর মাস থাইকা তারপর গেরামে চৈলা যাইতে । তদ্দিনে বাপ বড় ভাইর রাগ কমব । আর আয়েশা যেহেতু কৈছেই আরো ছয় মাস সময় আছে তাইলে আয়েশাও কুনো বড় ঝামেলা করব না । কিন্তু বারবার খালি মানা করে খবরদার আন্জা আন্জি দুধ ধরাধরি যাতে কুনোরকমে না করি ।
এই মাইয়া পুরা মনপ্রাণ দিয়া নাকি আমারে ভালোবাসে । আরেকটু আগাইলেই মাইয়ার ফিরার পর থাকবো না । তখন একটা কেলেঙ্কারি ঘইটা যাইব । মাহবুবের পরিবাররে অন্তত এই ঝামেলায় ফালানো ঠিক হৈব না । নিমকহারামিরও একটা সীমা আছে ।
নফসের উপর একসময় মনে হৈত অনেক কনটোরোল আছে আমার । চাইর পাঁচদিন থাকতাম হাত না মাইরা । কিন্তু দিনদিন মনে হয় কমতাছে । খালত ভাইর আন্জাআন্জির কতা আমি হাইসাই উড়াইয়া দিই । আরে ধুর মিয়া , মাথা খারাপ মনে করছ নাকি আমার ।
কিন্তু মনে মনে খালি সেই নরম উষ্ণ শইল্যের ছোঁয়ার কথা , সেই কোমল হাতের কথা ভাসে আমার । নাকে অচিন দ্বীপের সুগন্ধ । শ্বাসকষ্টের মত মনে হৈতে থাকে ।
ফেনীর বাসে যখন উঠি তখনও মনের দোটানা কাটাইতে পারি নাই । খালত ভাইরে বলি লুকাল বাসে ভাড়া কম হৈব, তাই উঠছি ।
কুমিল্লার বাস সব ভাড়া বেশি । কিন্ত মনে আমার অন্য চিন্তা । পারমু না পারমু না আমি নফসের সাথে । বাড়িই ফিরা যামু । মাধাইয়া ইস্টপিজ যখন পার হৈয়া যাইতে থাকে , বুকের মইধ্যে মনে হৈতে থাকে আমার বড় বড় টুকরা ধৈসা পড়তাছে ।
সুগন্ধি দ্বীপের ঘেরাণ এই জীবনে আর পামু না এইটা মনে হৈলেই সব খালি খালি লাগা শুরু করে । ময়নামতি নাইমা যাই উল্টাদিকের বাসে উঠব বৈলা । নাইমা আবার মনে হয় পারমু না পারমু না নফসের সাথে । এক ঘন্টা ময়নামতিতে ঘুরঘুর কৈরা আমি আবার ফেনীর বাসে উইঠা যাই ।
রেল ক্রসিং এ নাইমা বাড়ি পর্যন্ত পথটা খালি বুক ধুকধুক করতে থাকে ।
বাড়ির সামনের পুকুর পাড় থেকে দেখি আব্বা চেয়ারে বসা , দরজার সামনে ।
------------------------------------------------
কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-৫ Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।