আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-১১

কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস

আমার নবি করিম সল্লেল্লাহু আলাইহিস সালাম, রাহমাতুল্লিল আলামিন যখন মিরাজে গিয়ে জাহান্নাম দেখলেন, তিনি কি দেখলেন ? দেখলেন, জাহান্নামে খালি মহিলা আর মহিলা । দয়ার নবী জিব্রাঈলকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে জিব্রাঈল জাহান্নামে এত মহিলা কেন ? জিব্রাঈল বল্লেন ইয়া রাহমাতুল্লিল আলামিন , নারীদের অধিকাংশই জাহান্নামের আগুনে পুড়বে কারণ তাদের তুষ্টি নাই । অনেক পেলেও তারা সন্তুষ্ট থাকে না । তারা স্বামীর কিংবা আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় করে না । তো দেখেন ভাইসকল, আইজ আমাদের চাইরপাশে কি দেখতে পাই আমরা ? একটা সামান্য দুর্ঘটনাতেও আমাদের মেয়েরা আল্লাহপাকের বিরুদ্ধে অসন্তুষ্টি প্রকাশ কৈরা ফেলে ।

আল্লাহর কি বিচার ? আল্লাহ আমারে ক্যান এই ঝামেলায় ফালাইল ? এই জ্বাতীয় কথা তারা হামেশাই বৈলা ফেলে । অথচ তারা দেখেনা আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন তাদের কত নেয়ামতের উপরে রাখছেন । নেয়ামতের শোকর-গুজারি করে না । পুরুষ কত কষ্ট কৈরা মাথার ঘাম পায়ে ফেইলা শহরে বন্দরে খেতে খামারে কল-কারখানায় রক্ত ফানি কৈরা ট্যাকা কামাই করে । দিনশেষে ঘরে ফিরলে কি পায় ? পচা মাছ নিয়া আইছ ক্যান ? এইডা একটা শাড়ি হৈল ? এক ধোয়াতেই রঙ উইঠা যাইব ।

কত শত অভিযোগ । আরো কত অভিযোগ আছে ভাইসকল ভালোই জানেন , সেইগুলা এইখানে বলা যায় না । উম্মুল মুমেনিন , আমার নবির পরিবারবর্গ , খাতুনে জান্নাত ফাতেমা তুজ জোহরা , এরা ছিলেন আদর্শ নারী । দয়ার নবির ঘরে যখন খাবারও ছিল না তখনও তার কুনোদিন বিন্দুমাত্র অভিযোগ করেন নাই । সবাই মিলা উপবাস করছেন, তাও আল্লাহপাকের উপরে কিংবা দয়ার নবির উপরে অসন্তোষ প্রকাশ করেন নাই ।

আল্লাহপাকের হুকুমে দয়ার নবি বিবাহ করেছেন, কুনোদিন উনার কুনো বিবি দুইকথা বলেন নাই । অথচ আইজ দেখেন আমাদের সমাজে দুই সতীন ঠিকমত ঘর করতে পারে না । চুলাচুলি লাইগাই আছে । আর দেখেন এই বেশরিয়তি বেদ্বীন সরকার আইন করে দ্বিতীয় বিয়া করতে হৈলে নাকি প্রথম বউয়ের অনুমতি লাগবে । দেখেন কুরানের স্পষ্ট আইনের বিরুদ্ধে কি ধৃষ্টতা ।

এই বেদাতি আইনের বিরুদ্ধে ভাইসকল আমাদের জানমাল কুরবানি কৈরা লড়তে হৈব । খাতুনে জান্নাত ফাতেমা তুজ জাহরা যখন ইন্তেকাল করেন তখন তিনি প্রানপ্রিয় স্বামী হযরত আলী (রাঃ ) কে ডেকে বলেন : হে স্বামী জীবনে আমারে কোনো দ্বিতীয় পুরুষ দেখে নাই তুমি ছাড়া । আমার মরার পরেও যেন কেউ দেখতে না পারে । তাই আমারে কবর দিও রাত্রে । আমার কবরও যেন কেউ দেখতে চিনতে না পারে ।

কেউ যেন বুঝতে না পারে আমার কবর দেইখা আমি দৈর্ঘ্যে কতটুকু ছিলাম । ভাইসকল, আদর্শ নারী হৈল সেই নারী যে জীবনে দুইবার মাত্র ঘর থাইকা বাইর হয় । যেদিন সে বিবাহ কৈরা স্বামীর ঘরে যায় আর যেদিন তার লাশ তার স্বামীর ঘর থাইকা বাইরে নেয়া হয় । অথচ দেখেন আমাদের সমাজে , কিশোরি যুবতী মেয়েরা চুল ছাইরা ইশকুলে যাইতাছে । আমাদের ঈমানি রক্ত ঠান্ডা বরফ হৈয়া গেছে ।

তাই আমরা আজও এইসব সহ্য কৈরা যাইতাছি । ছয় বচ্ছর বয়সে নারীর উপর পর্দা ফরজ হৈয়া যায় । ইসলামি খেলাফত ইরানে কোন মেয়ের চুল ছারা দেখলে সেই চুলে আগুন ধরাইয়া দেয়া হয় । আইজকার বাংলাদেশে যদি একটা মাইয়ারে এই শাস্তি দেয়া হৈত , তাইলে এইসব বেশরিয়াতি কারবার কি থাকত ? কন ভাইসকল থাকত ? আওয়াজ দেন । আমাগো ঈমানি বল কি এত নীচে নাইমা গেছে ? অর্ধেক পৃথিবীর শাসন কইরা আসা মুছলমানগো রক্ত কি এতই ঠান্ডা হৈয়া গ্যাছে ? ভাইসকল, নারীরা জন্ম থাইকাই বেঁকা ।

তাকো কথা বেঁকা, হাসি বেঁকা, চলনবলন বেঁকা, বুদ্ধি বেঁকা । আল্লাহপাক তাগোরে বানাইছেনই বেঁকা কৈরা । বাবা আদমের বুকের হাড় থাইকা মা হাওয়ারে তৈরী করেন আল্লাহ পাক । বুকের হাড় দেখেননা কিরকম বেঁকা । এই বেঁকা নারীদের সোজা করার দায়িত্ব দেয়া হৈছে পুরুষরে ।

আল্লাহপাক কোরানে প্রয়োজনে নারীদের মাইরধইর করারও অনুমতি দিছেন । মখলুকাত সম্পর্কে কি আল্লাহর চাইতে বেশী কেউ জানে ? আওয়াজ দেন ভাইসকল কেউ জানে ? অথচ দেখেন ইহুদি নাছারাগো দালাল এনজিওগুলা আইজ নারী নির্যাতনের ধূয়া তুইলা কোরানের বিরুদ্ধে চালাইতাছে সরকাররে । এই এনজিওগুলা একেকটা দুযখের কুন্ডলি । ঈমানের জোর দিয়া এইগুলারে ঠেকাইতে হৈব । ওরা কি আল্লাহপাকের থাইকা বেশি জানে ? ওরা কোরানের বিরুদ্ধে কথা কয় কুন সাহসে ? আল্লাহপাক নারীর উপর খবরদারির দায়িত্ব ভাগ কৈরা দিছেন তিন ভাগে ।

বাল্যকালে বাপের , যৌবনে স্বামীর , আর বার্ধ্যকে পুত্রের । ভাইসকল নিজ নিজ দায়িত্ব ঠিকমত পালন না করলে কাইল হাশরের ময়দানে নারীরা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করবে, আমারেতো বানাইছই বেঁকা কৈরা , যাদের উপর দায়িত্ব ছিলো আমারে সোজা করার তারাতো সেই দায়িত্ব পালন করে নাই । তাই আইজ আমারে যদি দোযখে দাও তাইলে আমার বাবা স্বামী পুলারেও আমার সাথে দুযখে দাও । ভাইসব কথায় যুক্তি আছে কিনা কন ? আদর্শ নারী ছিলেন , হযরত আইয়ুব নবীর বিবি রহিমা (রাঃ ) । আপনার জানেন আইয়ুব নবীর জীবনের আঠারটি বছর আল্লাহপাক তার উপর কঠিন পরীক্ষা নাযিল করেন ।

নবির সারা অঙে পচন ধরে যায় কুষ্ঠ রোগে । আত্নীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশি এমনকি নিজ রক্তের ছেলেরাও তারে পরিত্যাগ কৈরা চইলা যায় । কিন্তু বিবি রহিমা যান নাই । নিজের সমস্ত শক্তি দিয়া নবির সেবা করে গেছেন । বেহেশতের সুস্বাদু ফল কি বিবি রহিমার জইন্য নাকি আমাদের অকৃতজ্ঞ জোলেখা, সখিনা, খালেদার জইন্য ।

তাই ভাইসব, নিজ নিজ অধীনস্ত নারীদের গইড়া তুলতে হৈব নিজ দায়িত্বে । কাঁচায় না বাঁকাইলে বাঁশ পাকায় করে ঠাসঠাস । সবচে বড় দায়িত্ব তাই পিতার উপর । ছুডকাল থাইকা দ্বীনি এলেম শিক্ষা দিতে হৈব নিজ কইন্যারে । পর্দার ছবক দিতে হৈব ২/৩ বছর বয়স থাইকাই ।

তাইলে পর্দা ফরজ হওনের আগেই অভ্যাস হৈয়া যাইব । এই বেদ্বীনি বেশরিয়তি ইশকুলে যাওন বন্ধ করতে হৈব । ইশকুলে দেখেন পুলা মাইয়া একলগে কেলাস করে । খোদা মাফ করুক , কত হাজারবার জিনা হৈতাছে সেখানে ভাইবা দেখেন । জিনা খালি শইল্যের লজ্ঝাস্থানের জিনাই না ।

চোখের জিনা, কানের জিনা, হাতের জিনা কতরকমের জিনা আছে । এই গোমরাহির শাস্তি আমাগো উপরেও পড়বো । আমরা যদি এই গোমরাহি প্রতিরোধ না করি । শেষের দিকে হঠাৎ আমার কুলসুমার কথা মনে আসে । তাই বলি : তয় ভাইসকল, নারী হৈল মায়ের জাতি ।

তাই নারীর অসম্মান যেন আমরা না করি । হাদিসে পাকে আসছে, এক সাহাবি নবি করিম সাঃ এর কাছে জানতে চাইলেন, হে নবী পাক আমার বাবা মা দুইজনেই জীবিত আছেন আমি কার হক আগে আদায় করব ? নবী বললেন তোমার মায়ের । সাহাবি বল্লেন এরপর কার ? নবী পাক আবার জবাব দিলেন তোমার মায়ের । এইভাবে তিনবারের পরে চতুর্থবারে গিয়া নবি পাক বল্লেন তোমার বাবার । তাই ভাইসকল , নারীদের শিক্ষা দিতে গিয়া আমরা যেন তাদের সম্মানের কথা ভুইলা না যাই ।

নামায শেষে বাইর হৈয়া মনে মনে ঠিক করি দুএকদিনের মইধ্যেই ফেনী যাইতে হৈব । ডাকতরের কাছে । -------------------------------------------------- কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-১০ Click This Link

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.