আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাবলো নেরুদার দেশে - ২

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

দুবাই থেকে সাওপাওলো ১৪ ঘন্টার ফ্লাইট। টিকিট দেখতে দেখতে মুখস্থ হয়ে গেলেও প্লেনে ১৪ঘন্টা হয় আসলে কত ঘন্টা ঠায় বসে থাকলে সেটা বোঝা বাকি ছিলো। মিডল-ইস্ট থেকে আমেরিকা মহাদেশের যে কোনো প্রান্তে যেতে সময়টা কমবেশী এমনই লেগে থাকে। কিন্তু আমার এশিয়ার মধ্যে কোথাও প্লেনে যাবার অভিজ্ঞতা নেই। আর প্লেনে যতটুকু চড়েছি সেটা এমন ভয়াবহ উচ্চতায় আর এত দীর্ঘসময়ের তুলনায় হর্সরাইডিং।

ফলে মহান কাবজাবের কাছে প্রার্থণা করেছিলাম সিট যেনো জানালার পাশেরটা পড়ে আর আমি যেনো ফিরতে পারি চিলি ঘুরে বেঁচেবর্তে। দুটো প্রার্থনা মহান কাবজাব রেখেছিলেন। জানালার পাশে বসে সারাক্ষণ বাইরে তাকিয়ে থাকা ছিলো আমার প্রারম্ভিক অনুরাগ। ঢাকা থেকে দুবাই ফ্লাইং গেছে মূলত তিন পেগ হুইস্কিতে। এত ভয়ংকররকমের ক্লান্ত ছিলাম যে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি টের পাইনি।

রাত ৯টায় ফ্লাইট আর আমি বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছিলাম অফিসে। অতপর দৌড়ে এমিরেটসের অফিসে গিয়ে হোটেল ভাউচার কালেক্ট করা, মিরপুর বাসা থেকে গাট্টিবোচকা বেঁধে ফ্লাইটের দুই ঘন্টা আগে এয়ারপোর্টে পৌঁছানো - সম্ভবত গডের দুই ভগ্নিপতি একদম নিজের পরিচারিকা পাঠিয়ে আমাকে সাহায্য করেছিলেন বলেই সম্ভব হয়েছে। কিছুক্ষণ পরে, যখন মনে হলো আফ্রিকাতে পৌছে গেছি - আমার সত্যিই ধারণা হয়েছিলো নিচে তাকিয়ে জংগল দেখবো অথবা মরুভূমি। নিদেনপক্ষে কিছু কালো কালো মানুষের দৌড়ঝাপ। যেভাবে তাকিয়ে ছিলাম তাতে সেটাই যে কেউ ধরে নেবে।

কিন্তু মেঘ এবং তারও নিচে মেঘ এবং আরো নিচে কেবল মেঘ ছাড়া বস্তুত আর কিছুই দেখার রইলো না। সামনে ছোট্ট একটা স্ক্রিনে, কতদূর এলাম, কতদূর আর যেতে হবে - সময় কত, ইত্যাদি নানা তথ্যে ঠাসা। ইচ্ছে করলে দেখা যায় সামনে এবং নিচে কি আছে। অচিরেই খুঁজে পেলাম বিশাল এক মুভি/সিরিয়ালের আর্কাইভ। বেছে নিলাম ফ্রেন্ডস - এবং এর পরের গল্পটা অতিসাধারণ।

পুরো চোদ্দ ঘন্টা আমি ফ্রেন্ডস দেখেই কাটালাম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।