মনের জানালায় দাঁড়িয়ে ভাবনাগুলোর মিলিয়ে যাওয়া দেখি। গুচ্ছ গুচ্ছ মেঘ হয়ে, ঐ দূর দিগন্ত পানে...
খাবার খাচ্ছিলাম, খেতে খেতে একটা দৃশ্য ভাসছিল চোখের সামনে।
দেখছিলাম দুজনে পাশাপাশি হাঁটছি একটা পার্কে, গাছের নীচ দিয়ে। নীচে ঘাসের উপর সারি সারি চেরী ব্লসম ফুল ঝরে পড়ে রয়েছে -
: তিথি, তিথি...কি সুন্দর নাম তোমার
: ( হাসি )
: তিথি মানে প্রহর?
: মনে হয়
: তা কিসের প্রহর আজ?
: আলাপনের :-)
হাসি ধরা দিল ঠোঁটের কোণে। আবার খাবার খাওয়ায় মন দিলাম।
একটু পর আবার উঁকিঝুঁকি মারতে লাগলো আরেকটা দৃশ্য -
ব্রাজিলিয়ান সাম্বা দেখছিলাম কলেজের কালচারাল অনুষ্ঠানে বসে। তো এক নাচনেওয়ালীর হাসি দেখে মনে হচ্ছিল হাসিটা একটা ফুলের মাঝে বন্দী করে ললনাকে উপহার দিলে কেমন হয়।
এই দৃশ্যের মাঝে উঁকি দিল আবার আরেকটা দৃশ্য -
: এক কাজ করলে কেমন হয়। তোমার সাথে যার বিয়ে হচ্ছে তার সাথে ডুয়েল লড়লে কেমন হয়? লড়াইয়ে যে জিতবে সেই তোমাকে পাবে।
: ডুয়েল!
: হ্যাঁ ডুয়েল।
তোমাকে এত সহজেই পাবে কেন! একটু কষ্ট করুক না :-)। অবশ্য জিতলেও হার হতো আমারই। আমার বিজয়ী মৃত্যুই পারে আমাকে তোমার করতে...
বুঝছি সিনেমা হয়ে যাচ্ছে। কি করবো, দৃশ্যগুলো সব এমন করে চোখের সামনে ভাসছে যে।
মৃত্যুর কথা ভাবতে যেয়ে রবিঠাকুরের একটা লাইন মনে পড়ে গেল -
"হে সুন্দরী, হে মনোহারিণী, হে বিশ্বজয়িনী, হে মনপ্রানপতঙ্গের একটিমাত্র দীপশিখা, হে অপরিসীম জীবন, হে অনন্তমধুর মৃত্যু"
...
চেরী ব্লসমের কথা লিখছিলাম উপরে।
সেদিন গিয়েছিলাম চেরী ব্লসম ফেস্টিভ্যালে। সেখানে তোলা নীচের ছবি কটা দিলামঃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।