মনের জানালায় দাঁড়িয়ে ভাবনাগুলোর মিলিয়ে যাওয়া দেখি। গুচ্ছ গুচ্ছ মেঘ হয়ে, ঐ দূর দিগন্ত পানে...
মনের জানালা দ্বারে দাঁড়ানো হয়নি আজ অনেকদিন। হঠাৎ ইচ্ছে করলো জানালাটা মেলে ধরি। প্রাণভরে সুভাস নিই দখিনা হাওয়ার। একটা ঠান্ডা হাওয়া ভেসে আসছে।
বৃষ্টি হয়েছিল সন্ধ্যার দিকে। ভেজা বাতাসে ঘ্রাণ নিতে নিতে কল্পনার নদীতে শব্দ-তরী ভাসিয়ে এই আমি চক্ষু মুদলাম।
একটা দৃশ্য ভাসছে কল্পনায়। অফিস থেকে ফিরছি। একটা স্টেশনে ট্রেন বদলাব, অপেক্ষা করছি ট্রেনের জন্য।
ট্রেনের দেখা নেই। এদিক সেদিক তাকাই, অপেক্ষা করি কিন্তু দেখা নেই ট্রেনের। কিছুক্ষণ পর ডানদিকে তাকাতেই দেখি সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছে এক অপরিচিতা। মুহুর্তগুলো যেন সেখানেই থমকে দাঁড়ালো। ধীরে ধীরে নেমে আসছে সে, আমি অপলকে তাকিয়ে রয়েছি তার দিকে।
ঠিক সেই মুহুর্তে ট্রেনটাও কোথা থেকে উদয় হল। ট্রেনের গতির কারণে অপরিচিতার চুলগুলো হঠাৎ এলোমেলো হয়ে গেল। সে নেমে আসছে, চুল ঠিক করছে, আর আমি বিমোহিত হয়ে তার দিকে চেয়ে রয়েছি। কয়েকটি মাত্র মুহুর্ত। কিন্তু ছবির মতোন স্পষ্ট মনে পড়ছে সব।
দখিনা হাওয়ায় তোমার চুলে
ছুঁইয়ে ছুঁইয়ে যায় এলোমেলো করে
কয়েকটি চুলে ঢেকে যায়
তোমার একটি চোখ।
পার্থ-র গাওয়া পছন্দের একটা গান :=)। লিখতে যেয়ে লাইনগুলো মনে পরে গেল।
ঝরা-পাতার দিন আসছে। দিগন্তে ঐ তার রথের কেতন দেখা যায়।
শীত আসার আগে এখানে আরেকটা ঋতু আসে, Autumn। আপাতত সেই আসছে। শীতের আগাম বাণী নিয়ে।
মনটা আজ কোন এক অদ্ভুত কারণে ভীষণ ভালো। হতে পারে হৃষ্টপুষ্ট একটা চেক পাওয়ার কারণে।
বা নতুন কিছু অভিজ্ঞতার কারণে। দুজনের ইন্টারভিউতে অংশ নিলাম। এ আমার জন্য অন্যরকম ভালোলাগার একটা অভিজ্ঞতা।
মাধবীলতাকে দেখলুম আজ অনেকদিন বাদে। বাহারী চালের চলনে সেই আগের মতোই দিনের আকাশে রঙের পরশ লাগিয়ে দিয়ে গেল।
অফিসে এইরকম এক আধটা দরকার আছে বুঝি ;=)
অপরিচিতার একটা ছবি পেলুম। এখানে সেটি লাগিয়ে দেওয়ার লোভটা আর সংবরণ করতে পারলাম না :=P
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।