বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার রায় কার্যকর করার পর সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে জানিয়েছেন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবি তাজুল ইসলাম বলেছেন, সব রাজাকার যুদ্ধাপরাধী নয়। এই মুহূর্তে সরকার রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রকাশ করবে না। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন। সংসদ সদস্য খন্দকার আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মেজবাহউদ্দিন আহমদ, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভিসি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান বক্তব্য রাখেন।
আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার পেতে আমাদের ৩৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে আমরা রায় কার্যকর করতে পারব। এরপর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হবে। এই সময়ের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে জাতি তাড়াহুড়ো করলে লেজেগোবরে হয়ে যাবে। সরকার নির্দিষ্ট কোনো দল বা সব রাজাকারের বিচার করবে না।
যারা হত্যা, লুণ্ঠন, নারী ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তাদের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাজার হাজার যুদ্ধাপরাধীর বিচার একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। প্রথমে চিহ্নিতদের বিচার করা হবে। যার সংখ্যা ২০, ২৫ বা ৫০ হতে পারে। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় যাওয়ার পর দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি সুযোগ করে দেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি প্রথমবার ক্ষমতায় যাওয়ার পর কিছু উচ্ছিষ্ট নেতা ওই দলে যোগ দেয়। ওইসব নেতা এখন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আরেক ব্যক্তিকে সমান্তরাল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়েছ
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।