আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুদ্ধাপরাধী নেই?



বার এসোসিয়েশনের সভাপতি বলেছেন দেশে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই। পত্রীকার পাতা অবলম্বনে "বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই। ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে আওয়ামী লীগ সরকারই ছেড়ে দিয়েছিল। এখন বিএনপি ও জামায়াতের রাজনৈতিক ঐক্য ঠেকাতে তারা যুদ্ধাপরাধের বিচারের কথা বলছে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে হলে আগে পাকিস্তানি আসল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে।

রাজনৈতিক কারণে কেউ স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করলে তাদের বিচার আগে হতে পারে না। ১৯৭৩ সালের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল শনিবার নিউইয়র্ক সিটির সেন্ট জন কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজন করা হয় এই সেমিনারের। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফর বাংলাদেশ-এর সভাপতি মাহতাব উদ্দীন আহমদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, পত্রিকা কী লিখল বা কে কী বলল তার ভিত্তিতে কোনো বিচার হয় না।

রাজনৈতিক কারণে বিভিন্ন মহল বা প্রকাশনা অনেক কিছুই লিখতে পারে। সেটিকে মৌলিক উপাত্ত হিসেবে ধরে নিয়ে কারো বিচার হতে পারে না। অভিযোগ প্রমাণের জন্য প্রত্যক্ষ সাক্ষীসহ বিচারিক বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করতেই হবে। অন্যথায় দেশ বা আন্তর্জাতিক মহলে এ ধরনের বিচার গ্রহণযোগ্য হবে না। এটি হবে রাজনৈতিক প্রহসন।

তিনি বলেন, নুরেনবার্গ ট্রায়ালেও কাউকে অভিযুক্ত করতে যে ধরনের বিধিবিধানের কথা রয়েছে বর্তমান সরকারের যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইবুন্যালে তা-ও নেই। কেউ এসে কিছু বললেই একজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে এটি কোনো বিচার হতে পারে না। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে হলে আগে আসল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করুন। সেখানে আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা ও সমর্থন থাকবে। "


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.