আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাটতে হবে অনেক

আমার ব্যক্তিগত ব্লগ

আব্বার শরীরটা ভাল যাচ্ছেনা, তাই এজি অফিসে যাওয়ার সময় আমাকেও সাথে নিলেন। আমি তো আর একা না। আমার অবিচ্ছেদ্য অংশ শাফিনও (আমার ২ বছরের ছেলে) রইল সাথে। রিক্সায় যাওয়ার সময়, আব্বা বলতে থাকলেন। এজি অফিস হলো অনেক বড় অফিস।

হাটতে হাটতে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। সাড়া বাংলাদেশের সব সরকারী কর্মচারীদের পেনশন হয় এখানে। কথাগুলো শাফিনও মনোযোগ দিয়ে শুনছিল। সেটা বুঝলাম এজি অফিসে গিয়ে। রিক্সা থেকে নামার সাথে সাথে বলল, হাটতে পারছিনা।

মানে সে এখানে হাটবেনা। তাই সই কোলে নিলাম। এই অফিস বাইরে থেকে অনেকবার দেখেছি। কিন্তু এতো বড় সেটা ভিতরে গিয়ে দেখলাম। বিল্ডিংয়ের একপাশে লিফট দিয়ে উঠলাম।

লিফটে ৪ প্রেস করা হলো, যখন দরজা খুললো, লেখা দেখালো ৩। আব্বা বললেন, আসলে ৫ তলায় এসেছি। এরপর শুরু হলো যাত্রা। এই গলি পার হয়ে সেই গলি, তারপর আরেক গলি। গলির পর গলি।

আমি সুস্থ্য মানুষ হয়ে হয়রান হয়ে গেলাম। বুঝতে পারছিলাম, আমাকে এখানে একা কোন কাজে পাঠালে খবর আছে। শেষ পর্যন্ত পৌছলাম কাংখিত ঘরে। কাজ শেষ হলে এবার শাফিন হাটা শুরু করলো, আসার সময় ও মনে মনে মেপে দেখেছে, আসলে কতটুকু হাটতে হয়। তাই এবার ও নিজেই হাটতে থাকলো।

আমাদের অবাক করে বেশ কিছু গলি ও নিজেই ঠিক মতোন মোর ঘুরলো। নানার যোগ্য নাতি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.