আপনি যদি বাংলাদেশে খেয়ে পড়ে বেচে থাকতে না পারলেন তাহলে রাজাকারের বিচার চাওয়া বা না চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। একটু লক্ষ করলে হয়তো দেখবেন গেলো সপ্তাহে শুধু একদিন বাদে বাকি সব দিন হরতাল ছিল। এর অর্থ কি বলতে পারেন ? দরিদ্র সীমার উপরে যারা আছে তাদের হয়তো খুব বেশি ক্ষতি হচ্ছে না বা হলেও তারা তা কাটিয়ে উঠতে পারবে। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বাস করে। যেখানে প্রতিদিন কাজ করে তাদের নুন আনতে পান্তা ফুঁড়ায়, সেখানে চার দিন কাজ করতে পারে নি তারা।
গাড়ি চালক, হকার, রিক্সা চালক, পথ ব্যাবসায়ী এমন কি রাস্তায় ভিক্ষা দেওয়ার মতো মানুষ না পেয়ে ভিক্ষুকের মুখ দিয়েও তখন বের হবে, আমি ফাঁসি চাই না, হরতাল ও চাই না, বম বা গুলি খাইয়া মরতেও চাই না।
হরতালের কারনে মালামাল পরিবহন বন্ধ। এর অর্থ হচ্ছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। তাতে দরিদ্র মানুষ বাদ দিলাম, একটা বিপুল অংশ মধ্য বৃত্ত যাদের গলায় দড়ি দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না একসময়।
যেখানে আমাদের অর্থনীতির কোমর ভাঙ্গা সেখানে আমরা ৪২ বছর আগের রাজাকারদের পেছনে দৌড়িয়ে হয়তো ফাঁসি আদায় করবো কিন্তু সেই ফাঁসির মূল্য যে কত বড় দিতে হচ্ছে তা আমরা পত্রিকা দেখলেই বুঝতে পারছি।
হয়তো রাজাকার শেষ করতে করতে আমরা সত্যি সত্যি ৪২ বছর পেছনে চলে যাবো। নতুন কর শুরু করতে হবে এই দেশটাকে...
আমরা ৪২ বছর পর এসে রাজাকার নির্মূল করতে আমাদের সব কিছু বিলিয়ে দিচ্ছি। কেন ভাই? আগে কি হয়েছিলো? গত ৪২ বছর তো ঠিকই রাজাকারদের সাথে আপস করে থেকেছি এই দেশে। আগে তারা এতটা শক্তিশালী ছিল না, কিন্তু এখন তাদের হিংস্রতা দেখলে বুঝা যায় তারা কতটা সঙ্গবদ্ধ। তবে আরো আগে কেন রাজাকারের বিচার চাই নি?
আমিও রাজাকারের বিচার চাই।
তাই বলে আমি চাই না ঐ দু-একজন কুকুরের জন্য আমাদের দেশের শত শত মানুষ মারা যাক। দেশটা জাহান্নামে পরিণত হোক। যদি আপস করতে না চান তাহলে আগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে সেটা জেনে নিন এবং তা থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।