আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন সিইও সুমাইয়া কাজি

চলছে গাড়ি যাত্রাবাড়ি।

) প্রাঞ্জল সেলিম ( জন্মসূত্রে সানফ্রান্সিসকোর মেয়ে সুমাইয়া। বয়স প্রায় ২৪ ছুেঁয়ছে। ইতমধ্যেই তার ক্যারিয়ার মোটামুটি সুরুক্ষিত একটা অবস্থানে চলে গেছে। তাকে ওনলাইন মিডিয়া পাবলিশিং কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা পর্যায়ে গন্য করা হয়।

এটি হলো চার ঘরানার ওয়েব সাইটের মিশ্রন একটি সাইট, ‘কালচারাল কানেক্ট’। এতে ই-ম্যাগাজিনও রয়েছে, যেগুলো ফোকাস করে সেই মানুষদের প্রতি যারা পুরোপুরি প্রফেশনাল না। সাউথ এশিয়ানস, মিড ইস্ট কানেক্ট, ল্যাটিন কানেক্ট এর মতে অন্যান্য দেশীয় কিছু সাইটও এ পদক্ষেপের সাথে যুক্ত। এ ধরনের প্রতিটি সাইটই তরুণ প্রতিভাদের খুজেঁ নেয়ে আসে যারা বড় মাপের কোন উদ্দ্যোক্তা নন। কিন্তু তারা বিভিন্ন করপোরেট কোম্পানির সাথে জড়িত এবং সেই সাথে নন প্রফিটেবল কাজ করে চলেছেন।

সুমাইয়ার এ সাইটের প্রধান আলোচিত ফিচার হলো, ‘দ্য কানেকশন পয়েন্ট’। এটি এমন এক টুল যা সকল ফিচারর্ড প্রফেশনালদের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এমনই আরো একটি সাইট, আফরিকানা কানেক্ট নামানো হয় ২০০৭ সালের জানুয়ারী মাসে। কালচারাল কানেক্ট সাইটটি প্রথম দর্শনে যেমন কালচারাল কানেক্ট, নামটির মধ্যেই সাইট সম্পর্কে তথ্য রয়েছে। নাম শুনলেই ধরনা করা যায় যে এটি একটি কানেক্টিং সাইট।

সাইটের সব আলোচনা অনূর্ধ্ব ৩০ নিয়ে। এবং এটি নিজে থেকেই সক্রিয়। সুমাইয়া নিজে সাইটটি সম্পর্কে বলে, শুরুর কয়েক মাস পর্যন্ত সাইটটিতে কোন প্রকার বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা হয়নি। এরপরও সাইটের অ্যাকটিভিটিজ এর কারণে কয়েক মাসে ৫ লাখ ৬০ হাজার বার ভিজিট করা হয়েছে। এই সাইটের নিজেস্ব কোন অফিস নেই।

অনলাইনেই পুরো সাইট পরিচালনা করা হয় এখন পর্যন্ত। সাইটটিকে এককথায় অসংখ্য সাইটের লিংকেজ বলা যায়। সেই সাথে কিছু ব্যনার অ্যাডভাটাইজিং এর কাজ রয়েছে। শুরুতে সুমাইয়ার কাছে এ সাইটটি ছিলো তার অবসর সময় কাটানোর মাধ্যম। ধীরে ধীরে সাইটটি বানিজ্যিক রুপ ধারন করে।

বর্তমানে সুমাইয়া তার মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের তরুণ ম্যানেজার। সান মাইক্রোসিস্টেমের অন্তর্ভূক্ত কোম্পানি এটি। সুমাইয়া সম্পর্কে কিছু তথ্য সুমাইয়া কাজি, একাধারে আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত ইনোভেটর, লিডার, বক্তা ও পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন উদ্যোক্তা। তার সফল কাজের জন্য তাকে আমেরিকার বিজনেস উইক এর ‘বেস্ট ইয়ং ইন্টারপ্রেনর’ হিসেবে পুরস্কার দেওয়া হয়। তেমনই সিএনএন থেকে তাকে ‘ইয়ং পারসন হু রকস’ হিসেবে পরিচিতি দেওয়া হয় তাকে।

এছাড়াও সিলিকন ভ্যালি থেকে বিজনেস জার্নাল ‘উইমেন অব ইনফ্লুয়েন্স’ হিসেবে তাকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এবং সম্প্রতি ইউটিএনয়ি নামের এক পত্রিকায় ‘৫০ ভিশনারিজ চেঞ্জিং ইয়র ওয়ার্ল্ড’ এ ৫০ জন তরুন প্রতিভার ভেতর তার নাম স্থান পেয়েছে। এছাড়া টুকরো কিছু খ্যাতির মধ্যে প্রায় দেড়শটির মতো পত্রিকায় তার খবর ছাপা হয়েছে। শুধু তাই নয়, রেডিও, টিভিতে তার সফলতার কথা প্রচার করা হয়েছে। টপ আউটলেট হিসেবে সুমাইয়া সিএনএন এবং এবিসি নিউজ এর প্রধান নিউজ ফ্ল্যাশ হিসেবে পরিচিতি পায়।

বর্তমানে সুমাইয়াকে বিভিন্ন প্রফেশনাল কনফারেন্স এর জন্য ডাকা হয় এবং বিভিন্ন শিক্ষা বিষয়ক টপিক নিয়ে সেখানে আলোচনা করতে হয় তকে। তার প্রধার ইস্যু হলো তরুণ উদ্যোক্তাদের উত্সাহিত করা এবং সোস্যাল মিডিয়াকে আরো শক্তিশালি করে তোলা। গত ১০ বছর ধরে সুমাইয়া নন প্রফিটেবল কোম্পানিগুলো নিয়ে কাজ করে চলেছে। তার ভিশন হলো আরো উন্নতি করা, সামনে এগিয়ে যাওয়া, তবে তা একা নয়, পুরো সোস্যাল মিডিয়াকে সাথে নিয়ে। তার এ কোম্পানি ছাড়াও নিচেস্ব কিছু ভলেন্টিয়ারি কাজ রয়েছে।

খুদার্থদের সাহায্য করা, গৃহহারাদের সহায়তা, রক্তদান কর্মসূচি, হিউম্যান রাইটস ও শিক্ষা বিস্তারে কাজগুলো তিনি নিজেস্ব উদ্যোগেই করে সুমাইয়া কাজি। পাশাপাশি একটি মুসলিম নারি গোষ্ঠির সাথেও কাজ করে সুমাইয়া। সুমাইয়া সুমাজি কোম্পানির সিইও এবং উদ্যোক্তা। এ কোম্পানির কাজ হলো সেইসব মানুষদের খুজে বের করা যারা ট্যালেন্টেড কিন্তু সুযোগ বঞ্চিত। এ কোম্পানির সাথে যুক্ত পত্রিকাতে প্রতি সপ্তাহে সফল লিডারদের কথা আলোচনা করা হয়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.