s
'জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা-২০১১' বাস্তবায়নে আসন্ন বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেতারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি আয়োজিত ‘গণ সমাবেশে’ তারা এ দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জণ কর্মকার, কর্মজীবী নারীর সভাপতি শিরিন আক্তার, ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির পরিচালক আন্না মিনজ, আইন ও শালিস কেন্দ্রের রওশন জাহান পারভীন, অ্যাকশন এইডের নিগার সুলতানা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং।
অনুষ্ঠানে সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, একটি উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক এবং বৈষম্যমুক্ত সমাজ ও দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ এর পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নারী নীতির কোন ধারায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা হয়েছে এমন কথা উল্লেখ নেই। কিন্তু কিছু মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে দেশে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলায় লিপ্ত রয়েছে।
তিনি অবিলম্বে সরকারকে নারী নীতিমালার পূর্ণ বাস্তবায়নসহ কার্যকর কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের দাবি জানান।
তত্তাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর কারণে নারী নীতিমালা বাধাগ্রস্ত হতে পারে না। মৌলবাদী গোষ্ঠীরা নীতিমালার সম্পর্কে না বুঝেই অপব্যাখ্যা দিয়ে সমাজকে বিভ্রান্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কিছু নির্বোধ লোক এ নীতিমালার বিরোধিতা করছে। কোনো জ্ঞান বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এ উন্নয়নমূলক কাজের বিরোধিতা করতে পারে না।
আইইডির নির্বাহী পরিচালক নোমান আহমেদ বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তিরাই নারী নীতিমালার বিরোধিতা করছে।
জাতীয় নারী জোটের আফরোজ হক রিনা বলেন, গণমাধ্যম নারীর কর্মকে বড় করে দেখা হয় না। সহিংসতার দিকটাই বেশি করে প্রচারিত হলে সমাজে বিশৃঙ্খলার পরিমাণ বাড়বে।
সমাবেশ পরিচালনা করেন, ব্র্যকের পরিচালক শীপা হাফিজা ও স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমে›টের পরিচালক রেখা সাহা।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে সামাজিক প্রতিরোধের পক্ষে প্রায় ৬৭ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।