ট
আমি একজন আনারি লেখক। তবে সবসময় ভাবনা ও যুক্তিদর্শনে সন্মানজনক অবস্থানে থাকার চেষ্টা করি। প্রথমেই আমি ঢাকা শহরের প্রাশাসনিক ও প্রাইভেট প্রতিস্ঠানের হেড অফিসগুলোর বিকেন্দ্রিকরনের উপর জোর দিচ্ছি। কারন এই একটা উপায়ই বাকি আছে ঢাকা শহরের অস্তিত্ব রক্ষার্থে। যত উরাল সেতু, পাতাল ট্রেন, ডিজেটাল ট্রাফিক সিস্টেম এবং রাজনীতিবিদদের বড় বড় বাণী কোন কিছুই এ ব্যাপারে কার্যকারি ভুমিকা রাখতে পারবে না বলেই আমার বিশ্বাস।
কিন্তু কোন এক অজানা কারনে আমরা ঠ্যাং ছেড়ে লাঠি ধরে বসে আছি। নাগরিক অধিকার নিয়ে আমারা সচেতন থাকতে চাইলেও পারি না, নানামুখী বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয় আমাদের সামনে।
ঢাকা শহরে উপচে পড়া মানুষের ভীড়, পায়ে পায়ে গায়ে গায়ে পথ চলা আমাদের। সবাই জীবিকার সন্ধানে, কেউ কেউ সোনার ডিম পাড়া হাঁসের খোঁজে এসে ভীড় করছে ঢাকা শহরে। কিন্তু একটা জিনিস সত্যি যে ঢাকায় যারা আসছে তারা সবাই কেমন জানি ঢাকাইয়া বাতাস গায়ে লাগিয়ে উদ্ভ্রান্তের মত ছুটছে।
বিভিন্ন পেশার, বিভিন্ন অণ্চলের মানুষের এক অভুতপূর্ব মেলবন্ধন এই ঢাকা শহর। কিন্তু যত মানুষ আসছে ততই গরম হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। একদল লোক যারা মানুষকে নিয়ে ব্যাবসা করছে তারা চাচ্ছে ঢাকা একটা হট কেক হয়েই থাকুক, এতে জমে উঠবে কর্পোরেট বানিজ্য। আর ঢাকামুখী জনগন পালে হাওয়া দিতেই থাকবে।
প্রত্যেকটা জিনিসের একটা ধারন ক্ষমতা থাকে যার বেশি ভার বা বোঝা সে নিতে পারে না।
এই মহারথী ঢাকারও একটা নিজস্ব ধারন ক্ষমতা আছে। আমরা জানি রিসোর্স পার্টিশনিং বেড়ে গেলে পারস্পারিক ইনটেরাকশনও যায় বেড়ে, ছড়িয়ে পরে কাটথ্রোট কম্পিটিশন। ফলে উন্নয়ন, টেকসই উন্নয়ন কোন কিছুরই দেখা তো পাবই না বরং অস্তিত্ব নিয়েই দেখা যাবে সংকট। তাই আমি সংশ্লিষ্ট সবার কাছে হাত জোর করে এই ''ঢাকা শহরের'' অস্তিত্ব ভিক্ষা চাইছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।