আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকারের নারী নীতি, আমিনীর হরতাল এবং প্রশ্ন বিদ্ধ পুলিশের নির্দেশ

সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
নারীদের দীর্ঘদিনের দাবী সমঅধিকারকে বাস্তবে রূপদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার নারীদেরকে সর্বক্ষেত্রে সমান অধিকার প্রদানের জন্য সম্প্রতি নারী নীতি ঘোষণা করেছেন। সরকারের দাবী কোরাআনের সাথে এই নারী নীতি সাংঘর্ষিক না হলেও ধর্মীয় জিকির তুলে প্রকাশ্যে একের পর এক প্রকাশ্যে দেশকে শেখ হাসিনাশূন্য করার হুমকি দিয়ে চলেছেন চার দলের সহযোগী উগ্র মৌলবাদী নেতা ফজলুল হক আমিনী। যদিও দেশের বিশিষ্ট ইমাম ও ওলামাগণ আমিনীর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন নারী নীতিতে কোরান-সুন্নাহবিরোধী কিছু নেই। কোরানবিরোধী কিছু থাকলে তা ধরিয়ে দিন, সরকার তা অবশ্যই বাদ দিতে প্রস্তুত। এ চ্যালেঞ্জ দিয়ে তাঁরা বলেছেন, একশ্রেণীর ধর্মান্ধ আলেমের কারণেই ইসলাম আজ বিপন্ন।

মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা বরছে। তার পরেও আমিনী ক্ষ্যান্ত হন নি। তিনি নারী নীতির বিরুদ্ধে তার অবস্থান দৃঢ় করার জন্য গত ২০ এপ্রিল ছায়ার বিরুদ্ধে সারা দেশে তাল পালন করে আমিনী গং। এই হরতালে বুক খালি হয় এক কোরআন হাফেজ পুত্রের মায়ের। নারী নীতি নিয়ে সরকার ও আমিনী গংদের এই মুখো মুখি অবস্থানের সময়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ঢাকা মো্ট্রোপলিটন পুলিশের এক নির্দেশনা।

দেশে যখন একখন্ড নির্ভেজাল ও উপদ্রবহীন স্থানের অভাবে পরিবারের সবাই মিলে একটু অবসর কাটানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এক নির্দেশ জারী করে সংসদ ভবনের বিপরীতের ক্রিসেন্ট লেকে পুরুষ ও মহিলা একত্রে বসা নিষেধ করে দিয়ে এক সাইনবোর্ড টানিয়েছেন। পুরুষ ও মহিলা বলতে তারা কি বুঝাতে চেয়েছেন তা সাধারণ মানুষের কাছে বোধগম্য নয়। পুরুষ মহিলা বলতে তারা যাদি পরকীয়ায় পতিত পুরুষ মহিলা বুঝাতে চেয়ে থাকেন তবে তা পরিস্কার করে দিতে পারতেন। কিন্তু পুরুষ মহিলার আবরণে স্বামী-স্ত্রীও যে থাকতে পারে তা হয়তো তাদের উর্বর মস্তিস্কের এন্টিনায় ধরা পরেনি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এই নির্দেশ নারীর সম অধিকার রক্ষায় কতটুকু ভুমিকা রাখবে অথবা আমিনী গংদের কতটা উৎসাহিত করবে তা বিবেচনায় নেওয়া উচিত তাদের, যারা নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করার আন্দোলনে স্বোচ্চার।

(বিঃ;দ্রঃ পোস্টে উল্লেখিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আদেশটি অদ্যকার সংবাদপত্র দি ডেইলি স্টার এর প্রথম পাতায় ছাপা হয়েছে। সংবাদপত্রের কোন কিছু দেখে যদি কারো বিরক্তির উদ্রেগ হয় তিনি দয়া তার নিজ গুণে এই পোস্টটি স্কিপ করবেন। কারণ অনেকেই সংবাদপত্রের কোন উদ্ধৃতি সহ্য করতে পারেন না। তারা মৌলিক লেখা খুঁজুন অন্য কোথায় অন্যকোন খানে)
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.