আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ গুমের ব্যর্থ চেষ্টা

নাজমুল ইসলাম মকবুল

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ গুমের ব্যর্থ চেষ্টা অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ নির্জন কোথাও ফেলে আসার জন্য প্রাইভেটকার ড্রাইভ করে নিয়ে যাচ্ছিল স্বামী। লাশ যাতে বোঝা না যায়, সেজন্য পেছনের সিটে শুইয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু চাঞ্চল্যকর এ খুনের ঘটনা এরই মধ্যে জেনে যায় র্যাব-পুলিশ। গাড়িটির পিছু নেয় তারা। শেষ পর্যন্ত শাহবাগ থানার সামনে ধরা পড়ে ঘাতক স্বামীসহ প্রাইভেটকারটি।

রাজধানীতে স্বামীর হাতে নির্মমভাবে এই হত্যার শিকার হতভাগা গৃহবধূর নাম সৈয়দা কামরুন নাহার সাদিয়া। তার বাবা একজন আইনজীবী। সাদিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসা প্রশাসনের ছাত্রী। পুলিশ জানায়, হত্যার পর তার স্বামী শফিকুর রহমান ওরফে রেজা সিকদার নীরব এলাকায় লাশটি ফেলে দেয়ার চেষ্টা করে। এজন্য স্ত্রীর লাশ নিজের প্রাইভেটকারে নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নির্জন জায়গার সন্ধানে ঘুরছিল।

গতকাল সন্ধ্যায় শাহবাগ কন্ট্রোল রুম পুলিশ ও র্যাব সাদিয়ার লাশসহ গাড়িটি আটক করেছে। এসময় ঘাতক শফিকুর রহমান ওরফে রেজা সিকদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল রাত সড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাদিয়ার লাশসহ গাড়িটি শাহবাগ থানার সামনে রাখা হয়েছে। ঘাতক রেজা সিকদারকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। শাহবাগ থানা পুলিশ জানায়, নগরীর ১৩৯, মধ্যবাসাবোর বাসিন্দা মৃত অ্যাডভোকেট সিরাজউদ্দিনের মেয়ে সৈয়দা কামরুন নাহার সাদিয়া।

সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করার পর বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে পড়াশোনা করছিল। সাদিয়ার মামা সাইফুল আলম জানান, ৬ মাস আগে সাদিয়ার বিয়ে হয় শফিকুর রহমান ওরফে রেজা সিকদারের সঙ্গে। রেজা বরিশালের গৌরনদী থানার টরকিতে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের সরবরাহকারী। সে ঢাকায় এসে শ্বশুরবাড়িতে উঠত। সাইফুল ইসলাম আরও জানান, গত শনিবার রেজা সাদিয়াকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়।

তার পর থেকে তারা নিরুদ্দেশ। কোথাও তাদের পাওয়া যায়নি। গতকাল সকালে রেজা মোবাইলে জানায়, তারা ধানমন্ডিতে আছে। এর পর থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকার কথা বললেও তাদের খুঁজে পাননি সাদিয়ার স্বজনরা। পরে গতকাল সন্ধ্যায় রেজাকে তার কালো রংয়ের প্রাইভেটকারসহ (ঢাকা মেট্রো ক-১১-২৮৯১) মত্স্যভবনের সামনে পাওয়া যায়।

গাড়ির পেছনের সিটে সাদিয়ার অচেতন দেহ পড়ে ছিল বলে সাদিয়ার স্বজনরা জানান। পুলিশ জানায়, নিহত সাদিয়া রেজা সিকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে সে পুলিশকে জানায়। তার প্রথম স্ত্রীর ব্যাপারে সাদিয়ার স্বজনরা জানতেন না। সাদিয়া অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলে পুলিশ জানায়। রেজা সাদিয়াকে কেন হত্যা করেছে তা জানতে শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

নিহত সাদিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সুত্র: আমার দেশ Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.