জন্ম তাঁর ছেলে হিসেবে, তবে তিনি এ বিয়ের কনে। আর বর যিনি, জন্মগতভাবে তিনি মেয়ে। বর্তমানে তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বাও! আর্জেন্টিনায় গত শুক্রবার এমনই বিচিত্র এক বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। সে দেশে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোনো বরের বিয়ে করার ঘটনা এটাই প্রথম। লাতিন আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে ২০১০ সালে সমলিঙ্গের বিয়ে অনুমোদন করে আর্জেন্টিনা।
এর দুই বছর পর দেশটি একটি আইন পাস করে, যাতে করে লিঙ্গ পরিবর্তনকারীরা জাতীয় পরিচয়পত্রে পছন্দমতো লিঙ্গের পরিচয় উল্লেখ করতে পারে।
এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়, শুক্রবারের আজব বিয়ের বর আলেক্সিস টাবরোডা (২৬) ও কনে কারেন ব্রুসেলারিও (২৮) দুজনই সমলিঙ্গ বিয়ের অধিকার আন্দোলনের কর্মী। তাঁদের বাড়ি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ভিক্টোরিয়া শহরে হলেও পরিচয় রাজধানী বুয়েনস এইরেসে আন্দোলন করতে গিয়ে। নতুন এ ঘটনাকে তাঁরা দেখছেন আন্দোলনের পথে আরেকটি বিরাট পদক্ষেপ হিসেবে।
টাবরোডা বলেন, ‘এটা খুবই আবেগময় দিন, সত্যি বিশেষ একটি দিন।
কেননা, আজ আমাদের একটি স্বপ্ন সত্যি হলো। আমরা আইনগতভাবে বিয়ে করতে পারলাম। ’ টাবরোডা ও ব্রুলোরিও জানান, একটি ক্যাথলিক গির্জায় গিয়ে বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল তাঁদের। এ জন্য তাঁরা আর্জেন্টিনায় জন্মগ্রহণকারী পোপ ফ্রান্সিসকে একটি ই-মেইল বার্তাও পাঠিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত সেটির কোনো জবাব আসেনি।
টাবরোডা ও ব্রুলোরিওর দাবি, আর্জেন্টিনায় তাঁরাই প্রথম বিবাহিত যুগল, যাঁরা অস্ত্রোপচার না করেই লিঙ্গ পরিবর্তন করেছেন।
অন্তঃসত্ত্বা টাবরোডা আগামী ২২ ডিসেম্বর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি মেয়েসন্তান জন্ম দেবেন। তবে মাতৃত্বের সহজাত প্রবৃত্তি অনুভব করেন না বলে স্বীকার করেছেন তিনি। অনাগত সন্তানের নাম জেনেসিস অ্যাঞ্জেলিনা রাখতে চান এই দম্পতি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।