শফিকুল ইসলাম জুয়েল ( কালের কণ্ঠ---২৫/০৪/২০১১ )-----
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষি খাতের ভর্তুকি চার হাজার কোটি থেকে বাড়িয়ে সাত হাজার কোটি টাকা করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ চার হাজার কোটি টাকা থাকলেও এরই মধ্যে অর্থ ছাড় করা হয়েছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। অর্থ ও কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে কৃষিসচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কৃষিবান্ধব এ সরকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নানা কাজ করে যাচ্ছে। ফলে কৃষিজমি আশঙ্কাজনক হারে কমলেও আশানুরূপভাবে বাড়ছে খাদ্য উৎপাদন ও সাফল্য (ফসল উৎপাদন তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ)।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং কৃষির সার্বিক মঙ্গলের জন্য ভর্তুকির পরিমাণ এবার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ' সচিব জানান, নতুনভাবে অর্থ ছাড় হলেই দেশের ৭৮ লাখ কৃষককে ডিজেল ভর্তুকির টাকা দেওয়া শুরু করা হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অর্থ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করে ভর্তুকির অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুতই ছাড় হতে পারে অবশিষ্ট অর্থ।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি বাবদ চার হাজার ৮৯২ কোটি টাকা চাইলেও মূল বাজেটে চার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।
গত অর্থবছরের বাজেটে এ বরাদ্দ ছিল তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান সরকার তিন দফায় কমিয়েছে সব ধরনের সারের দাম, যা বিশ্ববাজারের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। শুধু বিসিআইসির আমদানি করা ইউরিয়া এবং বিএডিসি ও বিএফএর নন-ইউরিয়া সারের দামেই মোটা অঙ্কের ভর্তুকি গুনতে হচ্ছে সরকারকে। এ ছাড়া গত বছরের সারের দামের বকেয়া থাকা অর্থও পরিশোধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে হাওর এলাকার কৃষকদের।
পাটচাষীদের আঁশ ছাড়ানোর জন্য ৩০ কোটি টাকা সহায়তা করা হয়েছে। আউশের উৎপাদন বাড়াতে ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ লাখ কৃষককে ৪০ কেজি করে সার দেওয়া হচ্ছে। নানামুখী এসব কর্মসূচির কারণে বাড়ছে ভর্তুকির পরিমাণ। কর্মকর্তারা জানান, ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে এবার দেশের ৭৮ লাখ কৃষককে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে (ডিজেলচালিত পাম্পের খরচ) সেচ বাবদ ৭২১ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে একজন প্রান্তিক ক্ষুদ্র চাষীকে ৮০০ টাকা এবং মাঝারি চাষীকে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।