আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর বিরোধিতা সত্ত্বেও কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। কৃষিজাত পণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রফতানির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কৃষিক্ষেত্রে অবদানের জন্য মনোনীত ২৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার তুলে দেন। কৃষি উন্নয়নে অবদানের জন্য এটাই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দাতাদের কথা শুনে বিএডিসি’কে অনেক দুর্বল করে ফেলা হয়েছিল। এর আগের মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে দাতারা কৃষিতে ভর্তুকি কমাতে বলেছিল। আমরা বলেছিলাম, আমরা ভর্তুকি দেবই। ” বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনকে (বিএডিসি) আরো শক্তিশালী করতে সরকারি নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে বলেন, “কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে নিজেদের চাহিদা পূরণ করে তা যেন আমরা বিদেশে রফতানি করতে পারি।
প্রক্রিয়াজাত খাদ্যও যেন আমরা রফতানি করতে পারি। বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং সবার জন্য পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য। ”
কৃষকদের উৎসাহিত করতে ও উন্নয়নে ১৯৭৩ সালে তহবিল গঠন করে জাতীয় পর্যায়ে কৃষি উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রপতির পুরস্কার চালু করেন বলেও তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন। তিনি পুরস্কারপ্রাপ্তদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা খাদ্য নিরপাত্তা নিশ্চিত করব।
আমাদের লক্ষ্য ২০১৩ সালের মধ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা। আমাদের সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। ”
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।