আমি পথ মঞ্জরী ফুটেছি আঁধার রাতে ১ঃ আমাকে এতটা বিশ্বাস কর?
২ঃ করেছিলাম!
১ঃ তার মানে?
২ঃ কাউকে যেমন ১০০% বিশ্বস করা ভুল, তেমনি কাউকে ১০০% অবিশ্বাস না করলেও চলে।
১ঃ তাহলে আমার ভূমিকা এখন কি হবে?
২ঃ তোমার প্রতি বিশ্বসটা এখন এক হাজার টাকার নোট থেকে পরিবর্তিত হয়ে চারানা, দশ পাই, পাঁচ পাই এসবের একটা বড় স্তুপে পরিণত হয়েছে।
১ঃ তুমি এত বেশী বুঝতে গেলে কেন? একরকম ভাবে তো সব চালিয়েই নিতাম।
২ঃ আমার দ্বায়িত্ববোধ এবং নীতিবোধের মৃত্যু হত। আমি চরম স্বার্থপরতার দোষে দুষ্ট হতাম।
১ঃ মানুষতো নিজের জন্যই স্বার্থপর হয়!
২ঃ এরকম দূর্বল খোঁড়া যুক্তি আমার মূল্যবোধের সঙ্গে মানানসই নয়।
১ঃ তাহলে আমাকে কোন পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছ তুমি?
২ঃ যে পরিণতি তুমি অর্জন করেছ সেই পরিণতির দিকে।
১ঃ আমার আরো আগেই বোঝা উচিৎ ছিল তুমি সেকেলে।
২ঃ কি করবে তখন তো তা ঠাহর করার চিন্তা তোমায় বোধ হয় একটু অসতর্কতামূলক অবস্থার মধ্যেই ফেলে দিয়েছিল।
১ঃ তুমি যদি আমার মত করে বিবেচনা করতে তবে সুখী হতে পারতে।
২ঃ কিন্তু আমার সুখের সংজ্ঞা যে অন্যরকম। এ পৃথিবীতে আমি স্বার্থপরতাকে সবচেয়ে বেশী ঘৃণা করি।
১ঃ গিভ এন্ড টেক এটা কিন্তু জীবন চালানোর জন্য একটা খুব কার্জকর উপায়।
২ঃ একেবারে অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু আমার বিরূপ পরিস্থিতিতে এই উপায়টি আমার মূল্যবোধকে রক্ষা করতে অক্ষম!
১ঃ আমার উপর কি একটু অবিচার হয়ে গেল না?
২ঃ আমি সত্যিই নিতান্তই পরিস্থিতির শিকার।
যদি কখনো তোমার উদারতা আমায় মাফ করে দিতে বলে, এবং সত্যি সত্যি যদি ক্ষমা করে দাও আমার সমস্ত বিবেচনা এবং মূল্যবোধ তোমার উদারতার নীচে ধ্বংস স্তুপের মত চাপা পড়ে যাবে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।