আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হলুদ সাংবাদিক আবেদ খান?



প্রেস কাউন্সিলের সাম্প্রতিক এক রায়ে কালের কণ্ঠ পত্রিকাকে হলুদ সাংবাদিকতার পত্রিকা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সচেতন পাঠক মাত্রই তা আগে থেকেই জানার কথা। বসুন্ধরা গ্রুপের পত্রিকা প্রকাশের একটি মহৎ উদ্দেশ্য রয়েছে! থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে এর সম্পাদক আবেদ খানকে নিয়ে। তিনি তো একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক।

আপাদমস্তক কেরিয়ার সাংবাদিক। তাঁর সম্পাদিত একটি দৈনিকের এরকম দুরবস্থা কেন হবে? এর উত্তরেই এখন আসা যাক..... আবেদ থান ১৯৬২ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন। স্বাধীনতার পরে দৈনিক ইত্তেফাকে যোগদান করেন। তখন তাঁর বিখ্যাত ওপেন-সিক্রেট নামে একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী কলাম ছিল ইত্তেফাকে। তারপর থেকে তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

কিছুদিন আগে ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে তাঁর দক্ষ বিচরণ আমরা দেখেছি। কিন্তু তাঁকে কোন ভূতে আসর করলো যে বসুন্ধরার একটি কাগজে সম্পাদক হতে হবে? সম্পাদক হওয়ার কি তার এতই খায়েশ? তিনি কি এটা লক্ষ্য করেননি যে কিছুদিন আগে শফিক রেহমানকে কী অপদস্থ হয়েই না বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসতে হলো!!! শফিক রেহমান তো বসুন্ধরার পত্রিকারই সম্পাদক ছিলেন.... (যায়যায়দিন) এর পর বের হলো কালের কণ্ঠ। কেউ কেউ বলে বালের কন্ঠ। যা হোক, কালের কণ্ঠের সম্পাদক হয়ে এখন সারা জীবনের অর্জিত সকল সুনাম ধবংস করতে চলেছেন তিনি। শুনেছি কালের কণ্ঠের যাবতীয় অপসাংবাদিকতার সাথে আবেদ খানের কোন সংশ্লিষ্টতা নাই।

কতিপয় তরুন দালাল সাংবাদিক এটা চালাচ্ছে। তিনি মাসিক তিন লাখ টাকা বেতনেই বেশ সন্তুষ্ট। কোন কাজ নেই তার। বেশ কয়েকবার তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন কিন্তু পারেননি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এরকম একজন প্রতিভাধর মিডিয়া ব্যক্তিত্বের অধঃপতন দেখে এই পোস্টটি না লিখে পারলাম না।

আবেদ খানকে হলুদ সাংবাদিকতার দায় নিতে হবে কেন? যদি নিতেই হয় তবে তা নেবে এর মালিক পক্ষ। কারণ সাংবাদিকদের কোন স্বাধীনতা নেই সেখানে। সুপ্রিয় আবেদ খানের জন্য কাঙালের শুভকামনা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।