তুমি আমার পাশে বন্ধু হে বসিয়া থাকো, একটু বসিয়া থাকো... ♫ ♫♫ ♫ ♫
শিরোনামের লেখাটা লিখেছিলাম ১৯৯৬ এর নির্বাচন পরবর্তীতে। সঠিক দিন তারিখ এখন আর মনে নেই। তখন এইচএসসি প্রথম বর্ষে পড়তাম। স্বাধীনতাবিরোধী ধর্মীয় লেবাসধারী সাম্প্রদায়িক দল জামায়াত যখন নির্বাচনে ভরাডুবি খেলো, তখনকার লেখা।
পরিচিতদের অনেকেই তখন উল্লসিত হয়ে বলেছিলো, জামায়াত আর কখনো বাড়তে পারবেনা।
আমার ছোট্ট মনে তখনি এই আত্মতৃপ্তিকে ভুল মনে হয়েছিলো। তখন আমরা সতর্ক হইনি। যার মূল্য পরবর্তীতে আমাদের দিতে হয়েছে, হচ্ছে। ম. পানাউল্লাহ সম্পাদিত স্থানীয় একটি কবিতাপত্র “সুরঞ্জনা” তে লেখাটি ছাপা হয়েছিলো। লেখাটি এখন আর আমার সংগ্রহে নেই।
হারিয়ে গেছে। পুরোপুরি মনেও নেই। বর্তমান সময়ে যা লিখি তার কিছুই মনে থাকেনা। কিন্তু কি করে যেন শিরোনামের লেখাটি এখনো মনে আছে। হয়তো হুবহু মনে নেই।
মনে না থাকাটাই স্বাভাবিক। তবুও যা মনে আছে, লিখলাম। লেখাটি যেহেতু আমারই, তাই দু’একটা শব্দ এদিক ওদিক হলেও সমস্যা নেই।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগের পরিস্থিতির সাথে কেন যেন লেখাটির মিল খুঁজে পাচ্ছি। তাই সবার সাথে শেয়ার করলাম।
হলুদ সংকেত
সকালে ঘর থেকে বের হওয়ার আগে
মেঘমুক্ত আকাশ দেখে এখন আর উল্লসিত হয়ে উঠিনা।
জানি, সহসাই কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে যেতে পারে।
তাই ছাতাটাও প্রস্তুত করে রাখি।
হতে পারে ব্যালট পেপারের রামচড় খেয়ে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি
আপাতত গর্তে লুকিয়েছে।
ভেবোনা তোমাদের শান্তিময় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে
আবারও সাইরেন বেজে উঠবে না।
যেকোন সময় আবার আঘাত হানতে পারে একাত্তরের পরাজিত সর্প।
তাই বিষের ভ্যাকসিনটা তৈরি করে রাখাও খুব জরুরি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।