২. ব্যক্তির চেতনা একটু হলেও লুপ্ত হয় যখন সে কোন প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থাকে। ১. যদি চতুর্দিক বন্ধ নিরেট পাথরের ভিতরেও কেউ ভাল কাজ করে, তবু সেটার কল্যাণ পৃথিবীতে ছড়াবেই। (এটি হাদিস। ) ০.সাপের মাথা বাদে বাকি পুরোটাই লেজ। সো, লেঞ্জা ইজ কোয়াইট ইম্পসিবল টু হাইড।
কে পোস্ট দিচ্ছেন এর চেয়ে কী পোস্ট আসছে এবং নিজের রাজনৈতিক বিশ্বাসহীনতার কারণে খেয়ালই করিনি, ওইদিনের বিশ্রি পোস্টটা ছিল এক পুরনো, সত্যিকার মেধাবী এবং ডাইহার্ড ব্লগারের। পরে খেয়াল করলাম, তিনি আমার অনুসারিত লিস্টেও আছেন।
প্রকৃতার্থে দাসত্ব আমরা সবাই করি। একজন বিএনপিপন্থী করেন, একজন আওয়ামীপন্থী করেন, কমুনিস্টপন্থী করেন, ধর্মবিদ্বেষীও অবশ্যই দাসত্ব করেন, আমিও করি। দাসত্ব করার মধ্যে কোন সমস্যা নেই- মানুষের জন্ম হয়েছে দাসত্ব করার জন্য।
নিজের মনে নিজে যে 'ধারণা' পুঁতে দেয়, যাকে কেউ বলে বিশ্বাস এবং কেউ বলে 'মুক্তমন' আসলে সেটাই দাসত্ব।
দাসত্বরা যেদিন কাছা দিয়ে নামলেন, সেদিন নিজেকে গুটিয়ে নিলাম। দাসত্বর সেই একই কথা ঘুমকাতুর এর পোস্টে, সকল সাংবাদিক পীতরোগী। জন্ডিস রোগী সবগুলাকে মেরে ফেলতে ইচ্ছা করে।
কার বিপক্ষে যুদ্ধ করব? না, দাসত্বদের চোখে নিজের বিশ্বাস ও চেতনাকে চাটনির মত চেটে দেখার স্তরে এখনো নেমে যাইনি।
নিজের উপলব্ধি নিজের কাছেই বর্গা দেয়া আছে, কিন্তু প্রশ্ন হল, কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব? কিছু মনোরোগী পঙ্গপালের বিরুদ্ধে তথ্যযুদ্ধ করা যায়, কিন্তু তাদের ঘুঘুর ফাঁদে পড়া ৩০% বা ৩৮% বা ৪৫% ভোটব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে নেমে কী হবে?
গত পোস্টটাও ছিল এই বিষয়েই।
কিন্তু এখন কিছু না বলে যেতে পারি না।
দাসত্বর ব্লগের অনেক অনেক স্ক্রিনশট নিয়ে বিশাল পোস্টের প্রস্তুতি সম্পণ্ন ছিল। কিন্তু কেন? তাদের মনের ময়লা, আসলেই সেটা বিশ্রি, দুর্গন্ধযুক্ত, কদাকার, মিন্সট্রেস রেগুলেশন করার পর সাতদিন আস্তাকুঁড়ে পড়ে থাকা একটা গলিত দলা, যাবে কেমনে? তাই নিজেই সবকিছু শূণ্য ভেবে দূরে চলে গেলাম।
কিন্তু আজকে, গত দেড়মাসে এই প্রথম অনুসারিত লিস্ট দেখতে দেখতে দেখি, দাসত্ব নতুন আরেকটি পোস্ট দিয়েছেন।
ছয়শোর কাছাকাছি ফেসবুক শেয়ার। দুইশ মন্তব্য। তালিয়া, তালিয়া। কে দিল তালিয়া? কে ছয়শ ফেসবুক শেয়ার দিল? আমাদের বিএনপির সেই ভাইয়েরা, যারা না পেরে শুধুই আগামীবার ক্ষমতায় আসার জন্য নাকে রুমাল চেপে যুদ্ধে নেমেছেন জামাতিদের সাথে? নো। নেভার।
প্রথমত, আমাদের মত অভাজনদের বাক্য পুরীষ হতে পারে, মুক্তা নয়। আর পুরীষ হলেও সেটা উলুবনে ছড়াবার কোনই মানে হয় না।
দেখি, দাসত্ব ঘোষণা করছেন,
সাঈদীর ফাঁসি হলে মুজিব পরিবারের আর কেউ কোনদিনই বাংলাদেশে থাকতে পারবে না।
দাসত্ব ও সকল দাসত্বগণ,
সাঈদীর প্যান্ডোরার বাকসো খুলে গেলে মুজিব পরিবার চিরদিনের জন্য লুপ্ত হবে... কিন্তু মুজিব পরিবার বা আওয়ামী ঘরানার বিষয় নয় এটা।
দাসত্বের এতবড় হুংকারের পর যদি কিছু বলে না যাই,
তাহলে বাংলা মায়ের বাতাস খেয়ে বড় হইনি,
শীতলক্ষ্যার কাকজলে সাঁতার কাটিনি,
ডুবতে বসিনি কোন এককালের বুড়িগঙ্গার ঘোলাটে পানিতে,
পদ্মার তীব্র পাকগুলো দেখিনি আটাশির বন্যায় টি বাঁধের উপর বসে,
দাসত্ব, এরপর দেশে যদি কোন দুর্যোগ নেমে আসে, যদি আবার মারা যায় ত্রিশ হাজার মানুষ অথবা তিন লাখ অথবা এমনকি ত্রিশ লাখ, আপনার পোস্ট সযতনে রেফারাল পয়েন্ট হবে।
সকল দাস শুনে রাখুন,
বিষয়টা শেখ পরিবারের নয়।
বিষয়টা আওয়ামীলীগের পাঁড় সমর্থক বা ছুপা সমর্থকের নয় (এই পোস্টদাতা আওয়ামিলিগ বিষয়ে কতটা শিট গিভ করে সেটা অতীত পোস্ট ঘাঁটলে দেখা যাবে। মেধাবীরা ঘেঁটে কাজ করেন। )।
বিষয়টা বাংলাদেশের মানুষের।
বিষয়টা আমাদের।
বলতে কি বাধ্য করছেন,
যদি একাত্তরের হন্তারকের শাস্তি হয়,
তবে আমাদের বাংলাদেশের মানুষকে সবংশ নির্মূল করা হবে?
ন্যায়বিচারের পর লুপ্ত হতেও রাজি আছি।
তবে তাই হোক। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।