দেশের আনাচে কানাচে রাস্তাঘাটে যখন মেয়েরা ইভটিজিয়ের স্বীকার হয়ে আসছে তখন সমাজ ছিল প্রায় নিশ্চুপ। প্রথম আলো সহ কিছু জাতীয় দৈনিক বিষয়টাকে সামনে তুলে ধরে একটা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করলো। বেসরকারী টিলেভিশনগুলোও যুক্ত হলো এই আন্দোলনে। এমনকি ব্লগার ভাইয়েরাও এই সামাজিক আন্দোলনে সামিল হলো। তারা রাস্তায় নামলো।
ইভটিজিং বিরোধী পোষ্টিংয়ে অংশ নিয়ে এই আন্দোলনকে আরো বেগবান করলো। এরই ফলশ্রুতিতে ইভটিজিংয়ের পরিমাণ কিছুটা হলেও কমেছে। অন্তত একটু হলেও জনসচেতনা সৃষ্টি হয়েছে এই বিষয়ে। ইভটিজিং বিষয়টা যে কোন হালকা অপরাধ নয় জাতি তা উপলদ্ধি করতে পেরেছি প্রথম আলোর সহ কিছু জাতীয় দৈনিকের ক্রমাগত কলাম লিখনের ফলে।
একই ভাবে আমাদের সমাজে গ্রামে গঞ্জে ফতোয়াপবাজি- দোররা মারা ইত্যাদি অপরাধ সংগঠিত হয়ে আসছে বহু দিন ধরে।
দেশে এমন ঘটনা ঘটলে দু এক দিন মিডিয়া কাভারেজ পায় তার পর এসবের খবর কেউ নিতে চায় না। কিন্তু কিছুদিন আগে হেনা নামের ১৪ বছর বয়স্ক একটা মেয়েকে কতিপয় ফতুয়া বাজ বেতের আঘাতে মৃত্যু ঘটায়। প্রথম আলো বিষয়টাকে হাইলাইট করে রিপোর্টিং করে যাচ্ছে বেশ কদিন ধরে। এবং একটা সামাজিক সচেনতা সৃষ্টির লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে আরো অনেক মিডিয়া।
কিন্তু সমস্যা হলো কতিপয় ডানপন্থি নামধারী জামাত-শিবিরের কমিনিষ্ট আত্না বরাবরই নারী বিদ্বেষী ভূকিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে।
তারা এই সামাজিক আন্দোলনগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
১. ব্লগার ভাইয়েরা যখন ইভটিজিং বিরোধী পোষ্টিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছিল তখন ডানপন্থি নামধারী জামাত-শিবিরের কমিনিষ্ট আত্না এর বিরোধীতা করেছিল। তারা বলে বেড়াতো মেয়েরা লেংটা করে রাস্তায় চলাচল করলেতো ইভটিজিং হবেই। কিন্তু ইভিটিজিংয়ের অপমান সহ্য করতে না পেরে এ পর্যন্ত যারা আত্নহত্য করেছে তাদের কজন রাস্তায় লেংটা হয়ে ঘুরতো????? বর্তমানে এমন অবস্থা দাড়িয়েছে যে, বোরকা পড়া মেয়েরাও ইভটিজিংয়ের স্বীকার হচ্ছে।
২. হেনার মৃত্যু বিষয়ে প্রথম আলো যে আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছে তা হলো সমাজের কতিপয় নারিবিদ্ধেষী ফতোয়াবাজদের বিরোদ্ধে।
কিন্তু তারা এখানেও ইসলাম বিদ্ধেষ খুজে পায়। তাদের কয়েকজন ১৪ বছর বয়সী হেনার মধ্যে যৌন আকাঙ্খা খুজে বেড়ায়। যেই হেনাই তার মৃত্যুর জন্য দায়ী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।