জার্মানে খোলা আকাশের নীচে যৌন মিলন বাড়ছে। গ্রীষ্মে খোলা আকাশের নীচে বার্লিনবাসী ঘরে যা করেন বাইরেও তা করেন। গ্রীষ্মের প্রথম প্রখর সূর্যোদয়কে বার্লিনবাসী মনে করেন সবুজ সংকেত৷ এই সংকেত পেয়ে তারা নিজেদের যাবতীয় ব্যক্তিগত বিষয়াদি খোলা আকাশের নীচে নিয়ে যান৷ এ সময় বার্লিনবাসীর আনেকে প্রকাশ্যে খোলা আকাশের নীচে যৌন সঙ্গমে মিলিত হয়ে থাকেন। পার্ক, রাস্তা, পার্কিং-এর জায়গা, নদীর পাড়, বাগান, এমনকি বাড়ির ছাদ যেখানে সম্ভব সেখানেই শুয়ে পড়ছেন তারা। মিলিত হন একান্ত সঙ্গমে। এ রেওয়াজ বেড়ে চলছে বলে জানিয়েছে ডয়চে ভেলে।
জার্মান পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে মুক্ত পরিবেশে সঙ্গমে অংশ নেয়া ২৩৯ জনকে জরিমানা করেছে পুলিশ৷ গড়ে তাদের দেড়শো ইউরো করে জরিমানা করা হয়েছে৷ আগের তিন বছরের তুলনায় জরিমানার এই হার প্রায় দ্বিগুন৷
বার্লিনের বিখ্যাত 'টিয়ারগার্টেন' এবং 'ট্রেপটাওয়ার পার্ক' শারীরিক মিলনের জন্য বার্লিনবাসীর সবচেয়ে পছন্দ৷ ফলে এ পার্ক দুটিতে পুলিশ বিশেষ নজরদারি করেছে যাতে এ ধরনের কাজ থেকে তাদের বিরত রাখা যায়৷
তবে জার্মান আইনে পাবলিক প্লেসে নগ্ন হতে কোনো বাধা নেই৷ খোলা আকাশের নীচে যৌন মিলনেও আইন অনুযায়ী বাধা নেই। তবে এ সময় শুধু অন্তত একটি টাওয়েল ব্যবহার করে নিজেদের ঢেকে রাখতে হবে৷
চলতি বছর পুলিশ বেশ সতর্ক। তবে জরিমানার ক্ষেত্রে নিয়ম খানিকটা শিথিল করেছে কর্তৃপক্ষ৷ বেকাররা এক্ষেত্রে ছাড় পাবে৷ রাস্তাঘাটে সঙ্গমরত অবস্থায় ধরা পড়লে তাদের জরিমানা ৩৪ ইউরো৷
১৯২০ সালের দিকে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে সেখানে নগ্ন দেহের প্রদর্শনী শুরু হয়৷ আর নগ্নতা বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয় বার্লিনে, ১৯২৯ সালে
মুল
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।