দুনিয়ায় মানুষের উৎপত্তিকাল থেকেই বিবাহ প্রথা চালু হয়েছে। বিভিন্ন ধর্মের মানুষের বিবাহের ধরন বিভিন্ন রকম। আমাদের মুসলিম বিবাহের রীতিনীতি শিক্ষা দিয়েছেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নিজেই। তিনি শিক্ষা দিয়েছেন মোহরানা কি? স্বামীর কাছে স্ত্রীর স্থান কোথায়- সব কিছুই। ইসলামে বলা হয়েছে- একজন মুসলমান যখন বিয়ে করবে তখন তাকে তার একটি দেনমোহর ধার্য করা হয়।
ইসলাম বলেছে ধার্যকৃত মোহরানাটি বিবাহের পূর্বেই পরিশোধ করতে হবে। আবার এ বলেছে মোহরানা ধার্য্য করতে হবে যার যার সামর্থ অনুযায়ী। কিন্তু বর্তমান সময়ে যে সমস্ত বিয়ে হচ্ছে তার কোন বৈধতা ইসলামে আছে কি না তা বোধগম্য নয়। কারণ এখন যে দেনমোহরটি সাব্যস্ত করা হয় তা শুধুমাত্র জোর পূর্বক একটা ছেলেকে মেয়ের কাছে অধীনস্থ করে রাখা ছাড়া আর কিছুই নয়। বিশ্বাস নামের কিছুই বর্তমানে নেই।
বিবাহ এমন একটি বন্ধন যা বিশ্বাসের উপরই নির্ভর করে। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস না থাকলে সে সম্পর্ক টিকে থাকে না। আগেকার দিনে নববধূরা স্বামীর যে খাতির যতœ করত তা এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। স্ত্রী কে কোন কিছু বলতে যান কিংবা কোন অন্যায় করেছে তাকে শাসন করতে যান দেখবেন সে চোখ রাঙ্গিয়ে কথা বলছে। কারণ তার মাথায় একটা কু-চিন্তা সব সময় কাজ করে।
সেটি হচ্ছে দেন মোহর। যা ছেলেদের জন্য এখন একটি বড় বোঝা। কারো যোগ্যতা আছে ৫০,০০০/- টাকার তাকে দেনমোহর ধার্য্য করে দিয়েছে ৫,০০,০০০/- টাকা। যা সে তার বাড়ী ভিটি বিক্রী করেও দেওয়া সম্ভব নয়। বতর্মানে আরো একটি কথা শোনা যায় সেটি হচ্ছে বাসর রাতে দেনমোহর এর টাকা স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া।
ক্ষমা চাইলে নাকি তারা ক্ষমা করে দেয়। আসলে কি তারা সেটা তাদের অন্তর থেকে ক্ষমা করেছে? যদি তাই হয় সংসার জীবনে চলার পথে কোন রকম মনমালিন্যতা দেখা দিলে মেয়েরা তখনই বলে উঠে আমার প্রাপ্য দিয়ে দাও। আমি এখনই চলে যাব। আমি আর তোমার সংসার করব না। তাহলে কি ক্ষমাটা সাময়িক? আসলে এসব লোক দেখানো মাত্র।
আমি আগেও বলেছি বিবাহ নামের সম্পর্কটা মূলত বিশ্বাসের উপরই। সামর্থ অনুযায়ী মোহরানা ধার্য্য করে এবং তা অগ্রীম পরিশোধ করে যদি বিয়ে করা হয় সে বিয়ে আজীবন টিকে থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। আসলে সবাইকে ইসলামী শরীয়তের বিধান মতে বিবাহটি সম্পন্ন করা উচিত বলে আমি মনে করি। এতে করে বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। বাংলাদেশে মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১ (১৯৭৪ সংশোধিত) এর ৭ ও ৯ ধারা মতে যে কাবিন নামাটি করা হয়েছে তাতে একটি মু-আজ্জল ও আকেটি মু অজ্জল শব্দ যুুক্ত করেছে।
যার অর্থ হচ্ছে উশুল এবং বাকী। এই বাকী হিসাবটা কিন্তু ইসলাম বলে নি। আমার এই লেখাটির পাঠক যদি কোন মহিলা হন তাহলে অবশ্যই আমাকে হয়ত অনেক কড়া কথা বলতে ইচ্ছে করবে। কিন্তু কোন কড়া কথা বলার আগে একবার দেখে কিংবা জেনে নিবেন আমি যা বললাম তা সত্যি কিনা!
আমার পরবর্তী লেখাটি নারীর সম-অধিকার নিয়ে.... খুব শিঘ্রই ব্লগে আসছে, চোখ রাখুন আমার ব্লগে। ধন্যবাদ সবাইকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।