পারিবনা পারিবরা এই কথাটি বলিও না আর একবার না পারিলে দেখ শতবার। আমি কিছুই পারিনা চেষ্টায় আছি কিছু পারার কিছু করার যদি খোদা থাকে সাথে। কেউ ফেবুতে ক্যাচাল করতে চাইলে fb.com/kalochita
নারীর সমঅধিকার ও নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ ভাঁওতাবাজি ছাড়া কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের নেতারা।
শুক্রবার রাজধানীর মুক্তি ভবনে প্রগতি সম্মেলনকক্ষে ‘নারীর সমাধিকার ও নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তরা এ মন্তব্য করেন।
তারা বলেন, ‘নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ ভাঁওতাবাজি ছাড়া কিছু নয়।
অন্তঃসারশূন্য একটি নারীনীতি প্রণয়ন করে মৌলবাদী গোষ্ঠীকে মাঠে নামিয়েছে সরকার। এর পেছনে কাজ করছে রাষ্ট্র। ’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক ড. কাবেরী গায়েন বলেন, ‘সরকারের এই নারীনীতি পরিস্কার একটি ধোঁকা। দাতাগোষ্ঠীর চাপে পড়ে একটি অন্তঃসারশূন্য নারীনীতি প্রণয়ন করে সরকার মৌলবাদী গোষ্ঠীকে মাঠে নামিয়েছে। এর নেপথ্যে সরকারই কোনো স্বার্থ হাসিলের পাঁয়তারা করছে।
’
‘উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদে নারীর পুনঃনিয়ন্ত্রণ’ সংক্রান্ত নারীনীতি ২০১১ এর একটি ধারার সমালোচনা করে কাবেরী গায়েন বলেন, ‘এ ধারার মধ্যে সরকারের সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজির জায়গাটি রয়েছে। যেখানে একজন নারী সম্পদই পাচ্ছে না। সেখানে তার ওপর পুনঃনিয়ন্ত্রণ কীভাবে আসবে। ’
কোরআন বিরোধী কোনো আইন করা হবে না- প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন ড. কাবেরী গায়েন।
তিনি বলেন, ‘কোরআন বিরোধী আইন না করলে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সরকার প্রধান থাকতে পারেন না।
কারণ, কোরআন নারী নেতৃত্ব সাপোর্ট করে না। ’
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিম আখতার হোসাইন বলেন, ‘সুরা নিসায় বলা হয়েছে নারীকে ৩৩ শতাংশের কম ও পুরুষকে ৬৬ শতাংশের বেশি দেওয়া যাবে না। তার মানে এই নয়, নারীকে ৩৩ শতাংশের ওপরে দেওয়া যাবে না। ’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ যেমন- তিউনিশিয়া, মরক্কো, ইরাক ও মিশরের নারীকে সম্পদে সমাধিকার দেওয়া হয়েছে। অথচ বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে পরিস্কার কোনো বক্তব্য দিতে পারছে না।
সম্ভাব্য বিরোধ এড়াতে মৌলবাদীদের সঙ্গে তারা আপোস রফার পথে হাঁটছে। ’
মহিলা ফোরামের কেন্দ্রীয় নেত্রী অ্যাড. সুলতানা আখতার রুবি বলেন, ‘নারীকে সম্পদের সমাধিকার দেওয়া কোরআনের পরিপন্থি হলে বঞ্চিত করাটা তাহলে কী?’
তিনি বলেন, ‘নারী যেমন পিতা, মাতা ও ভাইয়ের সম্পদের অংশ পান, তেমনি মুসলিম উত্তরাধিকার আইনেও পুরুষরা পিতা-মাতা ও ভাইয়ের সম্পদের অংশ পান। এ বিষয়টি কেন আমিনীরা এড়িয়ে যান। ’
সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি রওশন আরা রুশোর সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী মদিনা, দৈনিক সমকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, শিক্ষা বার্তার সম্পাদক এএন রাশেদা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নি শিখা জামালী, তাসলিমা আক্তার লিমা প্রমুখ।
সূত্র
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।