good
হিযবুত তাহরীর -এর সদস্যগণ গত শুক্রবার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে বাদ জুম্মাহ মুসলি−দের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা প্রদান
করেন; যাতে বক্তাগণ বলেন যে, বর্তমান শাসন ব্যবস্থা ও শাসকগোষ্ঠী দেশের জনগণকে মুক্ত করতে ব্যথর্ হয়েছে; আর তাই প্রকৃত মুক্তি
অর্জনের লক্ষ্যে খিলাফত রাষ্টর প্রতিষ্ঠার জন্য তারা দেশের মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানান। বক্তাগণ বলেন, এই বছর (২০১১) বাংলাদেশ
৪০ বছরে পদাপর্ণ করেছে, কিন্তু আজও দেশের মোট জনসংখ্যার ৪০% এর বেশী লোক দারিদ্র সীমার নীচে অমানবিক জীবন যাপন
করছে। দেশের ১০% এরও কম লোক ৯০% এর বেশী সম্পদ ভোগ করে। আজও দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত তরুণ বেকারত্বের অভিশাপে
জর্জরিত। পরিবারের নূন্যতম চাহিদা মেটানোর জন্য লক্ষ লক্ষ নারীরা আজ বাধ্য হয়ে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে মানবেতর দর্জির কাজ করছে, যা
নাৎসীদের কনসেনট্রেশন শিবির (concentration camp)) ছাড়া আর কিছুই নয়।
দেশের অর্থনীতি এতটাই পশ্চাদপদ যে, দেশে
শক্তিশালী কোনও শিল্প কাঠামোতো দূরের কথা, বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ৪০ বছর পর আজও খোদ রাজধানী ঢাকা শহরেই বিরামহীন বিদ্যুত
সরবরাহ করতে ব্যর্থ! এসব ঘটনা দেশের সামগ্রিক নির্মম বাস্তবতার অতি ক্ষুদ্র অংশের প্রতিফলন মাত্র।
বক্তাগণ জনগণের প্রতি দেশের বর্তমান শাসন ব্যবস্থা এবং আওয়ামী-বিএনপি শাসকদের অপসারণের আহ্বান জানান, যারা গত ৪০ বছর
ধরে দেশকে শোষন করছে। আজ দেশের মানুষের অমানবিক দুর্ভোগ ও ভোগান্তির একমাত্র কারণ হলো কাফেরদের কাছ থেকে ধার করে
আনা মানুষের তৈরী ধর্মনিরপেক্ষ কুফর শাসন ব্যবস্থা। এই ঘর্ণৃ ও জনগণের রক্তচোষা ব্যবস্থার মাধ্যমে আওয়ামী-বিএনপি শাসকরা
একদিকে দেশের সম্পদ লুট করে নিজেদের সম্পদের পাহাড় তৈরি করে এবং অন্যদিকে তাদের বিদেশী প্রভুদের সন্তষ্ট রাখতে দেশের স্বাথর্
ও সম্পদকে বিক্রি করে জনগণকে ছুঁড়ে ফেলে দারিদ্রের যাঁতাকলে। গত ৪০ বছরের বাংলাদেশের আওয়ামী-বিএনপি শাসকদের একমাত্র
তুলনা বেন আলী, মুবারক, ও গাদ্দাফীর মত জালেম শাসকরা, যারা আরব বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ্কে গত ৪০-৫০ বছর ধরে নির্মম অত্যাচার
ও জুলুমের মাধ্যমে শাসন করছে।
আর তাই আরব বিশ্বের মুসলিমদের মতো বাংলাদেশের মুসলিমদেরকেও জালেম আওয়ামী-বিএনপি
শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে জেগে উঠতে হবে, নেমে আসতে হবে রাজপথে এবং এই শাসকগোষ্ঠীর অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ
দখলে রাখতে হবে।
বর্তমান পরিস্থিতি থেকে প্রকৃত মুক্তির একমাত্র পথ এদেশে কুর’আন-সুন্নাহ ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা ও সকল প্রকার কৃত্রিম সীমানা
মুছে দিয়ে সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ’ সাথে ঐক্যবদ্ধ হওয়া; যা একমাত্র খিলাফত রাষ্ট পুন:প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সম্ভব। একমাত্র কুর’আন
ও সুন্নাহ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই মুসলিম উম্মাহ পৃথিবীতে ও আখিরাতে হাসানাহ (উত্তম বিষয়), মুক্তি ও সফলতা অর্জন করতে পারবে।
একমাত্র খিলাফত ব্যবস্থার মাধ্যমেই মুসলিম উম্মাহ তার পুরো জনশক্তি, বিপুল সম্পদ ভান্ডার, এবং বিশাল সেনাবাহিনীকে এক রাষ্টের ও এক
পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করে আবারও পৃথিবীর ১নং শক্তিশালী রাষ্ট হিসাবে সর্বোচ্চ মর্যাদাশীল জাতিতে উন্নতি হতে পারবে।
পরিশেষে বক্তাগণ নিন্ন্নক্ত আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে সম্মানিত মুসলি−দের স্মরন করিয়ে দেন যে, যতক্ষন পর্যন্ত বর্তমান শাসনব্যবস্থা এবং
দুর্নীতিগ্রস্থ ’ অত্যাচারী দালাল শাসকের ব্যাপারে জনগণ নিশ্চুপ থাকবে এবং মনে করতে থাকবে যে আগামীতে ভোটের মাধ্যমে তাদের
জুলুমের জবাব দিবে ততক্ষন পর্যন্ত শাসকদের জুলুম-শোষণের ষ্টীম রোলার চলতেই থাকবে:
“যে আমার বণির্ত বাণী হতে মখু ফিরিয়ে নিবে, নিশ্চয়ই পৃথিবীতে তার জন্য রয়েছে দূর্ভোগের জীবন এবং কিয়ামতের দিন আমি তাকে অন্ধ
অবস্থায় উত্থিত করব।
” [সূরা ত্বোয়া-হা : ১২৪][/sb
View this link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।