কল্পনা করুন এমন একটি দুনিয়া যেখানে তার ছাড়াই চলবে কম্পিউটার, মোবাইল। জ্বলবে লাইট, ঘুরবে ফ্যান। এছাড়াও চলবে যাবতীয় ইলেকট্রনিক পণ্য। কথাটা হয়তো স্বপের মতো শোনায়। কিন্তু এই স্বপ্নের মতো ব্যাপারটিকে বাস্তবে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছেন ওয়াই ট্রিসিটি কোম্পানির সিইও এরিক গিলার।
ফোন এবং ল্যাপটপের মতো ইলেকট্রনিক পণ্যগুলো আগামী এক বছরের মধ্যেই তার ছাড়া চলবে। জানা গেছে, এই কোম্পানি এমন একটি বাল্ব তৈরি করেছে যা একটি নির্দিষ্ট পাওয়ার সকেট থেকে কিছু দূরে তার ছাড়াই জ্বলতে পারবে।
ওয়াইট্রিসিটি ভার্সনের তারবিহীন বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার কাজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানা গেছে, এই পদ্ধতিতে প্রথমে বৈদ্যুতিক ক্ষমতা বা শক্তিকে ম্যাগনেটিক ফিল্ডে রূপান্তর করা হয় এবং তারপর বাতাসের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে পরিণত করে তা দিয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক জিনিস চালানো হয়।
এরিক বলেন, তারা এখনও প্রাথমিক পর্যায়েই আছেন। তবে শিগগিরই তারা বাণিজ্যিকভাবে এর উত্পাদন শুরু করবেন।
ট্রিসিটি কোম্পানিটি আসলে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা এমআইটির একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। এমআইটির মতে, পাওয়ার কর্ড এবং ব্যাটারির দিন এখন শেষ। এখন থেকে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তারবিহীন ইলেকট্রনিক দুনিয়ার ব্যাপারটি সবার কাছেই বেশ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তারবিহীন ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এর ফলে এখন আর কোনো তার কিংবা ব্যাটারি কিনতে হবে না। ফলে বিপুল পরিমাণ এনার্জি এবং অর্থের অপচয় কমবে।
’
তারবিহীন ব্যবস্থার পাশাপাশি কোম্পানিটি তৈরি করেছে একটি ইলেকট্রিক কার, যা গ্রাহকদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করতে পারবে বলেই মনে করছেন তারা। এই গাড়িটি ওয়্যারলেস পাওয়ার মার্টের মাধ্যমে চলবে। এরিক বিষয়টিকে উল্লেখ করেছেন ‘অ্যাবসলিউটলি গর্জিয়াস’ হিসেবে।
তারবিহীন বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার জন্য কাজ শুরু হয়েছিল একশ’ বছরেরও আগে থেকে। ১৮৯০ সালে নিকোলা টেসলা নামের একজন বাতাসের মধ্য দিয়ে বিদ্যুত্ পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলেন।
তখন থেকেই তারবিহীন বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার উন্নতি শুরু হয়। কিন্তু তা সহজ এবং সুলভমূল্যে বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদন করা বিশেষজ্ঞদের জন্য বেশ কষ্টসাধ্যই ছিল। ইঞ্জিনিয়াররা বিদ্যুকে বাতাসের মাধ্যমে নিরাপদে পারাপার করার বেশ কিছু পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। তার মধ্যে কিছু কিছু বাণিজ্যিকভাবে পাওয়া গেলেও এগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে।
বাংলা এক্সপ্রেস
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।