আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডায়েট নিয়ে কথা



ডায়েট কন্ট্রোল হলো শরীরের ওজন কমানোর উপায়। মেয়েরা মাঝে মধ্যে বলে, আমি ওজন কমাচ্ছি, অর্থাৎ তারা কম খাদ্য গ্রহণ করছে। ডায়েটের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন। একজন মানুষ যা খায় সেটাই ডায়েট, কম বা বেশি, ভাল বা মন্দ। ডায়েট মানে খাদ্য এবং মানুষের জীবনে ডায়েটের এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

রোগ প্রতিরোধ এবং শারীরিক দুর্বলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার এক মোক্ষম অস্ত্র হলো ডায়েট কন্ট্রোল। সুষম খাদ্যাভ্যাস ভাল স্বাস্থ্যের জন্য খুব দরকারী। সঠিক ডায়েট রোগীকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে তোলে। শারীরিক গোলযোগের ক্ষেত্রে একটা বিশেষ নিয়মিত ডায়েট মেনে চলতে হয়। চিকিৎসাবিদ্যায় আধুনিক ওষুধের ক্ষেত্রেও ডায়েটের রয়েছে বিশেষ ভূমিকা।

বেশিরভাগ রোগীই ডাক্তারের যথাযথ উপদেশ মেনে চলেন না, এ কারণে তাঁরা প্রায়ই সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হন। ডাক্তার পুরো ডায়েটের একটা সংক্ষিপ্ত নিয়ম লিখে দেন। যেমন একজন আলসার বা টাইফয়েডের রোগীকে নরম ডায়েট দেয়া হয়। এক্ষেত্রে রোগী ভাবেন যে মসলাদার খাবার না খেলেই সুস্থ হয়ে উঠবেন। এতে ডায়েট প্রণালী অপূর্ণ থেকে যায়, অসুখও ভাল হয় না সহজে।

এক্ষেত্রে ডায়েটেশিয়ানই ব্যাখ্যা করতে পারবেন কীভাবে রোগী নরম খাদ্য গ্রহণ করতে পারবেন। এ প্রণালী অনুসরণ করলে রোগী খুব শীঘ্রই আলসার বা টাইফয়েড থেকে রক্ষা পাবেন। সব অসুখের সঙ্গেই ডায়েট জড়িত। কিছু কিছু রোগ ভুল খাদ্যাভ্যাসের জন্য হয়ে থাকে। চিকিৎসার স্বার্থে ডায়েটে মাঝে মধ্যে পরিবর্তন আনতে হয়।

অবশ্য কিছু মানুষের ভুল ধারণা আছে যে, সুস্বাস্থ্য নির্ভর করে খাবারের পরিমাণের উপর। অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে ওজন বেড়ে যায়। প্রতিদিন অতিরিক্ত ১০০ ক্যালরির জন্য একটা কলা বা এক প্লেট বাদাম ৪/৫ সপ্তাহের মধ্যে হাফ কেজি ওজন বাড়িয়ে দেয়। এর মানে হলো বছরে ৬ কেজি ওজন বেড়ে যাওয়া। অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগ, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি করে।

এসব রোগ থেকে বাঁচতে হলে একটা পরিমিত ডায়েটের খুবই প্রয়োজন। এসব ক্ষেত্রে দরকার ডায়েটের সঠিক পরিবর্তন। ডায়েটের পরিবর্তনটা এমনভাবে করতে হবে যাতে শরীরের বিভিন্ন অংশ বিশ্রাম পায়। এতে চিকিৎসা বেশি কার্যকর হবে। গর্ভাবস্থায় এবং শিশুকে স্তন্যদানের সময় পথ্য সংক্রান্ত একটা বিশেষ পরিবর্তন দরকার।

আমাদের শিশুর বেড়ে ওঠার সময় ডায়েটে পরিবর্তন আনতে হবে। শিশু, তরুণ-তরুণী এবং বয়স্ক সব ক্ষেত্রেই ডায়েট হবে ভিন্ন রকম। শক্তিশালী, আরামধায়ক এবং কর্মঠ হতে হলে ডায়েটে ঋতু অনুযায়ী পরিবর্তন আনতে হবে। সুতরাং সুস্থ থাকতে হলে ডায়েট নিয়ে আপনাকে ভাবতেই হবে। মেয়েদের রূপচর্চা ও সুস্থতায় ব্যায়ামের ভূমিকা খালি হাতের ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং: মহিলাদের জন্য হাঁটার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খালি হাতের ব্যায়াম রয়েছে।

শিশুরা জম্মাবার পর মুহূর্ত থেকে হাত পা ছুড়ে ব্যায়াম করে - এই সময় প্রকৃতি তাদের ব্যায়াম শিক্ষক। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা লাফালাফি ছোটাছুটি করতে ভালবাসে। মেয়েদের পক্ষে এটিই উত্তম ব্যায়াম। স্ট্রেচিং মহিলা বা তরশুণীদের জন্য খুবই আদর্শ ব্যায়াম। হাতে কিছু না নিয়ে শরীরের বিভিন্ন ভঙ্গিমায় অঙ্গ সঞ্চালনের মাধ্যমে শরীরের জড়তা দূর করে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করাকেই খালি হাতের ব্যায়াম বা স্ট্রেটিং বলা হয়।

স্ট্রেচিং পুরো শরীরকে ব্যায়ামের উপযুক্ত করে তোলে। এইসব ব্যায়াম আপনার মাথা, ঘাড়, কাঁধ, বাহু, পেট, পিঠ, কোমর ও পায়ের ভালভাবে কাজ করে এবং শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে ও শরীর ব্যায়ামের উপযুক্ত হয়। এই ব্যায়ামগুলো করতে আপনাকে কোনো জিমনেশিয়াম, জায়গা, স্থান ও সময় নির্ধারণ করতে হবে না। এগুলো আপনি যখন-তখন ঘরে, ছাদে বা আঙ্গিনায় করতে পারবেন। যেকোনো সময় ঘরে ব্যায়াম করে শরীরকে অনেক বেশি প্রাণবন্ত রাখতে পারেন অর্থাৎ আপনার ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ বা অন্যান্য রোগ থেকে মুক্তি হতে পারেন নিঃসন্দেহে।

তবে ব্যায়ামগুলো তাড়াহুড়া বা শরীরের ওপর চাপ সৃষ্টি করে করা যাবে না। হৃদরোগীরা সামনে ঝুঁকে কোনো ধরনের ব্যায়াম করবেন না। স্ট্রেচিং ব্যায়ামের সামান্য কিছু গত কয়েক সংখ্যায় প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর মুটিয়ে যাওয়ার হাত থেকেও রক্ষা পায়। এমনকি যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের মানসিক চাপ কমে।

তাই প্রতিদিন কিছু সময় অবশ্যই ব্যায়াম করা উচিত। ব্যায়াম বলতে শরীরচর্চা, সাঁতার, সাইক্লিং, ট্রেডমিল, হাঁটা, জগিং, অথবা জিমনেশিয়ামে ব্যায়াম ইত্যাদিকে বুঝায়। জগিং ও সাইক্লিং: জগিং বলতে দৌড়াদোড়িকে বুঝানো হয়। জগিং আপনি খালি রাস্তা বা খোলা মাঠে করতে পারেন। যদি আপনি মাঠে বা রাস্তায় করতে না পারেন তবে ওয়াকার মেশিন কিনে ঘরের মধ্যে পছন্দমত সময় জগিং করতে পারেন।

ওয়াকার বা রানিং মেশিন এখন বাংলাদেশের সকল স্পোর্টসের দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। এর দাম ৭ হাজার থেকে ১-২ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন জগিং করার সময় কেডস পড়ে করবেন, কেডস বিহীন জগিং করা একেবারেই উচিত নয়। যারা অতিরিক্ত মোটা তারা জগিং করে ভাল উপকার পাবেন। শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ পোড়ানোর জন্য জগিং খুবই উপকার করে।

প্রথম প্রথম ১০-১৫ মিনিট জগিং করশুন। কয়েকদিন করার পর ধীরে ধীরে সময় বাড়ানো যাবে। জগিং করার সময় মুখে নিঃশ্বাস না নিয়ে নাকে নিঃশ্বাস নেয়া উপকারি। যাদের শরীর ফিট নয় তারা শুধু মেশিনে বা রাস্তায় হাঁটাই উত্তম। এর পাশাপাশি আপনি সাইক্লিংও করতে পারেন।

এটি আপনি প্রতিদিন ২০ মিনিট করতে পারেন। তবে সাইক্লিং বেশি সময় নিয়ে করতে যাবেন না। এগুলো ছাড়াও উন্নতমানের জিমনেশিয়ামে আরও অনেক রকম যন্ত্রপাতি থাকে, সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.