ভবনের স্বল্পতায় বিচারক, আইনজীবী থেকে শুরু করে আইনজীবী সহকারীরাসহ আদালতের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
আইনজীবী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, মুখ্য বিচারিক হাকিমের নয়টি আদালতের সাতটি এবং জজশিপের আওতায় তিনটি সহকারী জজ আদালতে বিচারক নেই। এতে বিচারপ্রার্থী মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিচারকাজ বিলম্বিত হচ্ছে।
এছাড়া মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের নিজস্ব ভবন না থাকা ও কর্মচারী স্বল্পতায়ও বিচারিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
বিচারিক হাকিম আদালতের নয়জন বিচারকের কাজ চলছে মাত্র দুজন দিয়ে। এসব আদালতে বিচারাধীন রয়েছে প্রায় ছয় হাজার মামলা। দুজন বিচারককে মামলা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়।
এদিকে, জেলা জজশিপে নালিতাবাড়ী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক এবং নকলা ও শ্রীবরদী সহকারী জজ আদালতের বিচারকের পদও শূন্য রয়েছে।
এজন্য এ তিন আদালতে প্রায় দুই হাজারের বেশি মামলার বিচার কাজে বিঘ্ন হচ্ছে।
শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি একেএম মোছাদ্দেক ফেরদৌসী বলেন, বদলিজনিত কারণে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের সাতজন বিচারক এবং জজশিপের তিনজন সহকারী জজ না থাকায় বিচারপ্রার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এ বিচারক সঙ্কট দূর করতে তিনি দ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমকে মুরাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে এজলাস ও বিচারকদের খাস কামরার সঙ্কটের কারণে বিচারকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। এজলাসের কামরাগুলো ছোট হওয়ায় বিচারপ্রার্থী মানুষ, সাক্ষী ও আইনজীবীরা বসা তো দূরের কথা দাঁড়িয়ে থেকেও কাজ করতে পারছেন না।
স্থানাভাবে একই খাস কমরায় দুই/তিনজন বিচারককে বসতে হচ্ছে।
সুষ্ঠুভাবে বিচার কাজ চালাতে হলে বর্তমানে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিমসহ আরো অন্তত তিনজন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এবং তিনজন সহকারী জজ নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন।
বিচারপ্রার্থী শেরপুর সদরের তারাকান্দি গ্রামের রফিক, ঝিনাইগাতী উপজেলার সাথী বেগম এবং শ্রীবরদীর বালিজুড়ি গ্রামের মনিরুজ্জামানসহ অনেকেই আদালতের দীর্ঘসূত্রিতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শেরপুর জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সদস্য জহিরুল হক কফ বলেন, বিচারিক হাকিম আদালতের এজলাস কক্ষ এত ছোট যে সেখানে বসা তো দূরের কথা দাঁড়িয়ে থেকেও আইনজীবী সহকারীদের কাজ করতে কষ্ট হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।