ভাগশেষের অবশিষ্ট / facebook.com/adnan.tapu
অনেকদিন কাঁদতে পারিনি । বালিশের গায়ে বুনতে পারিনি ভেজা পলকের দাগ । অথচ প্রতিদিন কত জলের গল্পই না জমা হচ্ছে হিসেবের খাতায় । সেই যে কুসুম গরম রোদটা প্রতিদিন আমাদের বারান্দায় এসে এলিয়ে পড়তো , যার তলায় দাদুর শরীরে উম হতো বলে আমরা দুইজন সারাটা সকাল কাটিয়ে দিতাম বারান্দায়, সেই রোদ যখন খুন হলো অট্টালিকার তলায় চাপা পড়ে, আমি একটুও কাঁদিনি । কিংবা প্রিয় রোদচশমাটা, যে আজন্মকাল বেঁচে ছিল আমার চোখের পাহারায় , সে যেদিন সহস্র টুকরো হয়ে নেতিয়ে পরেছিল সেদিনও কাঁদিনি আমি ।
আর প্রতিমাসে বুক পকেটে জমা হওয়া মৃত প্রজাপতির দল, যাদের বিনিময়ে আমি বাজার থেকে সুখ কিনতে যাই আর ফিরে আসি হাত ভর্তি শূন্যতা নিয়ে, তাদের জন্যও কখনও আমার অশ্রু বর্ষিত হয়না । তবে আমি কিসের জন্য কাঁদবো ?? আমার সেই শবদেহের জন্য যে পড়ে আছে অতীত নামক ফুলদানির তলায় নাকি সেইসব মিথ্যে প্রতিশ্রুতির জন্য যাকে তোমরা বেঁচে থাকা নাম দিয়েছ ?? আমি জানি না ।
তাই শেষপর্যন্ত তোমার কাছে ফিরে আসি , দিবে আমাকে কোনও কঠিনতম কষ্ট ?? খুব যত্নে রেখে দিবো । দিবে কোনও গোপনতম দুঃখ ?? আমি আর পারি না । আমার বুক জমাট কষ্টের চাপ ভেঙ্গে দাও নয়তো আমার এপিটাফে লিখে দিও, “ এখানে শুয়ে আছে একজন করুণতম মানুষ , যার কান্নার শব্দ শোনেনি কোনও বোবা বালিশের কান” ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।