ভারতের মুম্বাইয়ের টাডা আদালতে গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা দুইটা ৩৬ মিনিটে আত্মসমর্পণ করেন ‘মুন্নাভাই’ নামে খ্যাত সঞ্জয় দত্ত। এ সময় তাঁর পরনে ছিল জিনসের প্যান্ট আর সাদা কুর্তা; কপালে ছিল লাল তিলক। ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন এই বলিউড তারকা। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত তাঁকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এরই মধ্যে দেড় বছর কারাভোগ করেছেন সঞ্জয়।
এবার তাঁকে সাড়ে তিন বছর কারাভোগ করতে হবে।
আত্মসমর্পণের পর কারাগারে তিনটি সুবিধা পাওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন সঞ্জয়। সুবিধাগুলো হলো: ১. নিয়মিত তাঁর বাসায় তৈরি খাবার খাওয়া, ২. বাসা থেকে পাতলা তোশক, বালিশ ও ওষুধ সরবরাহ, ৩. ধূমপানের অনুমতি। আদালত প্রথম দুটির ব্যাপারে তাঁকে এক মাসের জন্য অনুমতি দিলেও তৃতীয়টি নাকচ করে দেন।
এর আগে আদালতে সঞ্জয় দত্ত এক আবেদনে জানান, তিনি পুনের ইয়েরওয়াড়া কারাগারে সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে চান।
সেখানে তিনি রান্নার কাজ করতে চান। ২০০৭ সালে একই কারাগারে দেড় বছর সশ্রম কারাভোগ করেন তিনি। ওই সময়ও তিনি রান্নার কাজে নিযুক্ত ছিলেন।
আত্মসমর্পণের পর সঞ্জয়কে নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বাইয়ের আর্থার রোডের কারাগারে। প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা শেষে এবং আনুষঙ্গিক কাগজপত্র তৈরির পর রাতেই তাঁকে ১৫০ কিলোমিটার দূরের ইয়েরওয়াড়া কারাগারে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে ইয়েরওয়াড়া কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারাগারের অভ্যন্তরে সঞ্জয়ের জন্য আলাদা কোনো বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে—এমন কোনো কয়েদি যাতে সঞ্জয়ের কাছাকাছি না আসতে পারে, সেদিকে কড়া নজর দেওয়া হবে।
নিজ বাসভবন মুম্বাইয়ের বান্দ্রার পালিহিলের ইম্পেরিয়াল হেইটস ভবনে গতকাল সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রার্থনা করেন সঞ্জয়। মধ্যাহ্নভোজ শেষে বেলা দেড়টা নাগাদ তিনি টাডা আদালতে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন। এ সময় স্ত্রী মান্যতার হাত ধরে রেখেছিলেন তিনি।
সঙ্গে আরও ছিলেন সঞ্জয়ের বোন প্রিয়া দত্ত। বাসার সামনে ভিড় করেছিলেন অসংখ্য ভক্ত। ভিড় ঠেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সঞ্জয়কে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতে যাওয়ার পথে তিনি সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে কিছু সময় কাটান। এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত বলিউডের বিশিষ্ট তারকা, প্রযোজক এবং পরিচালকেরা সঞ্জয় দত্তের বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।