আজ সেই আগুনঝরা মার্চের ২০তম দিন। ১৯৭১ সালের ২০ মার্চ। বন্গবন্ধুর সংগে আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ করে `গণহত্যা'র নীলণকশাটির বাস্তবায়নেরই প্রস্ততি সম্পন্ন করছিলেন পাকিস্তানের সামরিক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান। জুলফিকার আলী ভূট্টো নেপথ্য কলকাঠি নাড়ছিলেন। আফসরফার নামে এভাবেই চলচিল নানা টালবাহানা।
সম্পন্ন করা হচ্ছিল ষড়যন্তের শেষ পর্বটি।
দুই পক্ষের প্রতিনিধি দল ও কয়েকদফা বৈঠক করেন পাকিস্তানের শাসনতণ্ত্র এর খসড়া প্রণয়ন ও ক্ষমতা হস্তান্তরের রূপরেখা তৈরি নিয়ে। অগ্রগতির কথা বলা হলেও এসবই ছিল পাকিস্তানিদের চালবাজি মাত্র। বন্গবন্ধুর সংগে বৈঠক করে আবার গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হউসে ( পুরোনো ভবন ) গিয়ে সামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে আমোদফূর্তিতে মেতে ছিলেন ইয়াহিয়া।
বন্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সন্গে এদইন ও দুই দফা বৈঠক করেন ইয়াহিয়া।
তবে তিনি যেমন ছিলেন আলচ্যবিষয় নিয়ে মুখ খোলা থেকে বিরত,তেমনি তিনি বন্গবন্ধুকেও উভয়ের স্বার্থে মুখ বন্ধ রাখথে বলেছিলেন। তবে বন্গবন্ধু সহকর্মীদের যে কোনো পরিণতি বরণের জ্ন্য প্রস্তু্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এদিন গভীর রাত পর্যন্ত টিক্কআ খান ও জিওসি মেজর জেনারেল খাদেম হোসেনকে নি্য়ে নীলনকশা বাস্তবায়ন নিয়ে শলাপরামর্শ করেন প্রেসিডেণ্ট ইয়াহিয়া।
১৮ পান্জাব ইনফ্যান্টি ব্যাআলিয়নের সদস্যরা কড়ানিরাপত্তাবেস্টিত করে রাখেন ইয়াহিয়া খানকে। পূ্র্ব পাকিস্তানের মিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হওয়ার কারণেই সামরিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্যই ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহবান করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।