শেষ বারের মতো সতর্ক করছি...
এক সময় আমি প্রচুর লিখতে পারতাম। এখন পারিনা। খুবই বিরক্তি লাগে। বিরক্তি লাগার কারনটা কি আমি জানিনা। হতে পারে আমি আগের চেয়ে বেশি অলস হয়ে গেছি।
আথবা বুঝতে পারছি আগে যে অনেক লিখতাম তার কোনটাই কিছু হয়ে উঠেনি। যখন কবিতা এত পড়তাম না তখন কবিতা লিখতাম। যখন অনেক বিখ্যাত লেখকদের ছোট গল্প পড়া হয়নি তখন লিখতাম। ছোট গল্প। আবশ্য উপন্যাসও শুরু করেছিলাম।
শেষ করতে পারিনি।
কোথায় আছে আমার সেই হারানো কাগজ পত্র? হয়তো আছে কোথাও, আথবা হারিয়ে গেছে চিরতরে। যে কাগজ গুলো হাত ছাড়া হলে আমি মারাই যাব এমন মনে হতো। এখন তাদের জন্য চিন্তা করে সময় আপচয় করতে চাই না। তাহলে সাত আট বছরের সমস্ত লেখা লেখি কি তবে বৃথাই গেল।
একটি কবিতাও কোথাও ছাপানো হলনা। একটা লেখা এখনো পর্যন্ত কোন গুনি ব্যাক্তিকে দেখানো হলনা। তবে কেন এত চেষ্টা। একটা সহজ সমাধান আছে। বাংলাদেশে নাকি কাক এবং কবির সংখ্যা সমান।
আমি অনেক কাক দেখিছি। অনেক কবিও দেখেছি। সন্ধার শুরুতে কোর্টরোডের গাছ ঢাকা রাস্তাটা দিয়ে যাওয়াই যেতনা কাকের চিৎকার চেচামেচি। সাকাল বেলা কাল রাস্তাটা চুন মাখা সাদা মনে হতো। কবিদেরও এমন বিশেষ বিশেষ কিছু যায়গায় দেখা যায়।
আমাদের জাতীয় কিছু দিবস, কবিতা উৎসব। এসব ছাড়াও যে খানে সবচেয়ে বেশি তাদের পাওয়া যায় তা হলো জাতীয় দৈনাক পত্রিকার পাঠক ফোরাম গুলোতে। আমার ধারনা যারা বন্ধু সভা, পাঠক সভা, সুহৃদ সামাবেশ, ইত্যাদি কাজে যুক্ত আছেন তাদের অনেক কবির সাথেও প্রতিনিয়ত দেখা সাক্ষাত হয়ে থাকে।
আঞ্চলিক দৈনিকের লেজ ধরে যে থাকে তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।
ও যা শুরু করেছিলাম।
আমার লেখা লেখির শুরুটা আমি যখন আষ্টম শ্রেনীতে পড়িত তখন থেকে। এক সময় নিজেকে মনে হতে বাড়ি থেকে যদি আর একটু সহযোগিতা পেতাম( মানে পড়ালেখা না করার জন্য যদি কোন বকা ঝকা না করতো) তাহলে প্রায় রবীন্দ্রনাথের সমপর্যার হতে পারতাম। মাঝে মাঝে আমার কোন কোন কবিতা আট দশবার পড়ে মনে হতো এইটার মতো কবিতা রবীন্দ্র নাথ লিখতে পারে নাই। তখনো রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে পাঠ্যবই এর তালিকার বেশি জানা হয় নাই।
সেই থেকে শুরু।
নতুন যৌবনের স্বাদ যখন পেতে শুরু করি তখন আমি পুরুপুরি একজন কবি। চুল কাটার জন্য একাডেমিক পড়ার জন্য তেমন সময় বের করতে পারি না। ( তখন পড়ার জন্য কিছুটা চাপ কমেছে। বকাঝকা করলেও লাঠি নিয়ে মারা ভয় ছিলনা। বৃহৎ কিছু করার জন্য ক্ষুদ্র কিছু ছাড় দিতে হয় ইহা আমি জেনে গেছি।
)
অনার্স ভর্তি হওয়ার কোন ইচ্ছে নেই। আমি ডিগ্রীই ভর্তি হতে চাই। কবি হওয়ার জন্য এত বেশি লেখাপড়ার দরকার নাই। আমি তত দিনে প্রায় হাজার খানেক কবিতার মালিক। কবিতার কি মালিক হয়? যাই হোক ।
দিন রাত মিলিয়ে আমি প্রচুর লিখি।
আমার কবিতা রচনার মুহটা তৃতীয় বর্ষ পর্যন্ত ছিল। তার পর বিদায় নিয়েছে।
তার পরের গল্পটা আর একদিন বলবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।