আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেলে আসা সেই সব দিনগুলো, আজ মনে পড়ে যায়



আজ দুদিন ধরে খুব ফূর্তিতে আছে মাহিন। প্রতিবেশীরা ৪টা ছাগল এনেছে। সে গুলোকে নিয়ে তার আনন্দের শেষ নেই। নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে সারাদিন ওগুলোর পিছনে ছোটাছুটি করছে। ছাগলগুলোকে গাছের পাতা খাওয়ানোর জন্য তার সে কি প্রাণান্তর চেষ্টা।

একটা না খেলে অন্যটার মুখে ধরে তীর্থের কাকের মত চেয়ে থাকে। কোনটা একটু পাতাতে কামড় দিলেই দ্বিগবিজয়ীর হাসি ছড়িয়ে পরে ওর চোখে মুখে। তার সেই আনন্দের রেশ প্রবাহিত হয় আমার মনেও। আমি বসে বসে তার সেই আনন্দ সুখ উপভোগ করি। আর এক সময় হারিয়ে যাই নিজের ফেলে আসা শৈশবের দিনগুলোতে।

বেশী মনে পড়ে, কলোনীতে থাকার সময়টা কথা। বাবার চাকরীর সুবাদে আমার শৈশব-কৈশরের প্রায় পুরো সময়টা কেটেছে কলোনীতে। কলোনীতে ঈদ আনন্দের মাত্রাটা যেন একটু অন্য রকম। যারা কলোনীতে থাকে তারা ব্যাপারটা ভাল বুঝবে। মনে পড়ে প্রতি ঈদের আগের রাতে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থেকে রঙিন কাগজ দিয়ে নকশা কেটে ঘর সাজানোর কথা।

এমনি এক ঈদের ভোরে ঘুম ভাঙ্গল ঝড়ের শব্দে। বারান্দায় গিয়ে দেখি, রাত জেগে কষ্ট করে সাজানো আমার রঙিন আনন্দগুলো বাতাসের ঝাপটায় ছিঁড়ে ফুঁড়ে মেঝেতে লুটিয়ে আছে। বাকরূদ্ধ হয়ে গেলাম। টের পেলাম নিঃশব্দে দু'গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে চোখের জল। সে যে কি কষ্ট।

আর আজ তা মনে পড়েলেই হাসি পায়। মনে পড়ে, দু একবার কোরবাণীর ঈদ করেছি গ্রামের বাড়ীতে। গ্রামের ছেলেদের কোরবাণীর ঈদের দিন একটা টার্গেট থাকে কখন গরু জবাই হবে, কখন তার ভুড়ির উপরের পর্দা কাটা হবে। কারণ ঐ পর্দা কলসীর ভাঙ্গা গলায় লাগিয়ে তৈরী হবে তাদের বহু কাঙ্খিত ঢোল। যার শব্দে বেশ কটা দিন মুখর থাকবে প্রতিটি বাড়ী প্রতিটি পাড়া।

জানি না আজকের দিনে গ্রামের ছেলেরা সেই সব বানায় কিনা। আসুন না বন্ধুরা এ রকম ঈদের সুখ স্মৃতি গুলো সবার সাথে শেয়ার করি। আপনাদের লেখার প্রত্যাশায় থাকলাম। ভাল থাকবেন সবাই । সবার ঈদের ছুটিগুলো কাটুক প্রিয়জনদের সাথে হাসি, আনন্দ-উচ্ছ্বাসে আর নিরপদে।

এই শুভ কামনায়, ঈদ মোবারক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।