সুমাইয়া সরোয়ার
মানুষ বিভিন্ন ভাবে তার ভিতরগত ভাবটিকে বাইরে প্রকাশ করে। অনন্দ পেলে ıহাসে। কষ্ট পেলে কাঁদে। বিজয়ী হলে কী করে? কাঁদে না হাসে? উল্লাস প্রকাশ করে।
কষ্ট পেয়ে কি ıহাসা সম্ভব? মাঝে মাঝে হাসি আমি।
নিজের মনেই ıহাসি। অনেক সময় তাচ্ছিল্যের হাসি হাসি আমি।
কয়েক দিন আগে রেডিও তেıহরানের বাংলা ওয়েব সাইটে একটা লেখা দেখলাম। শিরনামটা ছিল এ রকম: কে বেশি খারাপ, সৌদি না ইসরাইল সরকার?
আর আজকে সামুতে একটা লেখা দেখলাম। যার শিরোনাম ছিল: বাংলার মাহাথীর মাহমুদুর রহমান কে বিএনপির মহাসচিব হিসাবে দেখতে চাই
লেখা দুটি দেখে হাসলাম।
কষ্টে হাসলাম। ইন্টারনেট মানুষের চিন্তার স্বাধীনতাটাকে পুরোপুরি ভোগ করতে দিচ্ছে। কিন্তু এ কী? সৌদি সৈন্যরা বাহরাইনে ঢুকে একটি হাসপাতালে হামলা চালালöçöööş, দু চার জন লোক মারল আর সাথে সাথে সে বছরের পর বছর নিরিহ মানুষ ıহত্যাকারী ইসরাইল সরকারের চেয়েও খারাপ ıহয়ে গেল। আমি এখানে সৌদি সৈন্যদের বাহরানে প্রবেশ করে সাধারণ মানুষের উপর যে হামলা চালিয়েছে তাকে আদৌ বৈধ বা সঠিক বলছি না। কিন্তু এই কাজের জন্য একটা সংবাদ পত্রের পক্ষে ঢালাও ভাবে ইসরাইলের সাথে তুলনাটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত।
এবারে আসি পরের লেখাটায়। বাংলার মাহাথীর মাহমুদুর রহমান কে বিএনপির মহাসচিব হিসাবে দেখতে চাই। বাংলার মাıহাথীর মাহমুদুর রহমান! মাহমুদুর রহমানের অনেক গুণকীর্তন করা ıহয়েছে লেখাটিতে। হতেই পারে। মেধাবী ছাত্র ছিলেন।
খালেদা জিয়ার জ্বালানী উপদেষ্টা ছিলেন। দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক। অনেকদিন জেলে ছিলেন।
তিনি একজন সাıহসী সাংবাদিক। এ কারনে তিনি ıহয়ত এ পথে অনেকেরই অনুপ্রেরণা ıহয়ে থাকবেন।
কিন্তু বাংলা বলতে তো দুই বাংলাই বোঝানো ıহয়। আর মাহাথির। তিনি তো পুরো মালায়শিয়াটাকেই পরিবর্তন করে দিলেন। বাংলার মাহাথির মাহমুদুর রহমান!
মানুষ ধর্মান্ধ ıহয়। স্বাভাবিক ভাবে অল্প শিক্ষিতরা ধর্মান্ধ হয়।
কিন্তু আমাদের দেশে উচ্চ শিক্ষিতরা রাজনীতির ক্ষেত্রে এতটা অন্ধ ıহয়ে যান যে...
এবার বিষয়টা অন্যদিক থেকে একটু দেখার চেষ্টা করি। তিনি একজন সাংবাদিক। আমাদের দেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে খুব চেঁচামেচি হয়। কিন্তু সংবাদ পত্রের নিরপেক্ষতা নিয়ে তেöমন একটা হাক ডাক শোনা যায় না। তিনি রাজনৈতিক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন।
সিরামিক কারখানার মালিক! কিভাবে নিরপেক্ষ হবেন। না হয় বুঝলাম এখন রাজনীতি ছেড়ে সমাজ গড়ার জন্য সাংবাদিকতা করছেন। চমৎকার উদ্দোগ। তিনি আপোষıহীন লেখছেন। সরকারের বিরুদ্ধে বলিষ্ট ভুমিকা পালন করছেন।
কিন্তু লেখাটির শেষে লেখক তাকে এখন বিএনপির মহাসচিব বানানোর জন্য সকলকে খালেদার কাছে দাবি জানানোর অহবান করেছেন।
আমরা সবকিছুর পিছনে রাজনীতিকে নিয়ে আসি। কোন লোক ভাল কিছু করতে চাইলে তাকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবıহারের চেষ্ট করি। রাজনৈতিক দল বা সরকার যেমন এ ব্যাপরে খুবই আগ্রহী। আমরা নাগরিক বা ভোটার হিসেবে তাদের চেয়েও বেশী উৎসাহী।
লেখাগুলো পড়ি আর হাসি। কষ্টের হাসা হাসি। তাচ্ছিলের হাসি দেই। কষ্টটা ভুলে যাওয়ার জন্য। এ হাসির কোন শব্দ হয় না।
কেউ শুনতেও পায় না। হাসতে হাসতে একসময় থেমে যাই। ব্যাথাটা আবার অনুভব হয়। কন্তিু এবার আর হাসি না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।