মুক্তার বিয়ে হয়েছে ১০ বছর আগে বর্তমান মুক্তার বয়স ২৪ বছর। ডাগর ডাগর চোখ, গায়ের রং, নিতম্ব, বুক দেখে যে কোন যুবকই থমকে দাড়াবে আরো এক নজর দেখার জন্য! মুক্তাও নিজেকে দেখিয়ে অনেক সুখ পায়। কেউ টিজ করলে তাৎক্ষনিক ক্ষেপে যায় তার উপর কিন্তু মনে মনে এক দারুন সুখ পায়। নিজের রুপ যৌবন কে নিয়ে গর্ববোধ করে মুক্তা। বান্ধবীদের সাথে আড্ডায় পুরুষ মানুষগুলো তাকে কি বলেছিলো কেমনভাবে তাকিয়েছিলো তা বর্ননা করতে করতে হাসে আর লুটোপুটি খায়।
বান্ধবীদের সবারই একই কথা দোস্ত তুই একটা জীনিস! মার্কেটে নতুন ড্রেস আসার খবর আসলেই ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে হাজির। বসুন্ধরা সিটির কাপরের সেলস্ ম্যান সাবই পরিচিত। আপু একদম নতুন কাপর আসছে, আপনাকে মানাবে দারুন। হয়ত ট্রায়াল দিয়ে বেরিয়েছে, টাইট হওয়াতে স্তন দুটো ফেটে যাচ্ছে কিন্তু সেলস্ ম্যান এর কথা আপু ফাটাফাটি। ফাটাফাটিতো হবেই অন্তত দুটো জায়াগা ফেটে যাচ্ছে! সবার প্রশংসায় পঞ্চমূখ মুক্তা কিন্তু তার ভিতরের আগুন দেখার কেউ নাই।
অন্যান্য বান্ধবীরা অবিবাহিতা সবারই বয়ফ্রেন্ড আছে। সবার বয়ফ্রেন্ডই বিবাহীত টাকাওয়ালা। কে এফ সি, বি এফ সি, পিজাহাট, চাইনিজ এমনকি সোনারগাঁ, শেরাটন, রেডিসন,ওয়েস্টিন, ফুওয়াং এর লেট নাইট পার্টিগুলোতে বয়ফ্রেন্ডগুলোর সাথে ঢলাঢলি। বুইড়াগুলা বাসায় বউ রেখে কচিদের নিয়ে এমন রঙ্গ করে যেনো তাদের দলিল করা সম্পদ! মাঝে মাঝে সুন্দরীদের ভাগাভাগি নিয়ে ওদের মধ্যে কামড়া কামড়িও হয়। দূরে দাড়িয়ে মুক্তা হাসে।
বুইড়াদের দৌড় কতদূর তা জানে সে। বুইড়াগুলা কিচ্ছু পারে না সুধু ঢং আর আঙ্গুলের খেল। আসল স্বাধ আঙ্গুলে দিতে চায়! রাত্র ২ টা ফুওয়াং ক্লাব এর ডান্স ফ্লোরটা উদ্যাম নাচুনিদের সংখ্যা কমে আসছে। অনেকেই পার্টনার পেয়ে চলে গেছে বাসায়। মুক্তা ও তার বান্ধবীরা বাসায় যাবে প্রস্তুতী নিচ্ছে।
মুক্তাকে বাসায় লিফট দিবে লেমন এর কথিত বয়ফ্রেন্ড সুমন, সুমনের গাড়ী আছে, চট্রগ্রামের বনেদি ঘরের ছেলে। ঢাকায় ফুর্তী করতে বৃহস্পতীবার চলে আসে শনিবার ফিরে যাবে। সুমন লিফট দিবে মুক্তাকে। মুক্তার বাসায় যেতে মন চাচ্ছে না বাসায় গেলে সেই বিছানামুলক অত্যাচার শুধু শুধু অক্লান্তকর চেষ্টা এবং বিরক্তিকর (চলবে)( রি-পোষ্ট উপরের অংশ)। রাত্র ৩ টায় বাসার কাছে নামিয়ে দিয়ে যায় সুমন।
পাঁচ তলা বাড়ির মালিক মুক্তার স্বামী। মাস শেষে বাড়ি ভাড়ার টাকা পুরাট্ই মুক্তার কাছে থাকে। কত খরচ করলো কখনো প্রশ্ন করে না। মুক্তার স্বামীর কমলাপুরে হোটেল ব্যবসাও আছে। মুক্তাকে খুব ভয় পায় বেচারা।
আগের বউটা ছেড়ে চলে গেছে। বেশি কিছু বললে এই মেয়েটাও যদি চলে যায়। মেয়েরাতো শুধু টাকা, সম্পদ এর জন্য সংসার করে না দৈহিক সুখটাও চাই। জাহাঙ্গির সাহেবের ধারনা এই বউ যাবে না। টাকা সম্পদ কিনা দিয়েছেন।
বউয়ের চৌদ্দ গুষ্টি পর্যন্ত টানেন। তাই রাত বিরাতে বাহিরে বেশি সময় থাকলে পাড়ার নেতিয়ে যাওয়া নেরি কুকুরটার মত ঘেউ ঘেউ করেন। সামনে গেলে সব শেষ, চুপসে যান জাহাঙ্গির সাহেব। ওই বুইড়া বাহিরে গেলে ঘেউ ঘেউ করস কে? তুই তো অর্কমা কিচ্ছুই পারস না। তোর সামনে খালি বইসা থাকুম।
জাহাঙ্গির সাহেব শুধু মাথা চুলকায়। তিনিই ভূল করেছেন। আগের বার যখন তার বউ তার আপন ছোট ভাইয়ের সাথে চলে গেল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর বিয়ে করবেন না। কিন্তু এই বিশাল সম্পদ এর কথা ভেবে আর একবার রিস্ক নিলেন! এ বউও বুঝি থাকবে না। বউ রাতে বিছানায় গা দিলেই গুই সাপের মত শো শো করে।
নিজের নিস্তেজতায় ঘৃনা জন্মে। কত রতি লিলা ,বউয়ের কি অক্লান্তকর প্রচেষ্টা কিন্তু কিসের কি সেতো ক খ মাথা হেড। জাহাঙ্গির সাহেবের মনে পড়ে যায় জাতীয় সংগিত এর কথা 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি' বাথরুমে গিয়ে এক কলি গেয়ে আসবো কিনা! এম পি মন্ত্রী পর্যন্ত দাড়াইয়া যায়! মনে মনে হাসলেন দূর আমি কি ভাবছি ওটা তো তার বন্ধুর বলা জোকস্। সারা রাত বিছানায় এমন নাটক হলে কি বউ থাকবে! ইদানিং মুক্তা অনেক ফ্যাসনবল হয়ে উঠছে। ঘন ঘন পার্লারে যাচ্ছে।
রাত অনেক করে বাসায় আসে। বাসায় আসার পর ফিসফিস করে মোবাইলে কথা বলছে। আচরণে অনেক পরিবর্তন। জাহাঙ্গির সাহেবকে একদম সহ্য করতে পারেন না। আগের মত বিছানায় ফস ফস করে না।
হাত সরিয়ে নেয়, ভালো লাগে না খোচাখুচি। ওর এক বান্ধবী ফোনে জানালো দুলাভাই মুক্তা রাজীব নামে এক ছেলের সাথে ডেটিং করে আপনি জানেন। জাহাঙ্গির সাহেবের মূখ থেকে কোন কথা বের হয়না শুধু গভীর নিশ্বাস ফেলে। ইস যদি যৌবনের সেরা সমযগুলো্ বিয়ে করতাম! ঐ সময় নিজেকে অন্য পথে বিকিয়ে না দিতাম! টাকার পেছনে ঘুরে শেষ বয়সে আজ একি যন্ত্রনা! কলিং বেলটা বেজে উঠলো এই বুঝি মুক্তা ফিরলো, কাল হুমকি দিয়েছিলো তোমার মত কাপুরুষের সংসারে আর নয়। কুরিয়ার সার্ভিসের লোক এসেছে আপনি জাহাঙ্গির সাহেব, ডকুমেন্ট টা রিসিভ করুন।
তিনি যা ভাবছিলেন হ্যা ডির্ভোস লেটার! জোরে নিশ্বাস ছাড়লেন আর বিছানায় পাতা জোড়া বালিশের দিকে ফ্যাল ফ্যাল তাকিয়ে রইলেন!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।