তোমাকে ভাবাবোই
‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ খ্যাত বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন আর নেই (ইন্নালিল্লাহে .... রাজিউন)। বিএনপি নেতাকর্মী ও জাতীয়তাবাদী সমর্থক ও গুণগ্রাহীদের রেখেই সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে চির বিদায় নিলেন। তার বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর। ১৯৩৩ সালে ১ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলার পাচুরিয়ায় জন্ম নেন। বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল সাংবাদিকদের জানান, বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন আর নেই।
বাংলাদেশ সময় বেলা পৌনে ৪টায় দেলোয়ার মারা যান। এদিকে বিএনপি মহাসচিবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির সিনিয়র ভাইসচেয়ারম্যান তারেক রহমান, সরকারী দল আওয়ামী লীগ, জাতীয় সংসদের স্পিকার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আরো অনেক রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও সুধী সমাজের নেতারা। সারা দুনিয়া থেকেই শোক প্রকাশ করছে নানাস্তরের মানুষ। এদিকে বিএনপি মহাসচিবের মৃতদেহ আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় তার মরদেহ বাংলাদেশ বিমানে দেশে নিয়ে আসা হবে। মরহুমকে মানিকগঞ্জের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হতে পারে বলে তার পারিবারিক সূত্র জানায়।
এদিকে গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। মরহুমের লাশ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় সংসদের দণি প্লাজায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য অসুস্থ দেলোয়ারকে গত ৪ মার্চ সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছিলো। মারাতœক অসুস্থ অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইসচেয়ারম্যান তারেক রহমানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মেয়ে দেলোয়ারা হোসেন পান্না গতকাল বুধবার দুপুরে সিঙ্গাপুর থেকে টেলিফোনে সাংবাদিকদেরকে জানান, সকালে অবস্থার অবনতি ঘটায় তার বাবাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।
এর আগে অবস্থা ভাল থাকা কালে গত সোমবার হাসপাতালের কেবিনে রাখা হয়েছিলো। কিন্তু সকালে রক্তচাপ দ্রুত কমে যাওয়ায় তাকে আবার আইসিইউতে নেওয়া হয়। সিঙ্গাপুরে নেওয়ার আগে ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে দেলোয়ার চিকিৎসাধীন ছিলেন। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় পাশাপাশি বেশ কিছু রোগে ভুগছিলেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপির অফিস সুত্র জানায়, এ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন-এর প্রথম নামাজে জানাযা আগামী ১৭ মার্চ ২০১১ বৃহস্পতিবার বাদ এশা আরমানীটোলায় অনুষ্ঠিত হবে।
১৮ মার্চ ২০১১ শুক্রবার সকাল ৯ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরহুমের কফিন রাখা হবে, সকাল ১০ টায় নয়া পল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সম্মুখে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা, সকাল ১১ টায় সংসদ ভবন চত্তরে তৃতীয় নামাজে জানাযা শেষে গ্রামের বাড়ী মানিকগঞ্জে বাদ জুম’আ সর্বশেষ নামাজে জানাযা শেষে নিজ গ্রাম খিরাই পাচুরিয়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বিএনপির ৫দিনের শোক
বিএনপি মহাসচিব এডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুতে দলটি ৫দিনের শোক ঘোষণা করেছে। দলের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার বিকালে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। কর্মসূচী গুলো হলো- ১৭ মার্চ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা। ১৮মার্চ বাদ জুম্মা মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় দোয়া ও প্রার্থনা।
১৯ মার্চ কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপি দলীয় কার্যালয়ে কোরআনখানি দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। ২০ মার্চ দেশব্যাপি শোক সভা। ২১ মার্চ দলের পক্ষ থেকে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। এছাড়া ১৭ মার্চ থেকে দলীয় নেতা কর্মীরা কালো ব্যাচ ধারণ করবে। পাশাপাশি নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ও গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ৫দিন শোক বই খোলা থাকবে।
আল্লাহর কাছে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির সকল নেতাকর্মী তার ইন্তেকালে গভীরভাবে শোকাহত। আজীবন খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন উপনিবেশবাদ, পাকিস্তান ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বিশেষ করে ১/১১ সময় তিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন।
রাষ্ট্রপতির শোক
বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান। বুধবার এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুতে দেশ একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদকে হারালো।
রাষ্ট্রপতি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
খালেদা জিয়ার শোক
বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। মরহুমকে ‘জননেতা’ ‘দেশপ্রেমিক’ ‘গণতান্ত্রিক রাজনীতিক’ অ্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘জাতীর অপূরণীয় ক্ষতি হলো’। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ছিলেন মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং আমার ঘনিষ্ঠ সহকর্মী। ভাষা আন্দোলন, স্বাধীকার আন্দোলন, একদলীয় ও স্বৈরশাসন বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার ভূমিকা ইতিহাসের অংশ।
তিনি ১/১১ জরুরী অবস্থার সময় অসম সাহসী প্রত্যয় ও দৃঢ় ভূমিকা পালন করেছেন। আমি সেসময় বন্দি থাকলেও সততা ও নিষ্ঠা নিয়ে যেভাবে বিএনপির ঐক্য, সংহতি ও পতাকাকে সমুন্নত রেখেছেন তা আমাদের সকলের কাছে প্রশংসিত যা তার প্রাপ্য। সংসদীয় রাজনীতিতেও তার অবদান অমলিন। তার মৃত্যুতে আজ এক গভীর শূণ্যতার সৃষ্টি হলো। খালেদা জিয়া আরো বলেন, আমি শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। পরম করুণাময় আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন তাকে বেহেশত নসীব করুণ।
মানিকগঞ্জ বিএনপির তিন দিনের শোক
বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুতে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জামিলুর রশিদ খান জানান, মহাসচিবের মৃত্যুতে তিন দিনের শোক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেলেই জেলার সব স্তরের নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাচ ধারণ করে। এছাড়া জেলা কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
গতকাল বিকেলে শহরের রফিক সড়কে বিএনপি জেলা কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় শত শত নেতা-কর্মী সেখানে জড়ো হয়েছেন। এদিকে দেলোয়ারের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মানিকগঞ্জ শহরের অধিকাংশ বিপণি বিতান বন্ধ হয়ে যায়। জেলা বিএনপি নেতা আজাদ হোসেন খান জানান, তিন দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কোরানখানি, মিলাদ মাহফিল, দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ ইত্যাদি।
স্পিকারের শোক
বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের সাবেক প্রধান হুইপ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন স্পিকার আব্দুল হামিদ। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনের শুরুতে এই বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে স্পিকার বলেন, তিনি সাবেক সাংসদ ছিলেন।
তার মৃত্যুতে আমি শোক প্রকাশ করছি। সিঙ্গাপুর থেকে মরদেহ ফিরে এলে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় সংসদের দণি প্লাজায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের শোক
বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মতাসীন আওয়ামী লীগ। গতকাল বুধবার আওয়ামী লীগের প থেকে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস স্বারিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুতে বাংলাদেশের জনগণ সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাজনীতির নিবেদিতপ্রাণ, একজন অনন্য বিশিষ্ট দেশপ্রেমিক রাজনীতিককে হারালো।
সৈয়দ আশরাফ প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
জাতীয় পার্টির শোক
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেন মোহাম্মদ এরশাদ গতকাল এক শোক বাণীতে বিএনপি মহাসচিবের মৃত্যুতে গভীর শোক জানান। তিনি বলেন, খোন্দকার দেলোয়ারের মৃত্যুতে দেশ ও জাতি এক অভিজ্ঞ, দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদকে হারালো। জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদও শোক প্রকাশ করেছেন।
বিভিন্ন সংগঠনের শোক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র সম্মানিত মহাসচিব, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, প্রখ্যাত আইনজীবী, বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান, শিাবিদ, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপোষহীন বর্ষিয়ান জননেতা খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুতে যে সকল অঙ্গসংগঠন শোক প্রকাশ করেছে- মুক্তিযোদ্ধা দল, যুবদল, মহিলাদল, জাসাস, কৃষকদল, সেচ্ছাসেবকদল, তাতীদল, ওলামাদল, মৎসজীবিদল।
সহযোগী সংগঠন যারা শোক প্রকাশ করেছে-ছাত্রদল, শ্রমিকদল, জিয়া পরিষদ, তৃণমূল দল, জাতীয় যুব ওলামা পরিষদ। আরো যারা শোক জানান- শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ, ঢাকা আইনজীবি সমিতি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম, গণতান্ত্রিক ইসলামী ঐক্যজোট।
দেলোয়ারের রাজনৈতিক জীবন
বিএনপি মহাসচিব ও ১/১১ অবৈধ সরকারের সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিশ্বস্ত সহকর্মী এডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ১৯৩৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওরের পাচুরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ৪টায় তিনি সিঙ্গাপুরে মারা যান। তার বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর।
১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান নিয়ে বিএ অনার্সসহ এমএ পাশ করেন। ১৯৫৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। সিলেটের মুরারী চাঁদ কলেজ (এমসি) কলেজে শিকতা দিয়ে দেলোয়ারের কর্মজীবন শুরু করলেও মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর আহবানে ১৯৫৭ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে (ন্যাপ) যোগদানের মাধ্যমে তার সক্রিয় রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যূত্থানের সামনের সারির নেতা দেলোয়ার ন্যাপ প্রার্থী হিসেবে ১৯৭০ সালের নির্বাচনেও প্রতিদন্দিতা করেন। ১৯৭৮ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জন্মলগ্ন থেকেই সংযুক্ত হন।
১৯৭৯ সালের ২য় সংসদ, ১৯৯১ সালের ৫ম সংসদ, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ সংসদ ও ১৯৯৬ সালের জুনে ৭ম সংসদ এবং ২০০১ সালের ৮ম সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ৮ম সংসদে সরকারি দলের চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ৫ম ও ৬ষ্ঠ সংসদেও তিনি একই দায়িত্ব পালন করেন। আর ৭ম সংসদে তিনি ছিলেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ।
১৯৯০ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৭ দলের লিয়াঁজো কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন।
১/১১এর সময় দেশে জরুরি অবস্থা জারি হলে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালে কারাবন্দি হওয়ার আগমূর্হুতে বিএনপির মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে বহিষ্কার করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে মহাসচিব করেন। বিএনপি চেয়ারপার্সনসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা যখন কারাগারে বন্দি সে সময় খোন্দকার দেলোয়ার দলের হাল ধরে ছিলেন। এরপর বিএনপিকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করার সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত রুখে নিজের সততা ও দৃঢ় নেতৃত্ব নিয়ে বিএনপির ঐক্য, সংহতি ও পতাকাকে সমুন্নত রেখেছেন।
২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর দলের ৫ম জাতীয় কাউন্সিলের পর খোন্দকার দেলোয়ারকে পুনরায় বিএনপির মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা পালনের জন্য বিগত বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার খোন্দকার দেলোয়ারকে একুশে পদকে ভূষিত করে।
‘৭১ মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মানিকগঞ্জ খোন্দকার নুরুল হোসেন ল' একাডেমির তিনি প্রতিষ্ঠা অধ্য ছিলেন। এছাড়া তিনি মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। ব্যক্তিজীবনে দেলোয়ার ১ মেয়ে ও ৩ পুত্র সন্তানের জনক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।