সাংবাদিক, শিক্ষক
গত রোববার অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও জালভোটের অভিযোগে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী। একই সাথে নির্বাচন পরবর্তী বিভিন্ন স্থানে কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলাসহ বাড়িঘর ভাঙচুর করা হচ্ছে। অন্তত ৫০ নেতাকর্মী লাঞ্ছিত ও হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল ৫টায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আক্তারুজ্জামান। জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে অনুরূপ অভিযোগ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক এমপি মসিউর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. এমএ মজিদসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, পৌরসভার চরমুরারিদহ, উদায়ন বিদ্যা নিকেতন, খাজুরা, আরাপপুর, রকিব উদ্দীন মহাবিদ্যালয়, ফজের আলী, ওয়াজির আলী বিদ্যালয়সহ ১৫টি কেন্দ্রে ব্যাপক জালভোট প্রদান করা হয়। নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে দেয়া হয়নি। ফলে একতরফা নির্বাচন হয়েছে উল্লেখ করে ফলাফল প্রত্যাখ্যান ও পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনের পর থেকেই আদর্শপাড়া, ব্যাপারীপাড়া, মুরারিদহসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘরে ব্যাপক হামলা চলছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাইদুল করিম মিন্টু ১৭ হাজার ২৪৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আক্তারুজ্জামান ১৬ হাজার ৬৯৫ ভোট পান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।