আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইউনূসের রিট আবেদনের শুনানি শুরু


গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে মুহাম্মদ ইউনূসের করা রিট আবেদনের ওপর আজ সোমবার শুনানি চলছে। বেলা সোয়া দুইটায় শুনানি শুরু হয়। বিচারপতি মো. মমতাজউদ্দিন আহমেদ ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি চলছে। বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করছেন । এর আগে শুনানিতে অংশ নেন রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ।

শুনানিতে তিনি বলেন, ১৯৯৯ সাল থেকে ১২টি বছর পার হয়ে গেছে। এতদিন পরে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে তাঁর (ইউনূস) নিয়োগ অবৈধ। তাহলে এতদিন বাংলাদেশ ব্যাংক তার সঙ্গে যোগাযোগ , লেনদেন করল কিভাবে ? আমি এই প্রশ্নের উত্তরগুলো চাচ্ছি। রুল জারি করলে উত্তরগুলো পাওয়া যেত। ২০০৬ সালের নভেম্বরে তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।

তাহলে কি তাঁকে অবৈধ নিয়োগের জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে? তাহলে কি অবৈধ কার্যকলাপকে বৈধতা দেওয়া হয়ছে? আইন অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন ক্ষমতা নেই। আইনে ক্ষমতা নেই। এখন বলছেন অবৈধ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন ? রুল হলে এবিষয়ে শুনানি হতে পারত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বক্তব্য শুনার অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক চিঠি দিতে পারে। আমাদেরও বাংলাদেশ ব্যাংকের বক্তব্য শুনার অধিকার রয়েছে। পরে বিকেল তিনটা ৪০মিনিটের দিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ১৯৪০ সালে ইউনূস জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর ৬০ বছর পূর্ণ হয় ২০০০ সালে ।

তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক কেন আপত্তি করবে না। শুনানিকালে ইউনূস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে বিকেল চারটার দিকে তিনি আদালত থেকে বের হয়ে যান। শুনানিতে অংশ নিয়ে গতকাল মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবীরা আইনি যুক্তি তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তাঁরা গ্রামীণ ব্যাংক গঠন, প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করা এবং এর এমডি পদ থেকে সম্মানের সঙ্গে সরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ইউনূসের উদ্যোগ এবং সম্মানের মর্যাদা না পাওয়া প্রসঙ্গে আবেগপূর্ণ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে জানায়, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূসের দায়িত্ব পালন আইনগতভাবে বৈধ নয়। এরপর মুহাম্মদ ইউনূসকে অব্যাহতি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গত বুধবার গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের কাছে আরেকটি চিঠি পাঠায়। চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে অনির্দিষ্টকালের জন্য মুহাম্মদ ইউনূসের নিয়োগের ক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ’৮৩-এর ১৪(১) ধারা অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন নেওয়া হয়নি। তাই ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে মুহাম্মদ ইউনূসের বহাল থাকা বৈধ নয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

এর পরিপ্রেক্ষিতে পরের দিন বৃহস্পতিবার মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদ থেকে অব্যাহতির আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দুটি রিট দায়ের করা হয়। মুহাম্মদ ইউনূস নিজে একটি এবং গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক আমেনা বেগমসহ নয় পরিচালক পৃথক আরেকটি রিট করেন। (ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত। )
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।