আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্ত্রী কাঠবিড়ালী কেন বহুচারিণী

কিন্ত যে সাধেনি কভু জন্মভূমি হীত স্বজাতির সেবা যেবা করেনি কিঞ্চিত, জানাও সে নরাধম জানাও সত্বর অতীব ঘৃনীত সেই পাষন্ড বর্বর

স্ত্রী জাতের কাঠবিড়ালীরা যার তার সঙ্গে বাদবিচারহীনভাবে যৌনসম্ভোগ করতে থাকে। এর কারণ কি? এর পেছনে কি কোন জিনের অবদান আছে? জীববিজ্ঞানীরা বছরের পর বছর এ নিয়ে মাথা ঘামিয়েও রহস্যের কোন সমাধান দিতে পারেননি। অবশেষে কানাডার এক দর্শন গবেষক পেরেছেন। তাঁরা দেখিয়েছেন যে এখানে জিনের কোন ভূমিকা নেই। ভূমিকা আছে শুধু সুযোগের।

এত পুরম্নষ কাঠবিড়ালী তাদের দরজায় এসে কড়াঘাত করে যে তারা কাউকেই ফিরিয়ে দিতে পারে না। তাই নির্বিচার যৌনচারে মেতে ওঠে। প্রফেসর এন্ড্রু ম্যাকাডামের নেতৃত্বে গোটা কানাডার যে গবেষক দলটি দীর্ঘদিনের হেঁয়ালির প্রকৃত রূপটি উন্মোচন করতে সৰম হয়েছেন সে দলেরই একজন গ্র্যাজুয়েট ছাত্রী ইরিন ম্যাকফারলেন বলেন, স্ত্রী কাঠবিড়ালীদের যৌনাচার বহুলাংশে সুযোগের দ্বারা প্রভাবিত হয়। সঙ্গমের ব্যাপার এলে দেখা যায় যে ওরা খুব একটা খুঁত খুঁতে স্বভাবের নয়। যারাই তাদের পানি প্রার্থনা করতে আসে অনেক সময় তাদের সবারই মনোরঞ্জন করে থাকে।

স্ত্রীজাতের এমন ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ সত্মন্যপায়ীদের জগতে রীতিমতো হেঁয়ালিপূর্ণ। ম্যাকফারলেন বলেন, সর্বাধিক সংখ্যক সনত্মানের জন্ম সুনিশ্চিত করার জন্যই যদি স্ত্রী কাঠবিড়ালীরা যত বেশি সম্ভব পুরম্নষের সঙ্গে মিলিত হয় তবে তার একটা অর্থ থাকে। নির্বিচার যৌনাচার স্ত্রী জাতের জন্য সর্বদা অর্থবোধক হয় না। কারণ একাধিক বা বহু সঙ্গী থাকলে সঙ্গমের পেছনে অধিক এনার্জি ব্যয় হবে, শিকারী প্রাণীর কবলে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে এবং যৌনকর্মের দ্বারা সংক্রমিত রোগব্যাধির বিসত্মার ঘটবে। বাছবিচারহীনভাবে যার তার সঙ্গে যৌনাচার করা হলে যেসব পুরম্নষ কাঠবিড়ালী জোর করে তাদের সঙ্গে সেঙ্ করতে চায় তারা ওদেরকে হয়রানি করতে উৎসাহিত হবে।

এই ধাঁধার সমাধানের চেষ্টায় গবেষক দল বহু পুরম্নষের সঙ্গে মিলনের সম্ভাব্য সুফলগুলো পরীৰা করে দেখেন। বহু পুরম্নষের সঙ্গে সর্বাধিক সঙ্গমের ব্যাপারটি একটা স্ট্র্যাটেজি হিসেবে তখনই বিবর্তিত হতে পারে, যদি এমন আচরণের কোন জিনেটিক ভিত্তিক থাকে। কিন্তু গবেষক দলের পরীৰা-নিরীৰায় দেখা গেল যে জিন নয়, শুধু সুযোগই তাদের এমন আচরণের জন্য দায়ী। গবেষকরা ৮৫টি স্ত্রী কাঠবিড়ালীর ১০৮ দফা সঙ্গম পর্ব থেকে সংগৃহীত তথ্যাবলী বিশেস্নষণ করে দেখেন। তাঁরা দেখতে পান যে স্ত্রী কাঠবিড়ালীগুলো ১ থেকে ১৪-এর মধ্যবতর্ী যে কোন সংখ্যক সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হয়েছিল এবং তাদের এই বহুগামিতা সনত্মানরা উত্তরাধিসূত্রে লাভ করেনি।

স্ত্রী জাতের লাল কাঠবিড়ালীর গা সাধারণত গরম হয় প্রতিবছরের শুধু একটি মাত্র দিনে। এই দিন তার গর্ভে ৩ থেকে ৪টি ডিম্বাণু নিষিক্ত হবার জন্য বেরিয়ে আসে। এর কয়েকদিন আগে তার শরীর থেকে গন্ধময় হরমোনের ৰরণ হয় এবং সেই গন্ধ সে আশপাশ ছড়িয়ে দিয়ে পুরম্নষদের জানিয়ে দেয় যে সে তৈরি। প্রজননের দিনটিতে সে ইতসত্মত ঘুরে বেড়িয়ে আগ্রহী পুরম্নষদেরকে তার পিছু পিছু আসতে উৎসাহিত করে। তার বাসার দোরগোড়ায় একাধিক পুরম্নষ থাকুক কিংবা একজন কি দু’জন পুরম্নষ অপেৰায় দাঁড়িয়ে থাকুক সে যতগুলো সম্ভব পুরম্নষের সঙ্গে মিলিত হবার চেষ্টা করে।

সূত্র: ইন্টারনেট

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.