যুবলীগের নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কির ‘ঘাতক’ জাহিদ সিদ্দিকী ওরফে তারেক র্যাবের হেফাজতে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। রিয়াজুলের পরিবারের অভিযোগ, হত্যার নির্দেশদাতাদের রক্ষা করতেই তারেককে ‘ক্রসফায়ারে’ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর যুবলীগের (দক্ষিণ) সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক দলীয় কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই খুন হয়েছেন বলে দলীয় সূত্রগুলো বলছে। তারেক ছিলেন একই সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক। গত সোমবার রাতে গুলশান ১ নম্বরে ‘শপার্স ওয়ার্ল্ড’ নামের একটি বিপণিবিতানের সামনে মাত্র ১৪ সেকেন্ডে গুলি করে রিয়াজুলকে হত্যা করা হয়।
ওই বিপণিবিতানে থাকা ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় এ খুনের দৃশ্য ধরা পড়ে। এরপর উত্তরার একটি বেসরকারি ক্লিনিক থেকে তারেকসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে বুধবার রাতে রাজধানীর খিলক্ষেতে ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হন তারেকসহ দুজন। র্যাবের দাবি, হাসপাতাল থেকে থানায় নেওয়ার পথে তারেকের সহযোগীরা তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।
এতে নিহত হন তারেক ও শাহ আলম। কাউকে আড়াল করতে এ ‘ক্রসফায়ার’ কি না, জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এ টি এম হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তারেক নিহত হওয়ার আগে র্যাবের কাছে অনেক তথ্য দিয়ে গেছেন। ফলে পুরো ঘটনা এখন র্যাবের কাছে পরিষ্কার। তবে রিয়াজুল হত্যার কারণ ও এর পেছনে থাকা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার আগেই ক্রসফায়ারের ঘটনায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। রিয়াজুলের পরিবারের একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমন ক্রসফায়ারে আমরা সন্তুষ্ট নই।
ঘটনার পেছনে নিশ্চয়ই অনেক রথী-মহারথী জড়িত। এসব ফাঁস হয়ে যাবে বলে তারেককে হয়তো সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ’রিয়াজুলের বড় ভাই ঢাকা কলেজের জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী কায়ছার মিল্কি গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মোহাম্মদপুরে স্যার সৈয়দ রোডের বাসায় বলেন, ‘তারেক পেশাদার খুনি। তাঁর গডফাদার হলেন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও ঢাকা মহানগর যুবলীগের (দক্ষিণ) ওয়াহিদুল আলম আরিফ। তাঁদের পরিকল্পনা ও নির্দেশে তারেক আমার ভাইকে খুন করেছে।
’ রিয়াজুল হত্যার ঘটনায় জাহিদুল, ওয়াহিদুল আরিফ ওরফে ওয়াহিদুজ্জামান আরিফ ও তারেকসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার গুলশান থানায় মামলা করেন রিয়াজুলের আরেক ভাই সেনাবাহিনীর মেজর রাশিদুল হক খান। পুলিশ এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। গতকাল থেকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে র্যাব। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।