জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় দেখেই নির্বাচন কমিশন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। গতকাল রায় ঘোষণার পরে সাংবাদিকদের এই প্রতিক্রিয়ায় জানান তিনি। সিইসি বলেন, রায়ের কপি হাতে পেয়ে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব। আর নিবন্ধন না থাকলে জামায়াত দলীয় প্রতীকে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তবে তারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। তিনি বলেন, আগে দেখতে হবে, রায়ে কী আছে, নিবন্ধন বাতিল হলো না অবৈধ হলো। তা দেখেই পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে। আর রায় না দেখে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আদালতের রায় প্রতিপালনে আইনি বাধ্যবাধকতা আছে বলে জানান সিইসি। ইসি নিবন্ধন বাতিল করলে জামায়াত রাজনৈতিক দল হিসেবে সক্রিয় থাকতে পারলেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। আগামী নির্বাচনের আগে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হবে কি না_ জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এসব বিষয়ে রায় দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন যেহেতু জামায়াতকে নিবন্ধন দিয়েছে, সেহেতু হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে ইসি আপিল করবে কি না_ জানতে চাইলে সিইসি আবারও বলেন, রায়ের অনুলিপি হাতে পেয়ে তারপর এসব বিষয়ে চিন্তা করবেন তারা। রায়ের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আপিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। বিগত কমিশন ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নিবন্ধন দেয়। তবে একাত্তরে স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থানের কারণে এই দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিল বিভিন্ন দল ও সংগঠন। তাদেরই মধ্য থেকে কয়েকটি ইসলামী সংগঠন জামায়াতের নিবন্ধন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে। গতকাল তার রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা দেন আদালত। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াত দাবি করছে, তাদের নিবন্ধন বাতিল 'ষড়যন্ত্রের' অংশ। এর আগে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের আদেশ শিরোধার্য। রায়ের কপি হাতে পেলেই আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।