ঈদ উপলক্ষে ঘরে ফেরার পালা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে নানা ভোগান্তি। টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন মহাসড়কের বেশ কিছু পয়েন্টে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে মহাসড়কজুড়ে চলছে যানজট। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে আবিভর্ূত হচ্ছে চাঁদাবাজরা। মহাসড়কে যাতায়াতকারী প্রতিটি গণপরিবহন চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে। চাঁদাবাজরা যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে দেওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে। ঈদের আগে মহাসড়কগুলোর সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছিল যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সংস্কার করা সড়কও আগের চেহারা ধারণ করেছে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতায় প্রায় ২২ হাজার কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় মহাসড়ক ৩ হাজার ৫৭০ কিলোমিটার, আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪ হাজার ৩২৩ কিলোমিটার এবং জেলা সড়ক ১৩ হাজার ৬৭৮ কিলোমিটার। প্রায় ২২ হাজার কিলোমিটার সড়কের মধ্যে একটি রাস্তাও শতভাগ ভালো খুঁজে পাওয়া ভার। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ চার সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় যাত্রীদের তীব্র যানজটের শিকার হতে হচ্ছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষকে স্বস্তি দিতে রাস্তাঘাটের যেটুকু সংস্কার হয়েছিল, টানা বৃষ্টিতে তা প্রায় আগের অবস্থায় পেঁৗছেছে। ঝুঁকি নিয়ে বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কারসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে বিভিন্ন মহাসড়কে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলে যোগাযোগের একমাত্র রুট। প্রবল বৃষ্টিপাতে মহাসড়কের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিকল্প সড়ক না থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলে চলাচলকারী হাজার হাজার যানবাহন এই মহাসড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ঈদে বাড়ি ফেরা বা স্বজনদের সঙ্গে উৎসব পালন করা সংবেদনশীলতার অংশ। গত তিন বছর মহাসড়কগুলোর হতশ্রী অবস্থার জন্য সরকারকে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এবার যাতে সে বিড়ম্বনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য সময় থাকতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হলেও ভারি বৃষ্টিপাত সব কিছু পণ্ড করে দিয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।