দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা-নির্যাতন, বাড়িঘরে আগুন,
লুটপাট, হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনার বিচার হচ্ছে সন্ত্রাস দমন আইন-২০০৯ এ। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সব জেলা দায়রা জজ ও অতিরিক্ত দায়রা জজকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত গেজেটও প্রকাশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
সংসদ নির্বাচনের পর সাতক্ষীরা, গাইবান্ধা, যশোর, দিনাজপুর, সাতকানিয়া, লোহাগড়া এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালানো হয়। ভোট দেওয়ার 'অপরাধে' তাদের বাড়িঘরে আগুন ও লুটপাট চালানো হয়। এসব ঘটনায় সারা দেশে আলোচনার ঝড় ওঠে। সহিংস এ ঘটনার পরপরই বিচার দ্রুত শেষ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ৮ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। এতে হামলার ঘটনার বিচার 'দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে' নেওয়ার জন্য জেলা দায়রা জজ ও অতিরিক্ত দায়রা জজদের চিঠি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। একই সঙ্গে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার প্রক্রিয়ার জন্য একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনেরও প্রস্তাব দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সূত্র জানায়, এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আইন ও বিচার বিভাগ থেকে বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সন্ত্রাস দমন আইনের আওতায় নেওয়ার জন্য জেলা দায়রা জজ ও অতিরিক্ত দায়রা জজদের লিখিতভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অবশ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'সন্ত্রাস দমন আইনে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টিই নেই। এ কারণে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে নতুন আইন করা দরকার। এ আইনে বিচার করা হলে অপরাধীরা ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে।' তবে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ মো. জহিরুল হক গতকাল বলেন, 'সংখ্যালঘুদের নির্যাতন ঘটনার বিচারের বিষয়টি সরকার অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে আমলে নিয়েছে। এ জন্যই সন্ত্রাস দমন আইনে দ্রুত বিচারের জন্য বলা হয়েছে।' এ ব্যাপারে গেজেটও প্রকাশ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'সুপ্রিমকোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।' সচিব বলেন, 'নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে গেলে সময় লাগবে। এ জন্য লোকবল প্রয়োজন হবে। এ প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ। এ কারণেই সন্ত্রাস দমন আইনে দ্রুত বিচারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।' আইনটি বেশ কঠিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এতে মসজিদ, মন্দির ভাঙচুর, অগি্নসংযোগসহ এ ধরনের সব বিষয় রয়েছে।'
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।