নিজেরেই ভালা কইরা চিনি না
সংজ্ঞাহারা জাতি মুক্তি কি বোঝে না ।
ক্রমাগত জয় মানুষের রক্তে
এনেছে দুর্দাম রক্তমাদকতা ।
শুধু অধিকার হয়েছে হাত বদল
এক পিশাচের থেকে অন্য পিশাচের কাছে ।
পিশাচ চিনতে আমরা ভুল করেছি ।
সময় এবং অবস্থান আমাদের দুই বাহুতে
ঝুলিয়ে পিশাচের প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য পিশাচ
আমাদের মগজে ঢুকিয়েছে
জাতিভেদের উন্মেষ ।
আর, আমাদের ঘটে নি মানবতাবোধের
চূড়ান্ত বিপ্লব ।
মেকি জাতীয়তা, মেকি রক্ত আর
সাজানো গৌরবে আমরা হয়েছি
অর্থহীন জাতীয়তাবাদী ।
অসহিষ্ণু রক্ত শান্ত হতে চেয়ে
লেলিহান প্রজ্বলনে বার বার অসহিষ্ণু ।
অগ্নির স্ফুলিঙ্গ হতে শিখার ফুলকি
হাত হতে পায়ে ফোসকা ধরিয়ে
ব্যথায় আদায় করে নিচ্ছে স্বীকারোক্তি :
জন্ম যেখানে ব্যর্থক মিছে জন্মের গৌরব ।
ওরা আগন্তুক ছিল ।
বলেছিল,
রক্তের অর্জনে জন্ম ।
ভূমিখণ্ড ছিনিয়ে এনে করেছিল
অনন্য ভূমিখণ্ডের প্রত্যয় ।
সব স্বপ্ন হয়ে গেছে বাস্তবের ক্লান্তি ।
দেহধারী সব আত্মা হয়েছে অসাড়-- আবার ।
তা হলে আমরা ফিরে যাব সে অতীতে
হানাদারদের প্রতিরোধে হানাদার হতে ।
সামনের দিনগুলিতে
অতীত এবং ভবিষ্যৎ অন্য এক হয়ে মিশে যাবে ।
মুক্তি তো মেলে নি সাধারণের ।
শাসক-শাসনে হয়েছে রদবদল ।
সব মিলে এক কথা--
মানুষকে তার অসহায়ত্বের সুযোগে
লালবাতি জ্বেলে দিয়ে ইঙ্গিত করা :
উন্নয়ন হচ্ছে তোমাদের ।
তাই ও পথ আপাতত বন্ধ ।
নেকড়ে বাঘেরা শিকারের খোঁজে
হরিণ শিকার করবে-- করবে ।
আমরা কখনও মায়াবী চোখের
হরিণ-হরিণী হয়ে থাকছি না ।
আমাদের মুক্তি অবরোধ করে রেখেছি আমরাই ।
মাংসপ্রলুব্ধ নেকড়ে বাঘদের
এবার আমরা তৃণভোজী করব ।
তাই এবার আমরা সবাই
নেকড়ে বাঘ হব ।
দেখা যাবে তবে আমাদের মুক্তি
অবরুদ্ধ আর ক দিন থাকবে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।