যে যায় লংকায়, সে হয় রাবন
ইউনিপেটুইউ নামের বহুল আলোচিত প্রতিষ্ঠানটির কোথাও কোনো বিনিয়োগ নেই। অথচ বিনিয়োগের নামেই তারা বিস্ময়কর পরিমাণ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ নিয়েছে। কিন্তু কোনো বিনিয়োগ না থাকায় মুনাফাসহ অর্থ ফেরত দেওয়ার সাধ্য তাদের নেই। ফলে গ্রাহকদের অর্থ ফেরত পাওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও নেই। আবার প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা নিজেরাই গ্রাহকদের টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বহু স্তরবিশিষ্ট বিপণন (মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং— এমএলএম) প্রতিষ্ঠান ইউনিপেটুইউ বাংলাদেশ লিমিটেড এবং কোম্পানিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ৪১১ কোটি ৬৩ লাখ ৪৩ হাজার ২৯০ টাকা জমা রয়েছে। এসব অর্থ উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, ইউনিপেটুইউ বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে অনেক টাকা প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনতাসির হোসেনের ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করা হয়েছে, যা ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের লঙ্ঘন। বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে, প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে স্বর্ণ বিনিয়োগের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধি করছে, যা প্রতারণা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা স্বচ্ছ নয়।
এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এমএলএম ব্যবসার মাধ্যমে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে অর্থ সংগ্রহ করছেন। তা ছাড়া বিভিন্ন উৎসের অবৈধ টাকা এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বৈধ করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে, যাকে মানি লন্ডারিং বলা যায়। সুত্র-প্রথম আলো
মজার বিষয় হলো, এ সব কিছু হচ্ছে আমাদের প্রশাসনের নাকের ডগায়। অথচ তাহাদের প্রধান কাজই হলো জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সত্যিই সেলুকাস বিচিত্র এ দেশ!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।