সরকারি চাকরি যদি দুর্নীতির আখড়া হয়, তাহলে সৎ মানুষেরা সেখানে যোগ দিতে চান না। ছোটখাটো কাজেও যাঁরা প্রতারণার আশ্রয় নেন, সরকারি চাকরির প্রতি তাঁরাই সাধারণত বেশি আগ্রহী হয়ে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা মোট ৬০০ জন শিক্ষার্থীর আচরণের একটি পরীক্ষা নেন। এতে তাঁদের একটি লুডুর ছক্কা নিক্ষেপ করে কত উঠেছে জানাতে বলা হয়।
শর্ত ছিল, যত বেশি নম্বর উঠবে, তত বেশি অর্থ দেওয়া হবে। এতে দেখা যায়, ভারতের বেঙ্গালুরুর শিক্ষার্থীরা নিজেদের নম্বর বাড়িয়ে বলেছেন। আর প্রতারণামূলক কৌশল অবলম্বনকারী এই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সরকারি চাকরির প্রতি আগ্রহ অন্যদের তুলনায় ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। আরেক পরীক্ষায় ওই শিক্ষার্থীদের কিছু অর্থ দাতব্য কাজে এবং বাকিটা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে বলা হয়। এতে দেখা যায়, যাঁরা বেশির ভাগ অর্থ নিজেদের জন্য রেখেছিলেন, সরকারি চাকরির প্রতি তাঁরাই বেশি আগ্রহী।
হার্ভার্ডের শিক্ষক রেমা হানা বলেন, সরকারি চাকরিতে দুর্নীতির বিষয়টি সম্পর্কে অবগত কেউ সাধারণত তাতে যেতে চাইবেন না।
আরেক গবেষক শিং-য়ি ওয়াং বলেন, তাঁদের পরীক্ষায় প্রতারণামূলক আচরণের যে প্রমাণ মিলেছে, তা থেকে বাস্তবেও সরকারি কর্মকর্তাদের আচরণের ব্যাপারে কিছুটা অনুমান করা যায়। টেলিগ্রাফ।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।