যারা জীবনে অন্তত একবার প্রেম করেছেন, তারা নিশ্চয়ই জানেন, আমাদের নারীরা আবেগপ্রবণ হয়ে মাঝে মাঝে এমন সব প্রশ্ন করে, যার কোন সঠিক উত্তর হয় না। প্রশ্নটি শোনা মাত্র আপনার হার সুনিশ্চিত। উত্তর দিন অথবা চুপ করে থাকুন, কোন লাভ নাই, পরবর্তী ২ ঘন্টা আপনার যাবে তার মান ভাঙাতে। আসুন দেখি কোন রোমান্টিক সম্পর্কে শান্তি বজার রাখতে কোন প্রশ্ন-গুলোকে যমের চেয়েও বেশি ভয় করবেন:
১. তুমি আমাকে কতটা ভালোবাসো?
যেটা সঠিক উত্তর বলে ভাবছেন (কিন্তু কখনোই মুখে বলবেন না):
ক. মোটামুটি
খ. ভালোবাসা তো পরিমাপ করা যায় না
গ. দুবছর আগের চেয়ে বেশি, তবে গতকালের চেয়ে আজ একটু কম
ঘ. এই প্রশ্নটা করার আগ পর্যন্ত অনেক অনেক ভালোবাসতাম
ঙ. এইসব ট্রিক প্রশ্ন করে আমাকে ফাঁদে ফেলা যাবে না
সঠিক উত্তর:
ক. অনেক (বলে সিরিয়াস ভাব নিয়ে চুপ করে বসে থাকুন, বিজয়ের আনন্দে মুচকি হাসবেন না)
খ. আই লাভ ইউ (হাসবেন না)
২. আমাকে কি মোটা দেখাচ্ছে?
যেটা সঠিক উত্তর বলে ভাবছেন (কিন্তু কখনোই মুখে বলবেন না):
ক. হুমম
খ. একটু মোটাইতো লাগছে
গ. আগের চেয়ে কম মোটা লাগছে
ঘ. মোটা হলেও তুমি সুন্দর!
ঙ. আসলে ভালোবাসা এমন একটি জিনিস, যেখানে শারিরীক সৌন্দর্য্য কোন ব্যাপারনা, মনের মিলটাই আসল (রেড এলার্ট, মেয়েদের কি আপনার মত গাধা ভাবেন?)
সঠিক উত্তর:
ক.সবসময়ের মতই সুন্দর দেখাচ্ছে (মুখে অভিভূত হওয়ার অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলুন)
খ. মোটেও না (মুখে অদ্ভুত কিছু শোনার অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলুন)
৩. (কোন শপিং মলে) লাল জামাটা কিনবো? নাকি নীলটা?
যেটা সঠিক উত্তর বলে ভাবছেন (কিন্তু কখনোই মুখে বলবেন না):
ক. লালটা
খ. নীলটা
একমাত্র সঠিক উত্তর
দুটোতেই তোমাকে সুন্দর লাগবে
(সে কিন্তু আগেই ঠিক করে রেখেছে কোনটা কিনবে। আপনার মত যদি তার সাথে মিলে যায়, তবে সে অত্যন্ত খুশি হয়ে আপনাকে একটি সুন্দর হাসি উপহার দিবে।
আর না মিললে তার চেয়ে চারগুন বেশি মন খারাপ হবে। হয়তো তার পছন্দের জামাটিই কিনবে, কিন্তু আগামী একদিন আপনার সাথে শীতল ব্যবহার করবে। উইন উইন পরিস্থিতি বজার রাখতে রিস্ক না নিয়ে মত জানানো থেকে বিরত থাকুন। সেও খুশি, আপনিও খুশি)
৪. কোন পোষাকে আমাকে বেশি সুন্দর লাগে?
যেটা সঠিক উত্তর বলে ভাবছেন (কিন্তু কখনোই মুখে বলবেন না):
ক. শাড়ি
খ. জিন্স টি-শার্ট
গ. যেগুলো পড়লে ফিগার ভালোভাবে ফুঁটে ওঠে
ঘ. তমা যেই বডি ফিট থ্রি-পিসটা পড়েছে, ওটা পড়লে হয়তো তোমাকে সুন্দর লাগবে
ঙ. পোষাক কি সৌন্দর্য বাড়াতে পারে?
একমাত্র সঠিক উত্তর
তুমি সবসময়ই সুন্দর
৫. আমার কোন বিষয়টা তোমার বেশি ভালো লাগে? সৌন্দর্য্য, বুদ্ধিমত্তা, নাকি ব্যক্তিত্ব
যেটা সঠিক উত্তর বলে ভাবছেন (কিন্তু কখনোই মুখে বলবেন না):
ক. তুমি দেখতে জোস
খ. মেয়েদের আবার বুদ্ধিমত্তা কি জিনিস?
গ. ফিগার!
ঘ. আমি নিজে যেরকম গাধা, বউ বুদ্ধিমতি না হলে পোলাপান ও গাধা হবে।
ঙ. তোমার চপল-চঞ্চল ব্যক্তিত্ব আমাকে পাগল করে রাখে
[রেড এলার্ট: একটা বলেছেন তো মরেছেন! যদি বলেন সৌন্দর্য্য তবে সে ভাববে আপনি তাকে বোকা আর অনাকর্ষনীয় ব্যক্তিত্বপূর্ণ বলে ভাবেন।
যদি বলেন বুদ্ধিমত্তা, তবে সে ভাববে আপনি তাকে কুৎসিত আঁতেল ভাবেন। সাবধান]
সঠিক উত্তর
ক. আমি তোমাকে ভালোবাসি (তোমাকে এর ওপর জোড় দিন)
খ. সবকিছু মিলিয়ে তুমি অসাধারণ
৬. তুমি কি সারাজীবন আমাকে ভালোবাসবে?
যেটা সঠিক উত্তর বলে ভাবছেন (কিন্তু কখনোই মুখে বলবেন না):
ক. ভবিষ্যতের কথা কিভাবে বলবো?
খ. যদি তুমি একই রকম থাকো (শারিরীক ও মানসিক ভাবে)
গ. যদি তুমিও আমাকে ভালোবাসো
ঘ. মানুষের মন, বড়ই বিচিত্র
ঙ. হুমম, এখন প্রেমিকা/স্ত্রী হিসেবে, পড়ে সন্তানদের মা হিসেবে
[সাবধান: এই প্রশ্নের জবাবে যদি যুক্ত উত্তর/প্রশ্নবাচক উত্তর বা হেয়ালিপূর্ণ উত্তর দেয়া থেকে বিরত থাকুন]
সঠিক উত্তর
ক. আজীবন
খ. আমৃত্যু
গ. মৃত্যুর পরেও তোমাকেই ভালোবাসবো
পাদটীকা:
১. সম্পর্কের ক্ষেত্রে ছেলেদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে শারিরীক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মেয়েটির বিশ্বস্ততা। কোন নারী শারিরীক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবিশ্বাসী হলে, সে যতই কেয়ারিং হোক না কেন, ছেলেদের মন সেই সম্পর্কে টিকে না। আর রোমান্টিক সম্পর্কে মেয়েদের মূল চাহিদা ভরসা করার মত একটি মানুষ। আপনি যদি জীবন-যাপনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তার কাছে নির্ভরযোগ্য একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, তবে আপনার অনেক চারিত্রিক ঘাটতিই তার কাছে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে।
মেয়েরা অবচেতন থেকেই এসকল প্রশ্ন করে থাকে তার প্রতি আপনার ডেডিকেশন ক্রমাগত যাচাই করে যাওয়ার জন্য। সন্তান-ধারণ এবং তাদের বড় করার জন্য একজন নির্ভরযোগ্য সঙ্গী প্রয়োজন, এই সত্যটি সকল প্রাপ্তমনস্ক মেয়ের অবচেতনে দৃঢ়ভাবে প্রথিত আছে। মেয়েরা লাফাঙ্গা টাইপ ছেলেপিলেদের সাথে প্রেম করলেও সেটা চিরস্থায়ী করার প্রেরণা পায় না।
২. আমরা ছেলেরা একসময়ে একটি ইন্দ্রিয় ব্যবহারে অভ্যস্ত। আমরা যখন দেখি তখন শুনি কম; যখন স্পর্শ করি, তখন শুনি কম; শোনার সময় দেখি কম।
কিন্তু মেয়েরা একসাথে সব ইন্দ্রিয় কার্যকরভাবে ব্যবহারে সক্ষম। জনপ্রিয়ভাবে এই ক্ষমতাকে সিক্সথ সেন্স বা ইনট্যুশন বলা হয়। এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে মেয়েরা মুখের কথা ও অভিব্যক্তির মধ্যে তারতম্য খুব সহজেই বুঝতে পারে। আপনার আবেগ ও কথা যদি বিপরীতধর্মী হয় তবে বডি-ল্যাঙ্গুয়েজ আর কথার পার্থক্য খুব সহজেই ধরা পরে যাবে। নিতান্তই প্লে-বয় টাইপের পাকা খেলোয়াড় না হলে মেয়েদের ধোঁকা দেয়া কঠিন।
এমন কাউকে খুঁজে বের করুন, যার উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে অভিনয় করতে হয় না
[সুত্র: তিন বছরের অভিজ্ঞতা এবং কিছু অনলাইন রিসোর্স]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।