বাংলাদেশ ব্যাংক এর সংকোচনশীল মূদ্রানীতির প্রভাবে প্রাইভেট কমার্শিয়াল ব্যাংকগুলো তারল্ল সকটে ভুগছে গত ২ মাস যাবত , পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের বাড়তি ঋণ চাহিদার চাপে সঞ্চয় বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে ৩০ কমার্শিয়াল ব্যাংক।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এর CRR,SLR এবং CDR সংক্রান্ত বিধিনিষেধে কড়াকড়ি হওয়ায় পূর্বে . কোনো কোনো ব্যাংক এর শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকৃত মূলধন ৫০% এর বেশী, সিডিআর ১০০% এর উপর ও সিআরআর এ শীথিলতা থাকায় সঞ্চয় এর উপর চাপ ছিলনা। শেয়ার বাজারে প্রচুর টাকা ব্যাস্ত থাকায় দিনের লেন্দেন সাভাবিক চাপে থাকতো কিন্তূ বাজার ধসের এই সময় হঠাৎ তীব্র তারল্য সঙ্কটে ভোগা শুরু করেছে। পাশাপাশি বিশ্ববাজারে পেট্টোলিয়াম, খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও শিল্পায়ন ক্ষেত্রে প্রচুর মেশিনারী আমদানি চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় এলসির পরিমান প্রায় তিন গুণ হয়েছে। গত অর্থ বছরে ১৭,৭১৭বি.এলসির এর স্থলে বেড়ে দাঁড়ায় ১৫,০০১ বিলিয়ন.।
প্রক্রিয়ারত আছে ১৭,৪২৬বি.। এদিকে সিডিআর সাভাবিক ৮১% এর স্থানে ২৪ টি ব্যাংঙ্কেরই ৮৩-১০১% এ দাড়িয়েছে।
বিদেশী মূদ্রার চাহিদাও ব্যাংক গুলো সামাল দিতে পারছেনা । বাংলাদেশ ব্যাংক তার বর্তমান মার্জিনাল রিজার্ভ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে ছারছেনা। অন্য দিকে বিদেশি মূদ্রার আয়ও কমে গেছে বিভিন্ন খাত থেকে যেমন রেমিটেন্স হ্রাস পেয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে,অন্ন বছরের মত এফডি আর পাওয়া যায়নি তাছাড়া কিছু খাত থেকে কমে গেছে রপ্তানি।
এতে সৃষ্টি হয়েছে দেশী মূদ্রার পাশাপাশি বিদেশী মূদ্রার তীব্র চাহিদা। যার ফলশ্রুতিতে কল মানি রেট ১৯০% এ পৌছেছিল ফলে এই মূহূর্তে এলসি প্রক্রিয়ারত আছে ১৭,৪২৬বি.। বাঙ্কগুলো এলসি ও বিনিয়োগ ঋণ সামর্থের সাথে সামঞ্জস্য রেখে গ্রহন করছে। বেশীর ভাগ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্রাঞ্চগুলোর মানাগেরদের নতুন বিনিয়োগ ও ঋণের সুপারিশ কম করার জন্য ইতিমধে চিঠি দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এর সকোচনশীল মূদ্রানীতি,বিধিনিষেধ এ কড়াকড়ি আরোপ,বিনিয়োগ চাহিদা বৃদ্ধি ,রেমিটান্স কমে যাওয়া এবং এলসি চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাঙ্কগুলো বাধ্য হয়ে তারল্য সংকট কাটিয়ে উঠতে তীব্র প্রতিযোগিতায় নেমেছে ।
বাঙ্কগুলো নতুন সঞ্চয়কারী সংগ্রহের চেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এলাকায়ও সহজ শর্তে নতুন সেভিংস একাউন্ট খোলা শুরু করেছে। অন্য ব্যাংক এর গ্রাহক কে বাড়তি সুবিধা ও সেবা দিয়ে নিজের ব্যাংকে আনার চেষ্টা করছে। এছাড়া ব্রাঞ্চের ম্যানেজার দের দিয়ে দেয়া হচ্ছে টার্গেট নির্ভর মার্কেটিং পলিসি। আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এ খোলা হয়েছে মার্কেটিং ডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড রিসার্চ নামের নতুন বিভাগ। এমন কী কোনো কোনো ব্যাংক এ নিয়োগ দানের সময় সঞ্চয় বাড়াতে সক্ষম প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
এছারাও কর্মরতদের মধ্যে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের সঞ্চয় সংগ্রহে সক্ষম কর্মকর্তাদের প্রমোশনের মত লোভনীয় পুরষ্কার ঘোষনার মাধ্যমে সঞ্চয় সংগ্রহের তীব্র প্রতিযোগিতার সূষ্টি করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।